
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি, জনাব হাসিব আজিজ বিপিএম’র সাথে
সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত হয়
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলী হল রুমে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও চ্যানেল ওয়ান’র চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায়,এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত, দৈনিক আজাদী’র সম্পাদক এম এ মালেক।
আসন্ন নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য কোনো বাহিনী থাকতে পারবে না। সাজ্জাদ বাহিনী, লাল্টু বাহিনী, পল্টু বাহিনী—এই সমস্ত বাহিনী নির্মূল করতে হবে। নির্মূল মানে নির্মূল। প্রয়োজনে চরম পন্থা অবলম্বন করতেও আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করব না।”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি ‘ভীতি সঞ্চার’ করার পরিকল্পনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিতাড়িত স্বৈরাচার এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনটি তাদের জন্য একটি ‘লিটমাস টেস্ট’। তারা যেন এই টেস্টে ফেইল করে, সেজন্য আমাদের যা করার করতে হবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘ন্যাশনাল অ্যাসেট’ বা জাতীয় সম্পদ হিসেবে অভিহিত করেন হাসিব আজিজ। তিনি বলেন, “১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ড. ইউনূস একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশে ও বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। তাঁকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।”
পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র পাহাড়ি এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের হাতে চলে গেছে বলে তথ্য রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে এসব উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
এসময় আরও বক্তব্যরাখেন, পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ ও কার্যকরী সদস্য সালেহ নোমান প্রমুখ।
সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

























