Dhaka , Wednesday, 17 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নোয়াখালীতে যুবদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ; দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চরভদ্রাসনের নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ, বই উপহার। পঞ্চবটি বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হাদী’র উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ্যাব’র মানববন্ধন ঈদগাঁওর পোকখালীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু পাইকগাছায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক- ২ বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধীস্থল পাইকগাছায় অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান শ্রীপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিনু মৃধা গ্রেফতার  ভয়েসেস ফর চেঞ্জ প্রজেক্ট’-এর উদ্যোগে কক্সবাজারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও আইনি অধিকার নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ শিক্ষকের ঘুমহীন রাত রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন ও আমাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা গোয়ালঘরে কৃষকের দুটি গরু জবাই করে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা পাইকগাছায় রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কক্সবাজারে মতবিনিময় সভা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়—কক্সবাজারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত: ঈদগাঁওতে হামিদুল হক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল: মাইজ পাড়ার হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি যে ৫ লক্ষণ দেখে বুঝবেন মানুষটি আপনার জন্য নয় চরভদ্রাসনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস- ২০২৫ পালিতঃ আলোচনা সভা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিবিহন সেক্টরে জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যম ভিত্তিক মহাপিরিকল্পনা প্রনয়ণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে উপজেলা প্রশাসন নোয়াখালীতে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু সরাইল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি রূপগঞ্জে ছয় প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পরিবেশ, কৃষিজমি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি চরমে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে দাপটের সঙ্গে চলছে অবৈধ ইটভাটা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:39:10 pm, Monday, 8 December 2025
  • 18 বার পড়া হয়েছে
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলাজুড়ে সরকারি বিধিবিধান অমান্য করে ব্যাপকহারে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট করে, বনভূমি উজাড় করে, নদীর তীরের মাটি কাটার মাধ্যমে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এসব ভাটা। গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিশুরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ইটভাটা রয়েছে মোট ৪১টি। এর মধ্যে বৈধ মাত্র ১৯টি, আর বাকি ২২টি ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসবি-১ এবং ২, জিজিবি, এসসি, এমসিবি, সেভেন স্টারসহ অধিকাংশ ভাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একদম পাশে স্থাপিত। আইন অনুযায়ী বিদ্যালয়–আবাসিক এলাকা—কোনোটির কাছেই ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে চলছে ঠিক উল্টো চিত্র।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার রঘুয়ারদড়িচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই পরিচালিত হচ্ছে এসবি নামের দুইটি ইটভাটা। এখানে প্রকাশ্যেই পোড়ানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঠ। ভাটার নির্গত কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যায় পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা বলছেন, “ক্লাস করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ধোঁয়া সহ্য করতে হচ্ছে। শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন।”
অবৈধ ভাটাগুলোতে কাঁচামাল হিসেবে নির্বিচারে কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি ও নদীর তীর। এতে জমির প্রাকৃতিক উর্বরতা নষ্ট হয়ে বছরে বছরে কমছে ফসল উৎপাদন। কৃষকেরা বলছেন, এক সময় যে জমিতে বছরে দুই–তিন ফসল হতো, এখন সেসব জমি হয়ে পড়ছে অনুর্বর ও শক্ত।
ইট প্রস্তুতকারী আইন অনুযায়ী ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ ঝালকাঠির অধিকাংশ অবৈধ ভাটায় প্রকাশ্যেই জঙ্গলের কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে বনভূমি উজাড়ের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে ধোঁয়া বায়ুদূষণকে মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটার চারপাশে পানি না ছিটানোয় বাতাসে সারাক্ষণ ধুলা উড়ছে, যা শ্বাসতন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি করছে।
পরিবেশ বাদী সংগঠন নিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড.আককাস সিকদার বলেন, ঝালকাঠি সদরসহ চার উপজেলায় প্রায় শতাধিক বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে অথবা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে বন উজাড় হচ্ছে পাশাপাশি এথেকে সৃষ্টি হওয়া কালো ধোঁয়ায় স্কুল কলেজের কোমলমতি শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গ্রামীণ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব ভাটায় দিনরাত ট্রলি ও ট্রাকে ইট পরিবহন করা হয়। রাস্তা ঢেকে পরিবহন না করায় ধুলা দূষণ বাড়ছে; ভারী যানবাহনের চাপ দ্রুত নষ্ট করছে এলজিইডির গ্রামীণ সড়ক। স্থানীয়দের মতে, “রাস্তা মেরামতের আগেই ফের নষ্ট হয়ে যায় ট্রলি–ট্রাকের চাপে।”
অবৈধ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ভাটার মালিকরা কথা বলতে রাজি হন না। বরং এনটিসি, এসবি, এমসিবি, সেভেন স্টারসহ একাধিক ইটভাটার কর্তৃপক্ষ সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। যা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন বলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরকে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।
ঝালকাঠি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস ও জরিমানা করেন। কিন্তু অভিযোগ আছে—অভিযানের পর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও, পরে আবারও আগের মতোই ভাটা চালু হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তদারকি দুর্বল হওয়ায় অবৈধ ইটভাটা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা
অবৈধ ইটভাটার দৌরাত্ম্যে
কৃষিজমির উর্বরতা কমছে
বন উজাড় হচ্ছে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে
বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে
গ্রামীণ সড়ক দ্রুত নষ্ট হচ্ছে
তারা বলছেন, আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে এবং ভাটা মালিকরা দায়িত্বশীল না হলে ঝালকাঠির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ সংকটে পড়বে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, কৃষিজমি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি চরমে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে দাপটের সঙ্গে চলছে অবৈধ ইটভাটা

আপডেট সময় : 07:39:10 pm, Monday, 8 December 2025
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলাজুড়ে সরকারি বিধিবিধান অমান্য করে ব্যাপকহারে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট করে, বনভূমি উজাড় করে, নদীর তীরের মাটি কাটার মাধ্যমে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এসব ভাটা। গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিশুরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ইটভাটা রয়েছে মোট ৪১টি। এর মধ্যে বৈধ মাত্র ১৯টি, আর বাকি ২২টি ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসবি-১ এবং ২, জিজিবি, এসসি, এমসিবি, সেভেন স্টারসহ অধিকাংশ ভাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একদম পাশে স্থাপিত। আইন অনুযায়ী বিদ্যালয়–আবাসিক এলাকা—কোনোটির কাছেই ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে চলছে ঠিক উল্টো চিত্র।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার রঘুয়ারদড়িচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই পরিচালিত হচ্ছে এসবি নামের দুইটি ইটভাটা। এখানে প্রকাশ্যেই পোড়ানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঠ। ভাটার নির্গত কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যায় পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা বলছেন, “ক্লাস করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ধোঁয়া সহ্য করতে হচ্ছে। শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন।”
অবৈধ ভাটাগুলোতে কাঁচামাল হিসেবে নির্বিচারে কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি ও নদীর তীর। এতে জমির প্রাকৃতিক উর্বরতা নষ্ট হয়ে বছরে বছরে কমছে ফসল উৎপাদন। কৃষকেরা বলছেন, এক সময় যে জমিতে বছরে দুই–তিন ফসল হতো, এখন সেসব জমি হয়ে পড়ছে অনুর্বর ও শক্ত।
ইট প্রস্তুতকারী আইন অনুযায়ী ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ ঝালকাঠির অধিকাংশ অবৈধ ভাটায় প্রকাশ্যেই জঙ্গলের কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে বনভূমি উজাড়ের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে ধোঁয়া বায়ুদূষণকে মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটার চারপাশে পানি না ছিটানোয় বাতাসে সারাক্ষণ ধুলা উড়ছে, যা শ্বাসতন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি করছে।
পরিবেশ বাদী সংগঠন নিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড.আককাস সিকদার বলেন, ঝালকাঠি সদরসহ চার উপজেলায় প্রায় শতাধিক বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে অথবা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে বন উজাড় হচ্ছে পাশাপাশি এথেকে সৃষ্টি হওয়া কালো ধোঁয়ায় স্কুল কলেজের কোমলমতি শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গ্রামীণ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব ভাটায় দিনরাত ট্রলি ও ট্রাকে ইট পরিবহন করা হয়। রাস্তা ঢেকে পরিবহন না করায় ধুলা দূষণ বাড়ছে; ভারী যানবাহনের চাপ দ্রুত নষ্ট করছে এলজিইডির গ্রামীণ সড়ক। স্থানীয়দের মতে, “রাস্তা মেরামতের আগেই ফের নষ্ট হয়ে যায় ট্রলি–ট্রাকের চাপে।”
অবৈধ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ভাটার মালিকরা কথা বলতে রাজি হন না। বরং এনটিসি, এসবি, এমসিবি, সেভেন স্টারসহ একাধিক ইটভাটার কর্তৃপক্ষ সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। যা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন বলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরকে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।
ঝালকাঠি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস ও জরিমানা করেন। কিন্তু অভিযোগ আছে—অভিযানের পর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও, পরে আবারও আগের মতোই ভাটা চালু হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তদারকি দুর্বল হওয়ায় অবৈধ ইটভাটা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা
অবৈধ ইটভাটার দৌরাত্ম্যে
কৃষিজমির উর্বরতা কমছে
বন উজাড় হচ্ছে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে
বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে
গ্রামীণ সড়ক দ্রুত নষ্ট হচ্ছে
তারা বলছেন, আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে এবং ভাটা মালিকরা দায়িত্বশীল না হলে ঝালকাঠির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ সংকটে পড়বে।