Dhaka , Wednesday, 3 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
মানবতার সেবা: শ্রীলংকায় দুর্যোগপ্রবণদের পাশে বাংলাদেশ পাবনায় মা কুকুর ছানা হত্যার ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি গ্রেপ্তার হাটহাজারিতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান।  পাবনায় কুকুরছানা হত্যাকারীকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়া হয়েছে সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আজ ৩ ডিসেম্বর: বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ফতুল্লায় কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি” “সরাইলে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়” ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নাগরিক আটক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জে দোয়া মাহফিল হত্যার রহস্য ঘিরে ফতুল্লায় মিলল গলা-কাটা যুবকের লাশ পাইকগাছায় জমির ধান কর্তনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, ইউনিয়ন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রীপুরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল রামগঞ্জে গাছের নীচে চাপা পড়ে যুবকের মৃত্যু বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা “নিঃস্বার্থে করব রক্তদান, হাঁসবে রোগী বাঁচবে প্রাঁণ- আজব নুর বেগম ফাউন্ডেশন। রামগঞ্জে সপ্তাহ পার না হতে আবারও খুন এবার ভাতিজাদের হাতে চাচা খুন ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৫ অনুষ্ঠিত ‎এলাকাবাসীর দাবি এসআই প্রদীপ চন্দ্র সরকার ও চোরের যোগসাজশেই এই মামলা ও গ্রেফতার। সাভারে দোয়া মাহফিলের মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এ্যানীর শ্বশুরের মৃত্যু বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া তারাবতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ১ টাকার বাজারের উদ্বোধন বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি,সিলেট জেলা শাখার কমিটি গঠন। সভাপতি ডা: রফিকুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি ডা: আব্দুর রকিব যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইল ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ সভ্যতার নীরব আঘাত: শিশুদের পড়াশোনা ও জীবনের ওপর শব্দদূষণের প্রভাব গৃহবধূর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেল কিশোর, অতঃপর দোহাজারীতে জায়গা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ফিল্মি স্টাইলে বসতবাড়িতে হামলা,নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার লুটপাট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপে ফেরার পথে স্পিডবোট ডুবি — মা–মেয়ের করুণ মৃত্যু সৌদি আরবের জেদ্দায় ঈদগড় ইউনিয়ন প্রবাসী যুবদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত — গরীবদের জন্য কম্বল বিতরণের উদ্যোগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্প অফিসে জাকসুর তালা ঝুলানো: নিয়মবহির্ভূত পদক্ষেপে উত্তেজনা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অভিযোগ

আজ ৩ ডিসেম্বর: বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:47:43 pm, Wednesday, 3 December 2025
  • 7 বার পড়া হয়েছে

​বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:

আজ ৩ ডিসেম্বর, বরগুনা হানাদারমুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র তেরো দিন আগেই ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় দেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে এদিন ভোরের আলোয় বরগুনাবাসী প্রথম অনুভব করে স্বাধিকারের পূর্ণতা— পায় মুক্তির কাঙ্ক্ষিত স্বাদ।

​মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বরগুনা ছিল ৯ নম্বর সেক্টরের বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টরের অধীনে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তিকামী সহস্রাধিক স্থানীয় তরুণ বাঁশের লাঠি ও সীমিত সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেও, পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখলের পর পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা এলাকা ছেড়ে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান।
​এরপরই বরগুনায় শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদারদের পৈশাচিক অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১৪ মে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বরগুনা শহর দখল করে নেয় পাকবাহিনী। দখলদারিত্বের পরপরই পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর তীরে তারা নির্মম গণহত্যা চালায়। এর কিছুদিন পর, ক্যাপ্টেন শাফায়াতের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা ২৯ ও ৩০ মে বরগুনা জেলখানায় প্রবেশ করে ৭৬ জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের গণকবর দেওয়া হয় জেলা কারাগারের দক্ষিণ পাশে।
​মুক্তির জন্য গোপন প্রস্তুতি
​দেশের অভ্যন্তরে যখন এমন বর্বরতা চলছিল, তখন দলে দলে তরুণরা ভারতে আধুনিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টরের অধীনে সংগঠিত হন। বরগুনাকে মুক্ত করার চূড়ান্ত পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সত্তার খান।
​২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে আবদুস সত্তার খানের নেতৃত্বে বরগুনা ও ঝালকাঠির মোট ২১ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি বিশেষ দল বেতাগীর বদনীখালী নামক স্থানে অবস্থান নেয়। বরগুনার পরিস্থিতি তদারকির জন্য একজন সহকর্মীকে শহরে পাঠানো হয়। তাঁর কাছ থেকে সংকেত পাওয়ার পর গভীর রাতে একটি বড় বাচারী নৌকায় করে বিষখালী নদী পাড়ি দিয়ে দলটি বরগুনার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তাঁরা খাকদোন নদীর পোটকাখালী এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল: বরগুনায় অবস্থানরত পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার ও পুলিশ সদস্যদের আত্মসমর্পণ করানো এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ দখল করা।

​মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় ফজরের আজানকে যুদ্ধ শুরুর সংকেত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বরগুনা শহরকে কয়েকটি উপ-বিভাগে ভাগ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল কারাগার, ওয়াপদা কলোনী, জেলা স্কুল, সদর থানা ও এসডিওর বাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো।
​ভোরে আজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ছয়টি ভিন্ন স্থান থেকে একযোগে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। হঠাৎ চারদিকে গুলির শব্দে পুলিশ ও রাজাকারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দফার গোলাগুলির পর মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রসর হন জেলখানা অভিমুখে। সেখানে অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকার সদস্যরা দ্রুতই অনুধাবন করেন যে মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় কম হলেও মনোবলে অপ্রতিরোধ্য। ফলস্বরূপ, তারা আত্মসমর্পণে বাধ্য হন।
​আত্মসমর্পণকারী পুলিশ ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এরপর তৎকালীন এসডিও (সাব-ডিভিশনাল অফিসার) কার্যালয়ে যান এবং এসডিও আনোয়ার হোসেনকেও আত্মসমর্পণ করান। দুপুরের মধ্যেই পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের সব নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে যান বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টর হেডকোয়ার্টারে।
​এভাবেই বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা সদর শত্রুমুক্ত হয়। বরগুনার সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মনোয়ারের দেওয়া তথ্যমতে, বরগুনা সদর মুক্ত হওয়ার আগেই ২৪ নভেম্বর বামনা (তৎকালীন একটি এলাকা, পরে উপজেলায় রূপান্তরিত) হানাদারমুক্ত হয়। এছাড়া আমতলী ও তালতলী উপজেলা শত্রুমুক্ত হয় বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবতার সেবা: শ্রীলংকায় দুর্যোগপ্রবণদের পাশে বাংলাদেশ

আজ ৩ ডিসেম্বর: বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস।

আপডেট সময় : 12:47:43 pm, Wednesday, 3 December 2025

​বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:

আজ ৩ ডিসেম্বর, বরগুনা হানাদারমুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র তেরো দিন আগেই ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় দেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে এদিন ভোরের আলোয় বরগুনাবাসী প্রথম অনুভব করে স্বাধিকারের পূর্ণতা— পায় মুক্তির কাঙ্ক্ষিত স্বাদ।

​মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বরগুনা ছিল ৯ নম্বর সেক্টরের বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টরের অধীনে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তিকামী সহস্রাধিক স্থানীয় তরুণ বাঁশের লাঠি ও সীমিত সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেও, পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখলের পর পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা এলাকা ছেড়ে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান।
​এরপরই বরগুনায় শুরু হয় পাকিস্তানি হানাদারদের পৈশাচিক অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১৪ মে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বরগুনা শহর দখল করে নেয় পাকবাহিনী। দখলদারিত্বের পরপরই পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর তীরে তারা নির্মম গণহত্যা চালায়। এর কিছুদিন পর, ক্যাপ্টেন শাফায়াতের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা ২৯ ও ৩০ মে বরগুনা জেলখানায় প্রবেশ করে ৭৬ জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের গণকবর দেওয়া হয় জেলা কারাগারের দক্ষিণ পাশে।
​মুক্তির জন্য গোপন প্রস্তুতি
​দেশের অভ্যন্তরে যখন এমন বর্বরতা চলছিল, তখন দলে দলে তরুণরা ভারতে আধুনিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টরের অধীনে সংগঠিত হন। বরগুনাকে মুক্ত করার চূড়ান্ত পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সত্তার খান।
​২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে আবদুস সত্তার খানের নেতৃত্বে বরগুনা ও ঝালকাঠির মোট ২১ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি বিশেষ দল বেতাগীর বদনীখালী নামক স্থানে অবস্থান নেয়। বরগুনার পরিস্থিতি তদারকির জন্য একজন সহকর্মীকে শহরে পাঠানো হয়। তাঁর কাছ থেকে সংকেত পাওয়ার পর গভীর রাতে একটি বড় বাচারী নৌকায় করে বিষখালী নদী পাড়ি দিয়ে দলটি বরগুনার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তাঁরা খাকদোন নদীর পোটকাখালী এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল: বরগুনায় অবস্থানরত পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার ও পুলিশ সদস্যদের আত্মসমর্পণ করানো এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ দখল করা।

​মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় ফজরের আজানকে যুদ্ধ শুরুর সংকেত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বরগুনা শহরকে কয়েকটি উপ-বিভাগে ভাগ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল কারাগার, ওয়াপদা কলোনী, জেলা স্কুল, সদর থানা ও এসডিওর বাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো।
​ভোরে আজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ছয়টি ভিন্ন স্থান থেকে একযোগে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। হঠাৎ চারদিকে গুলির শব্দে পুলিশ ও রাজাকারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দফার গোলাগুলির পর মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রসর হন জেলখানা অভিমুখে। সেখানে অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকার সদস্যরা দ্রুতই অনুধাবন করেন যে মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় কম হলেও মনোবলে অপ্রতিরোধ্য। ফলস্বরূপ, তারা আত্মসমর্পণে বাধ্য হন।
​আত্মসমর্পণকারী পুলিশ ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এরপর তৎকালীন এসডিও (সাব-ডিভিশনাল অফিসার) কার্যালয়ে যান এবং এসডিও আনোয়ার হোসেনকেও আত্মসমর্পণ করান। দুপুরের মধ্যেই পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের সব নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে যান বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টর হেডকোয়ার্টারে।
​এভাবেই বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা সদর শত্রুমুক্ত হয়। বরগুনার সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মনোয়ারের দেওয়া তথ্যমতে, বরগুনা সদর মুক্ত হওয়ার আগেই ২৪ নভেম্বর বামনা (তৎকালীন একটি এলাকা, পরে উপজেলায় রূপান্তরিত) হানাদারমুক্ত হয়। এছাড়া আমতলী ও তালতলী উপজেলা শত্রুমুক্ত হয় বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর।