Dhaka , Thursday, 4 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রূপগঞ্জে ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মধ্যনগরে বাঁশের সাঁকু উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার বক্তাবলীতে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ রূপগঞ্জে প্রজন্ম ৭১-এর নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ, দিপু ভূঁইয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা নরসিংদী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল শান্ত সকাল জাজিরা থানার ওসি মাইনুলের বদলি: স্বস্তিতে আ.লীগ, হতাশ সাধারণ মানুষ মধুপুরে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন লালমনিরহাটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নারী নিহত, আহত ৩ বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রূপগঞ্জে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা বৃহত্তর চকরিয়া–মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও উপ-লাইন পরিচালনায় ১৭ সদস্যের নতুন কমিটি অনুমোদন রামুতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত পাইকগাছায় কে এফ ডি ’৮৯ ব্যাচের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ পাইকগাছায় নানা পরিবর্তনের অঙ্গীকার করলেন-আবুল কালাম আজাদ নোয়াখালীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে কঠোর নির্যাতন করা হয়েছিলঃ রফিকুল ইসলাম জামাল রামগঞ্জে চাচা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  চবি উপাচার্যের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রফেসর মার্ক ভিনে এর সাক্ষাৎ। আটঘরিয়ার একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলাল বরখাস্ত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ  রাজাপুরে আঙ্গারিয়া আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চোর সন্দেহে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১ কাঁঠালিয়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে হাসপাতালে উপস্থিত শায়খে চরমোনাই আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ : সহপাঠী ও সিনিয়রসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে  রূপগঞ্জে শারিরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে হুইল চেয়ার উপহার কোতোয়ালী থানার অভিযানে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ কুমার চৌধুরী গ্রেফতার  আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ভুমিকম্পের ঝুঁকি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে অর্ধবেলা কর্মবিরতি ; রোগী ভোগান্তি চরমে ৩১ বছরের বঞ্চনা! রূপগঞ্জে টেকনোলজিস্টদের আলটিমেটাম: ১০ম গ্রেড না পেলে ৪ ডিসেম্বর থেকে ‘শাটডাউন’ মানবতার সেবা: শ্রীলংকায় দুর্যোগপ্রবণদের পাশে বাংলাদেশ

৭ ডিসেম্বর “মোংলা ও সুন্দরবন” হানাদার মুক্ত দিবস

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:30:20 am, Wednesday, 8 December 2021
  • 275 বার পড়া হয়েছে

৭ ডিসেম্বর "মোংলা ও সুন্দরবন" হানাদার মুক্ত দিবস

 

 

মোঃরুবেল খাঁন, মোংলা বাগেরহাট।।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা হানাদার মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক হানাদারদের হটিয়ে দিয়ে এই এলাকা মুক্ত করেছেন এ অঞ্চলের বীর মুক্তিসেনারা। পাক সেনাদের তাড়িয়ে উড়ানো হয়েছিল বাংলার লাল সবুজের পতাকা।

মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফকির আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম. এ জলিল, সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরবনে ৫ টি ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় সুন্দরবন ইউনিয়নের দামেরখন্ড এলাকায় চলেছিল পাক হানাদারদের নেতৃত্বে নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, নারী নির্যাতন ও গণহত্যা। কোন কিছু না বুঝে ওঠার আগেই ওই এলাকার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার রজ্জব আলী ফকিরসহ তার সহযোগীদের নির্দেশে অনেক যুবতী ও গৃহবঁধূকে তুলে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। তার মধ্যে এলাকার গৃহবধূ তরুলতা শীল নামের একজনকে ধরে নিয়ে আটকে রাখে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। এসময়কালে প্রতিদিন রাত তার উপর চলে পাষবিক ও শারীরিক নির্যাতন। পরে স্থানীয় এক লোকের সহায়তায় ফিরে পায় তার আপনজনদের। এমন দুঃসহ স্মৃতির কথা এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন অজিৎ কুমার প্রামানিকের স্ত্রী তরুলতা শীল। সেই স্মৃতি আর কষ্টের কথা বুকে নিয়ে আজও বেঁচে আছেন এই বীরঙ্গনা নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের গঠন করা ওই ৫টি ক্যাম্প থেকে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে শুরু করে সম্মুখ যুদ্ধ। মুক্তিসেনারা ৪ ডিসেম্বর মোংলায় প্রবেশ করলে পাক সেনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে খন্ড খন্ড সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। সেনা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে সুন্দরবনের ক্যাম্পগুলোতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আর সুবিধা বুঝে আক্রমন করা হতো। ৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবনের সর্বত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। হানাদার মুক্ত হয় মোংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশ এলাকা।

 

মোংলা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী মোংলা ও সুন্দরবন অঞ্চলে প্রবেশ করে। বিভিন্ন সূত্র থেকে হানাদার বাহিনীর তৎপরতার খবর জানতে পেরে কৌশল অবলম্বন করি আমরা। হানাদার বাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে সম্মুখ যুদ্ধ করি। এক পর্যায়ে মোংলা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধের দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করতে গিয়ে রণাঙ্গনের এই বীরযোদ্ধা বলেন, সুন্দরবন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা আলাদা ইউনিট রাজাকারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেখানেও টিকতে পারেনি হানাদার বাহিনী। এভাবেই ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৭ ডিসেম্বর “মোংলা ও সুন্দরবন” হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : 12:30:20 am, Wednesday, 8 December 2021

 

 

মোঃরুবেল খাঁন, মোংলা বাগেরহাট।।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা হানাদার মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক হানাদারদের হটিয়ে দিয়ে এই এলাকা মুক্ত করেছেন এ অঞ্চলের বীর মুক্তিসেনারা। পাক সেনাদের তাড়িয়ে উড়ানো হয়েছিল বাংলার লাল সবুজের পতাকা।

মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফকির আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম. এ জলিল, সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরবনে ৫ টি ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় সুন্দরবন ইউনিয়নের দামেরখন্ড এলাকায় চলেছিল পাক হানাদারদের নেতৃত্বে নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, নারী নির্যাতন ও গণহত্যা। কোন কিছু না বুঝে ওঠার আগেই ওই এলাকার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার রজ্জব আলী ফকিরসহ তার সহযোগীদের নির্দেশে অনেক যুবতী ও গৃহবঁধূকে তুলে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। তার মধ্যে এলাকার গৃহবধূ তরুলতা শীল নামের একজনকে ধরে নিয়ে আটকে রাখে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। এসময়কালে প্রতিদিন রাত তার উপর চলে পাষবিক ও শারীরিক নির্যাতন। পরে স্থানীয় এক লোকের সহায়তায় ফিরে পায় তার আপনজনদের। এমন দুঃসহ স্মৃতির কথা এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন অজিৎ কুমার প্রামানিকের স্ত্রী তরুলতা শীল। সেই স্মৃতি আর কষ্টের কথা বুকে নিয়ে আজও বেঁচে আছেন এই বীরঙ্গনা নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের গঠন করা ওই ৫টি ক্যাম্প থেকে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে শুরু করে সম্মুখ যুদ্ধ। মুক্তিসেনারা ৪ ডিসেম্বর মোংলায় প্রবেশ করলে পাক সেনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে খন্ড খন্ড সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। সেনা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে সুন্দরবনের ক্যাম্পগুলোতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আর সুবিধা বুঝে আক্রমন করা হতো। ৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবনের সর্বত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। হানাদার মুক্ত হয় মোংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশ এলাকা।

 

মোংলা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী মোংলা ও সুন্দরবন অঞ্চলে প্রবেশ করে। বিভিন্ন সূত্র থেকে হানাদার বাহিনীর তৎপরতার খবর জানতে পেরে কৌশল অবলম্বন করি আমরা। হানাদার বাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে সম্মুখ যুদ্ধ করি। এক পর্যায়ে মোংলা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধের দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করতে গিয়ে রণাঙ্গনের এই বীরযোদ্ধা বলেন, সুন্দরবন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা আলাদা ইউনিট রাজাকারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেখানেও টিকতে পারেনি হানাদার বাহিনী। এভাবেই ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা।