Dhaka , Monday, 24 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
গাজীপুর – ১ সমৃদ্ধ সমাবেশ- বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা ঢাকা ১৯ আসনে ধানের শীষের পক্ষে মোহাম্মদ আইয়ুব খানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত “চলো হাঁটি জাগাই বিবেক” মাদক নির্মূলে স্মার্ট জহিরের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পাইকগাছায় লটারির মাধ্যমে সচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে ৩ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে — মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফ্রান্সকে সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কক্সবাজারে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শহীদ পরিবারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে নার্সদের ৮ দফা দাবীতে প্রদান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রূপগঞ্জে অবৈধ গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫ কিশোরগঞ্জে পিকআপ এবং সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৯ টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ মো: শামীম নামে এক যুবক আটক করেছে। পাইকগাছায় বিএনপির নেতা এনামুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার; ফুলেল সংবর্ধনা ভিডিও কাটছাঁট করে প্রচার, শফিকুর রহমান কিরণের নিন্দা কক্সবাজারে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার ঝালকাঠিতে এইচএসসি–আলিম কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অনুষ্ঠিত হালদা নদীতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান,এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড। চন্দনাইশে মানব কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত রক্তাক্ত হত্যাকান্ডের পরও খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধীদের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন সংরক্ষণহীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজা গণেশের প্রাচীন নিদর্শন কালিয়াকৈরে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ  ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত  সাভারে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতারের ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা মায়ানমার হতে মাদকের বিনিময়ে বাংলাদেশী সিমেন্ট পাচারকালে ৯ চোরাকারবারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড আশা”বিশ্বের সবচাইতে ব্যয় সাশ্রয়ী এবং দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষুদ্র ঋণ মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনকারী সংস্থা:- মিনহাজুর রহমান সীমান্তে ১৫ বিজিবি’র মাদকবিরোধী তৎপরতা: দুই দিনে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ কর্মস্থলে অনুপস্থিতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত ইবি অধ্যাপক রামু থানা পুলিশের অভিযানে মোরশেদ আলম নামের এক যুবক ই য়া বা সহ আটক ফতুল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ইলিয়াস আহমদের গণসংযোগ

সংরক্ষণহীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজা গণেশের প্রাচীন নিদর্শন

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 06:02:41 pm, Monday, 24 November 2025
  • 5 বার পড়া হয়েছে

নয়ন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গড়ভবানিপুর মৌজায় অবস্থিত চব্বিশ পরগনার ঐতিহাসিক ভাতুরিয়া রাজা গণেশের বসতভিটা, গড়, পুকুর ও দুইটি নদসহ সব নিদর্শনই এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রায়। সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ৬০০ বছরের ইতিহাস আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
হরিপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজা গণেশের এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এখান থেকে ভারত সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১-২ কিলোমিটার। ১৪১৪ থেকে ১৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজা গণেশ ভাতুরিয়া অঞ্চলের শাসনভার পরিচালনা করেন। পরে তার পুত্র যুদু মিঞা ওরফে জালালউদ্দিনের হাত ধরে ২৪ পরগনা অঞ্চলে ইসলাম প্রচার বিস্তার লাভ করে।
প্রায় ৫০ একর জমিজুড়ে ছিল রাজা গণেশের বসতি, নদ ও পুকুরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কালের বিবর্তনে বাড়ির ভিটের অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন। এলাকার একসময়ের বৃহৎ গড়টি আজও টিকে থাকলেও যথাযথ সংরক্ষণ না থাকায় তা দ্রুত ভেঙে পড়ছে। গড়ে রয়েছে বনজ, ফলজ ও নানা ঔষধি গাছসহ বহু প্রাচীন নিদর্শন।
রাজা গণেশের বসতভিটার দু’পাশে ছিল দুটি নদ, যেগুলোর উৎপত্তি কুলিক নদী থেকে। ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেসব নদ এখন চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট। স্থানীয়রা বলছেন, নদ দু’টি পুনঃখনন ও সংস্কার করা হলে কৃষিখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
গড়ের পাশে রয়েছে প্রায় ১০ একরজুড়ে তন্নীদিঘী নামে বিশাল পুকুর। একসময় পুকুরটি ৭৫ ফুট প্রস্তের মাটির প্রাচীর দ্বারা ঘেরা ছিল। এখানেই রাজার ঘোড়দৌড়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে মনে করা হয়। পুকুরের ভেতর এখনো একটি বিশাল শাল কাঠের খুঁটি দেখা যায়, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনি।
পুকুরের পূর্বপাড়ে রয়েছে শাহাজালাল কুতুবে আলম পীরের মাজার ও বিশাল কবরস্থান, যা স্থানীয়ভাবে ‘তন্নীদিঘী পারিবারিক কবরস্থান’ নামে পরিচিত। এলাকার একাধিক গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের পূর্বপুরুষদের কবর এখানে রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রবীণদের। এর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে শাহা তিসতিয়া পীরের মাজার ও দুইটি অজ্ঞাত প্রাচীন কবর।
১৯৯০ সালে পুকুরপাড়ে ৩৮টি পরিবারের জন্য একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে সরকার। সেই সময় থেকে পুকুরটি তাদের দখলেই আছে। সংরক্ষণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে এখন পুকুরেও পানি থাকে না।
ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান সরকার বলেন—
“রাজা গণেশের ইতিহাস আমরা পাঠ্যবইতে পড়েছি। কিন্তু তার প্রাচীন নিদর্শনগুলো আজ অযত্নে হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার। এগুলো রক্ষা করা গেলে এখানে বড় ধরনের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব, যা সরকারকে রাজস্ব আয়েও সহায়তা করবে।”
স্থানীয়দের দাবি—
সরকারি উদ্যোগে দ্রুত রাজা গণেশের সকল নিদর্শন সংরক্ষণ ও সংস্কার করা হলে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ফিরে পাবে নতুন প্রাণ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর – ১ সমৃদ্ধ সমাবেশ- বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা

সংরক্ষণহীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজা গণেশের প্রাচীন নিদর্শন

আপডেট সময় : 06:02:41 pm, Monday, 24 November 2025

নয়ন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গড়ভবানিপুর মৌজায় অবস্থিত চব্বিশ পরগনার ঐতিহাসিক ভাতুরিয়া রাজা গণেশের বসতভিটা, গড়, পুকুর ও দুইটি নদসহ সব নিদর্শনই এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রায়। সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ৬০০ বছরের ইতিহাস আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
হরিপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজা গণেশের এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এখান থেকে ভারত সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১-২ কিলোমিটার। ১৪১৪ থেকে ১৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজা গণেশ ভাতুরিয়া অঞ্চলের শাসনভার পরিচালনা করেন। পরে তার পুত্র যুদু মিঞা ওরফে জালালউদ্দিনের হাত ধরে ২৪ পরগনা অঞ্চলে ইসলাম প্রচার বিস্তার লাভ করে।
প্রায় ৫০ একর জমিজুড়ে ছিল রাজা গণেশের বসতি, নদ ও পুকুরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কালের বিবর্তনে বাড়ির ভিটের অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন। এলাকার একসময়ের বৃহৎ গড়টি আজও টিকে থাকলেও যথাযথ সংরক্ষণ না থাকায় তা দ্রুত ভেঙে পড়ছে। গড়ে রয়েছে বনজ, ফলজ ও নানা ঔষধি গাছসহ বহু প্রাচীন নিদর্শন।
রাজা গণেশের বসতভিটার দু’পাশে ছিল দুটি নদ, যেগুলোর উৎপত্তি কুলিক নদী থেকে। ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেসব নদ এখন চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট। স্থানীয়রা বলছেন, নদ দু’টি পুনঃখনন ও সংস্কার করা হলে কৃষিখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
গড়ের পাশে রয়েছে প্রায় ১০ একরজুড়ে তন্নীদিঘী নামে বিশাল পুকুর। একসময় পুকুরটি ৭৫ ফুট প্রস্তের মাটির প্রাচীর দ্বারা ঘেরা ছিল। এখানেই রাজার ঘোড়দৌড়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে মনে করা হয়। পুকুরের ভেতর এখনো একটি বিশাল শাল কাঠের খুঁটি দেখা যায়, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনি।
পুকুরের পূর্বপাড়ে রয়েছে শাহাজালাল কুতুবে আলম পীরের মাজার ও বিশাল কবরস্থান, যা স্থানীয়ভাবে ‘তন্নীদিঘী পারিবারিক কবরস্থান’ নামে পরিচিত। এলাকার একাধিক গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের পূর্বপুরুষদের কবর এখানে রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রবীণদের। এর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে শাহা তিসতিয়া পীরের মাজার ও দুইটি অজ্ঞাত প্রাচীন কবর।
১৯৯০ সালে পুকুরপাড়ে ৩৮টি পরিবারের জন্য একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে সরকার। সেই সময় থেকে পুকুরটি তাদের দখলেই আছে। সংরক্ষণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে এখন পুকুরেও পানি থাকে না।
ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান সরকার বলেন—
“রাজা গণেশের ইতিহাস আমরা পাঠ্যবইতে পড়েছি। কিন্তু তার প্রাচীন নিদর্শনগুলো আজ অযত্নে হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার। এগুলো রক্ষা করা গেলে এখানে বড় ধরনের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব, যা সরকারকে রাজস্ব আয়েও সহায়তা করবে।”
স্থানীয়দের দাবি—
সরকারি উদ্যোগে দ্রুত রাজা গণেশের সকল নিদর্শন সংরক্ষণ ও সংস্কার করা হলে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ফিরে পাবে নতুন প্রাণ।