
স্টাফ রিপোর্টার যশোর,
যশোরের বাঘারপাড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাংবাদিক সমাজ।
অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিক রিদয় হাসানকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তার গায়ে থাকা প্রেস লেখা কটি খুলে ছুঁড়ে ফেলা হয়, যা সাংবাদিকদের পেশাগত সম্মানের উপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, সাংবাদিক রিদয় হাসান স্থানীয় চাড়াভিটা বাজারে একটি বাসের টিকিট কাউন্টার পরিচালনা করেন। সম্প্রতি সেখানে বিএনপি ঘনিষ্ঠ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যার ভিডিও ধারণ করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, ভিডিও প্রকাশের প্রতিশোধ নিতে এবং চাঁদাবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি রিদয় হাসানকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তার উপর নির্যাতন চালান এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, রিদয় হাসান একজন তরুণ, নির্ভীক ও সমাজসচেতন সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। অথচ, তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে পুলিশ নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে চাইছে। দৈনিক লিখনী সংবাদ ও গাংচিল টিভির সম্পাদক জানান “যশোরের বাঘারপাড়া থানার ওসি রিদয়ের প্রেস কটি ছুড়ে ফেলে সাংবাদিক সমাজকে অপমান করেছেন। এটি শুধু রিদয় নয়, গোটা গণমাধ্যমের অপমান। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ওসির অপসারণ দাবি করছি। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।” ঘটনার পর থেকে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিক্ষোভে উত্তাল। দৈনিক লিখনী সংবাদ, গাংচিল টিভি এবং অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাঘারপাড়া থানার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সমাজ বলছে—এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।