
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারীর চর এলাকার ভুট্টাখেত থেকে এক কন্যা শিশুর হাত বাধা অবস্থায় পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার -১৬ এপ্রিল- দিবাগত মধ্যরাতে মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, “ আমি এখনও ঘটনাস্থলে আছি। সুরতহাল করা হয়েছে। এটি একটি প্রত্যন্ত এলাকা তাই এখান থেকে থানায় যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। নাম পরিচয়, ঠিকানা কিংবা বিস্তারিত তথ্য প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানাতে পারবো।“
নিহত ওই শিশুর নাম জান্নাতি আক্তার । তিনি ওই এলাকার ফজু মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় জান্নাতীর মা রান্না বসিয়ে তাকে তা দেখতে বলে একটু দূরে থাকা বাবার বাড়িতে যান। সে সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বাড়িতে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মেয়েটির মা। পরে বাড়ির পাশের ভুট্টাখেতে মেয়ের লাশ দেখতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালীগঞ্জের ভোটমারী ইউপির অন্তর্গত শৈলমারী নামে একটি দুর্গম চরে অবস্থিত বাড়ির পাশের ভুট্টাখেতে পাওয়া মৃত ওই শিশুটির দুই হাত পিঠমোড়া করে বাধাঁ ছিল। তার একটি হাত ও একটি পা মুচড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুখে গুঁজে দেওয়া হয়েছে বালু। কানেও আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
এলাকাবাসীরা ধারণা করছেন বাড়িতে শিশুটিকে একা পেয়ে সেই সুযোগে শিশুটিকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে হয়েছে । তবে ধর্ষণের বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।
ভোটমারী ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফরহাদ হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এসেছিল তারা পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ওসি সেলিম মালিক জানান, শিশুটির হত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে নিহত জান্নাতির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রতিবেশী সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এখনও কোন মামলা হয়নি।