স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা -তহশিলদার- জাকির হোসেন। ইতিপূর্বে জাকির হোসেন ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একই দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার -৪ ফেব্রুয়ারি- বিকেলের দিকে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া ইকোপার্ক এলাকায় সাহারবাটী ভূমি অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাকির হোসেন সকল গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখিতভাবে জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ২ টার দিকে তিনাকে নিয়ে চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর নিয়ে প্রচারিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রচারিত সংবাদের সূত্র ধরে তিনি প্রকৃত সত্যতা জানতে পূণরায় ভুক্তভোগী গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের সেলিমের কাছে গেলে জানা যায়, তার স্ত্রী পারভীনা খাতুন একজন মানুষিক রুগী। তাকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি তহশিলদার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এসব কথাবার্তা বলার জন্য শিখিয়ে দেয়। যা চ্যানেল এসে পরিবেশন করা হয়।
পারভীনা প্রতিনিধির কথানুযায়ী শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো বলে কারণ তাকে যা বলতে বলা হয় সে তাই বলে।
ভুক্তভোগী রমজানের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জাকির হোসেনকে কোন টাকা দেইনি। সাংবাদিক আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বলে যা আমি বলি এবং সে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে আর কোন টাকা দেয়নি ঐ সাংবাদিক।
তহশিলদার জাকির হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ইতিপূর্বে আমি ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বদলি হয়ে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করলে সেখানে কর্মরত অবস্থায় এ মিথ্যা ভিডিও নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চ্যানেল এসের প্রতিনিধি উপস্থিত হন আমার কাছে। এ ভিডিও প্রদর্শন করে আমার কাছ থেকে তিনি ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। সে সময় আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়া বাবদ কারো কাছ থেকে ১ টি টাকাও গ্রহণ করিনি। সুতরাং যাদের ভিডিও সংগ্রহ করেছেন তারা যদি আমার সম্মুখে এসে বলতে পারে ১ টি টাকাও গ্রহণ করেছি বা আমাকে দিয়েছে প্রমান হলে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন কিংবা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারেন। আর আমি টাকা গ্রহণ করেছি প্রমান না করতে পারলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবো বলে জানিয়ে দিই। কিন্তু সাংবাদিক সেই মিথ্যা সংবাদ চ্যানেল এসে প্রচার করলো।
জাকির হোসেন জানান, আজ আমি সাংবাদিককে ১০ লাখ টাকা দিলে এমন মিথ্যা নিউজ প্রচারিত হতোনা। এহেন সংবাদ পরিবেশনে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও মহল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ চ্যানেল এসে প্রচারে উক্ত প্রতিনিধির প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, উনি সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জনসাধারণের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলেই উল্টােপাল্টা নিউজ করার চেষ্টা করেন।
এহেন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারে তহশিলদার জাকির হোসেন উক্ত সাংবাদিকের বিচার দাবি করেন এবং প্রচারিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।