Dhaka , Wednesday, 5 February 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠিত ঐতিহ্যবাহী হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান শুরু রূপগঞ্জে ছুড়িকাঘাতে আহত দুই কিশোরের মৃত্যু জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা- উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সরাইলে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা সন্ত্রাস বিরোধী ও বাল্যবিবাহ বন্ধকরণে মতবিনিময় সভায় বায়ুদূষণকারী ইটভাটা ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান, ১.২৩ কোটি টাকা জরিমানা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাতকানিয়ায় মধ্যরাতে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে ইউএনও’র অভিযান, ১টি স্কেভেটর জব্দ পটিয়ায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার পটিয়ায় কিশোরীর রহস্যজনক আত্মহত্যা ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ ভোগান্তিতে জনসাধারণ নোয়াখালীতে গুলি,ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে নৌ-পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাংস খাওয়ার জন্য নয় বরং গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি করা হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষার সাথে নৈতিকতার সংযোগ না ঘটলে মানুষ হওয়া যায় না -ধর্ম উপদেষ্টা জামায়াত-শিবিরের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে  বিএনপির প্রতিবাদ সভা ইতালি যাবার পথে ভূমধ্যসাগরে সাগরে ডুবে নরসিংদীর ৬ যুবক নিখোঁজ চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুতে টোল আদায় শুরু প্লাস্টিক দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানালেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন চরভদ্রাসনে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ উপলক্ষে মৎস অভিযান বনিা নোটশিে নীলফামারীতে ৩৫ পট্রেল পাম্প বন্ধ রেখে অনর্দিষ্টিকালে ধমঘাট রূপগঞ্জে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা ও দোয়া মাহফিল নগরকান্দায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়কে বানিয়েছেন বাসস্থান নোয়াখালীতে থানার গোলঘরে মারামারি, আটক ৬ মেহেরপুরে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে ১১ বছর পর বিএনপি নেতাকে ফেরত চেয়ে মানব বন্ধন   ‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাসে অভিযান’ গবিতে প্রথম  ক্যান্সার দিবস উদযাপন  গাজীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন  সাভারে ইয়ামিনের লাশ উত্তোলন করতে এসে পরিবারের বাধায় ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ

লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:12:30 am, Saturday, 4 January 2025
  • 25 বার পড়া হয়েছে

লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।।

আবু তালেব
লালপুর -নাটোর -প্রতিনিধি।।
   
  
নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে ভেজাল গুড় উৎপাদন। উপজেলার লালপুর- বালিতিতা ইসলামপুর- রায়পুর- হাগরাগাড়ি- ওয়ালিয়া- কেশবপুর- মোহরকয়া ও ঈশ্বরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য গুড় তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় চিটাগুড়- চিনি- কাপড়ে ব্যবহৃত রং- ময়দা- হাইড্রোজ- পাথরের চুন ও ফিটকিরি ব্যবহার করে খেজুরের পাটালি গুড় তৈরি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন- এই ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত গুড় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম. শাহাব উদ্দীন বলেন- ভেজাল গুড় খেলে আলসার- ডায়রিয়া- কলেরাসহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুদের জন্য এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ। কেমিক্যালযুক্ত গুড় নিয়মিত খেলে কিডনি- হার্ট- ব্রেন ও লিভার ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও তাতে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান- গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে খেজুরের গুড় নামে বাজারজাত করছে। উৎপাদিত এই ভেজাল গুড় পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ- চট্টগ্রাম- খুলনা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মেহেদী হাসান জানান- দোকান বা আড়তে অভিযান চালিয়ে ভেজাল শনাক্ত করা কঠিন। এজন্য নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং ল্যাব প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বাড়ি ও কারখানাগুলোতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গুড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ বলেন- আমি খাঁটি গুড় তৈরি করছি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। কিন্তু ভেজাল গুড় কম দামে বাজারে আসায় আমাদের বিক্রি কমে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা মনে করেন- আড়তদারদের সহযোগিতা ছাড়া ভেজাল গুড় উৎপাদন সম্ভব নয়। তাদের মতে- কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় নিজেরাই এসব কারখানা স্থাপন করেছেন। স্থানীয়দের দাবি- শুধুমাত্র কারখানার শ্রমিক ও মালিক নয়- আড়তদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
লালপুর ঐতিহ্যবাহী গুড় উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। -ঐতিহ্য ও সম্ভাবনায় ভরপুর- চিনি-গুড়ে সুবাসিত উষ্ণতম লালপুর– এই স্লোগান নিয়ে গর্বিত এই অঞ্চলের গুড় আজ ভেজালের কারণে তার সুনাম হারাচ্ছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা- প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে লালপুরের ঐতিহ্যবাহী গুড় আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠিত

লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।।

আপডেট সময় : 05:12:30 am, Saturday, 4 January 2025
আবু তালেব
লালপুর -নাটোর -প্রতিনিধি।।
   
  
নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে ভেজাল গুড় উৎপাদন। উপজেলার লালপুর- বালিতিতা ইসলামপুর- রায়পুর- হাগরাগাড়ি- ওয়ালিয়া- কেশবপুর- মোহরকয়া ও ঈশ্বরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য গুড় তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় চিটাগুড়- চিনি- কাপড়ে ব্যবহৃত রং- ময়দা- হাইড্রোজ- পাথরের চুন ও ফিটকিরি ব্যবহার করে খেজুরের পাটালি গুড় তৈরি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন- এই ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত গুড় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম. শাহাব উদ্দীন বলেন- ভেজাল গুড় খেলে আলসার- ডায়রিয়া- কলেরাসহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুদের জন্য এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ। কেমিক্যালযুক্ত গুড় নিয়মিত খেলে কিডনি- হার্ট- ব্রেন ও লিভার ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও তাতে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান- গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে খেজুরের গুড় নামে বাজারজাত করছে। উৎপাদিত এই ভেজাল গুড় পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ- চট্টগ্রাম- খুলনা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মেহেদী হাসান জানান- দোকান বা আড়তে অভিযান চালিয়ে ভেজাল শনাক্ত করা কঠিন। এজন্য নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং ল্যাব প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বাড়ি ও কারখানাগুলোতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গুড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ বলেন- আমি খাঁটি গুড় তৈরি করছি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। কিন্তু ভেজাল গুড় কম দামে বাজারে আসায় আমাদের বিক্রি কমে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা মনে করেন- আড়তদারদের সহযোগিতা ছাড়া ভেজাল গুড় উৎপাদন সম্ভব নয়। তাদের মতে- কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় নিজেরাই এসব কারখানা স্থাপন করেছেন। স্থানীয়দের দাবি- শুধুমাত্র কারখানার শ্রমিক ও মালিক নয়- আড়তদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
লালপুর ঐতিহ্যবাহী গুড় উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। -ঐতিহ্য ও সম্ভাবনায় ভরপুর- চিনি-গুড়ে সুবাসিত উষ্ণতম লালপুর– এই স্লোগান নিয়ে গর্বিত এই অঞ্চলের গুড় আজ ভেজালের কারণে তার সুনাম হারাচ্ছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা- প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে লালপুরের ঐতিহ্যবাহী গুড় আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।