আব্দুর রাজ্জাক শাওন।।
১৮৫৪ সালে প্রথম ব্রিটিশরা সিলেটের মালনীছড়ায় পরীক্ষামূলক ভাবে চা চাষ শুরু করে। মালনীছড়া পনেরশত জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান। সিলেট বিমান বন্দর সড়কের পাশে মালনীছড়া চা বাগানের অবস্থান।
দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ নামে পরিচিত হয় সিলেট।
বাংলাদেশ চা বোর্ডে নিবন্ধিত চা বাগান আছে ১৬৭টি। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা বাগান সিলেট অঞ্চলে। এখানে তিন জেলা মিলিয়ে বাগান আছে ১৩৫টি। শুধু সিলেটই নয়- সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়তন- প্রায় দেড় লাখ একরের চা বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়।
সিলেট অঞ্চলের বাগানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের মালিকানায় রয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দেওরাছড়া, বড়লেখা উপজেলার নিউসমনবাগ, পাথারিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিটিআরআই- রাজনগর উপজেলার কাশিপুর চা বাগান। এসব বাগানের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব।
চা বোর্ডের তথ্যানুসারে, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের চা বাগান রয়েছে ১২টি। তন্মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা, কুরমা, চাম্পারাই, মদনমোহনপুর, মাধবপুর চা বাগান, মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর, তেলিয়াপাড়া, চণ্ডীছেঁড়া চা বাগান, লাক্কাতুরা চা বাগান, চুনারুঘাট উপজেলার পারকুল চা বাগান, মৌলভীবাজার ও কুলাউড়া উপজেলার প্রেমনগর ও বিজয়া চা বাগান রয়েছে।