আবু হুরায়রা- গবি সংবাদদাতা।।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের -গবি- আইন বিভাগের সভাপতি ড. পারভেজ আহমেদের অব্যহতি প্রত্যাখ্যানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিগত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার -২৬ ডিসেম্বর- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীরা সভাপতির পদত্যাগের বিরোধিতা করেছে।
এসময় তারা অভিযোগ জানায়- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। এছাড়ায়ও শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়- যদি সভাপতিকে পদে বহাল না রাখা হয় এবং এই ধরনের অপপ্রচার বন্ধ না করা হয়- তবে তারা বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে।
এর আগে- মঙ্গলবার -২৪ ডিসেম্বর- আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. পারভেজ আহমেদের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাখ্যান করে স্বপদে তাকে অন্তত দু’বছর দায়িত্বে রাখার দাবিতে উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় রেজিস্ট্রারের কাছে বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ আবেদন জমা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আলোচনায় গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দুটি আবেদনপত্র পেয়েছি। ড. পারভেজ আহমেদ গত ৭ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দিলেও আমি তা গ্রহণ করিনি এবং আমি তার সাথে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছি। অমি তাকে পদে বহাল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন- সামাজিক মাধ্যমে ড. পারভেজের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে তা দুঃখজনক এবং এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা শেষে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে স্বপদে বহাল রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। তাই বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছি। তবে যদি প্রশাসন তাদের সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে- তাহলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামবে।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি ড. পারভেজ আহমেদ জানান- পদত্যাগপত্র প্রশাসনের নিকট জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমি কোন মন্তব্য করতে পারছি না। আইন বিভাগে যে ইতিবাচক কাজ করেছি সেগুলো পছন্দ করেই শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে আমাকে স্বপদে রাখার জন্য চেষ্টা করছে। যেহেতু পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি বাকী সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিবে।