Dhaka , Sunday, 22 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে ৫ কোটি টাকা বাজেটের গাইড ওয়ালে ব্যবহার হচ্ছে ভিটি বালু ও ব্যবহৃত পাথর।। দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় হলুদ ফুলে সোভা ছড়াচ্ছে সরিষা ক্ষেত।। ভোলা জেলার ডিবি পুলিশের অভিযানে ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ১ জন আটক।। প্রথম বারের মতো নারী নেতৃত্বে গবিসাস।। চট্টগ্রামের পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত।। গাজীপুরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু।। রূপগঞ্জে মীর মুগ্ধ স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত বড় দিন উপলক্ষে দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ।। চন্দনাইশে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে কর্ণেল অলির নগদ অর্থ বিতরণ।। লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু।। দোহাজারী ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া নড়ে না কাগজ রকারি নিয়ম না থাকলেও টানা ৭ বছর ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন কাজী মো. এনামুল হকস।। বিভাগের দাবিতে উত্তাল নোয়াখালী।। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান- দুই হোটেলকে জরিমানা।। কক্সবাজারের প্রেমিক যুগল ইয়াবা পাচারকালে পটিয়া থানা পুলিশ আটক করেছে।। তিনদিন ব্যাপী জাফলং পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন।। ঝিনাইগাতী রিপোর্টার্স ক্লাব এর পূনাঙ্গ কমিটি গঠন।। হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবে সরকার।। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেল তথ্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের।। শেখ হাসিনা লক্ষ্মণ সেনের মত পালিয়ে গেছে ব্যারিস্টার সালাম।। ককসবাজারে দিনব্যাপী শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত।। কক্সবাজারের প্রেমিক যুগলের ইয়াবা পাচার পটিয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা।। পাবনায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ২।। নীলফামারীতে বন বিভাগের বাগান থেকে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।। পাবনা স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন মূল আসামি আটক।। লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত ১৫সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা।। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী।। সা’দ পন্থিদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ। সুন্দরগঞ্জের দূর্গম চরে শীতবস্ত্র বিতরণ।। চট্টগ্রামে স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে উপদেষ্টার পিএস’র হস্তক্ষেপের অভিযোগ।।

দোহাজারী ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া নড়ে না কাগজ রকারি নিয়ম না থাকলেও টানা ৭ বছর ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন কাজী মো. এনামুল হকস।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:07:11 am, Sunday, 22 December 2024
  • 5 বার পড়া হয়েছে

দোহাজারী ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া নড়ে না কাগজ রকারি নিয়ম না থাকলেও টানা ৭ বছর ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন কাজী মো. এনামুল হকস।।

চন্দনাইশ-চট্টগ্রাম-প্রতিনিধি।।
   
চন্দনাইশের দোহাজারী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক অদৃশ্য ক্ষমতা এবং টাকার দাপটে দীর্ঘ ৭ বছর দোহাজারী ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন। অথচ সরকারি নিয়মই আছে এক কর্মকর্তা এক অফিসে সর্বোচ্চ ৩ বছর চাকুরী করতে পারবেন। দোহাজারী ভূমি অফিসে দীর্ঘ ৭ বছর চাকুরীর সুবাধে তিনি দোহাজারী ভূমি অফিসকে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে। তার দূর্নীতির বিষয়ে ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক- ভূমি মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী সাধারণ জনগণ।
    
অভিযোগে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা ভূমি অফিসের  ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী মো. এনামুল হক দীর্ঘ ৭ বছর যাবত ক্ষমতা এবং টাকার দাপটে চাকরী করে আসছেন একই অফিসে। দীর্ঘ দিন এক অফিসে চাকরি করার সুবাদে দূর্নীতির ভূমি অফিস নামে পরিচিত লাভ করেছে দোহাজারী ভূমি অফিস। এই দূর্নীতির সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা হয় অফিসে খন্ডকালীন কর্মচারীদের। ভূমি অফিসে কেউ সেবা নিতে গেলেই ভয় পায় কারণ সেবার বিপরীতে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী-বিবাদী থেকে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে দেওয়া হয় প্রতিবেদন। নামজারি প্রস্তাব পাঠাতে দিতে হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। এইভাবে সব বিষয়ে টাকা আর টাকা। মোটকথা অফিসে ঢুকলে ঘুষ ছাড়া কোন কাগজপত্র নড়ে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বিপুল অর্থের বিনিমেয়ে কাজী এনামুল হক হাসিমপুর এলাকা- জামিজুরী- লালুটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে মৎস্য প্রজেক্ট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। 
     
জসিম উদ্দীন জিকু নামে এক ভূক্তভোগী জানান- গত এক মাস আগে তিনি জমির খাজনা দিতে যান দোহাজারী ভূমি অফিসে। ৩৩ বছরের খাজনা বাবদ তার থেকে দাবি করা হয় ৭০ হাজার টাকা।
স্থানীয় শহীদুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে যথানিয়মে জমির নামজারী করেন। নামজারী অনলাইনে অনুমোদনও হয়। কিন্তু খাজনা রশিদের জন্য আবেদন করলে ১ মাস ১৭ দিন পর ভূমি সহকারী এনামুল হক বলেন- আপনার নামজারীটি খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু তাকে কোন ধরনের নোটিশও প্রদান করা হয়নি। অথচ উক্ত নামজারী করাতে গিয়ে তার ৯৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। 
মাহামুদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান- তার জমির খাজনা এসেছে ৩২ হাজার টাকা। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এনামুল হক দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তার থেকে নিয়েছেন মাত্র ১৪ হাজার টাকা। এ টাকার অর্ধেক ৭ হাজার টাকা তার পকেটে রেখেছেন এবং ৭ হাজার টাকা সরকারি খোসাগারে জমা করেছেন। মাত্র ৭ হাজার জন্য তিনি সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন। এরকম অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। 
দোহাজারী ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার -ভূমি- ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান- তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

শরীয়তপুরে ৫ কোটি টাকা বাজেটের গাইড ওয়ালে ব্যবহার হচ্ছে ভিটি বালু ও ব্যবহৃত পাথর।।

দোহাজারী ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া নড়ে না কাগজ রকারি নিয়ম না থাকলেও টানা ৭ বছর ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন কাজী মো. এনামুল হকস।।

আপডেট সময় : 10:07:11 am, Sunday, 22 December 2024
চন্দনাইশ-চট্টগ্রাম-প্রতিনিধি।।
   
চন্দনাইশের দোহাজারী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক অদৃশ্য ক্ষমতা এবং টাকার দাপটে দীর্ঘ ৭ বছর দোহাজারী ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী পদে কর্মরত আছেন। অথচ সরকারি নিয়মই আছে এক কর্মকর্তা এক অফিসে সর্বোচ্চ ৩ বছর চাকুরী করতে পারবেন। দোহাজারী ভূমি অফিসে দীর্ঘ ৭ বছর চাকুরীর সুবাধে তিনি দোহাজারী ভূমি অফিসকে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে। তার দূর্নীতির বিষয়ে ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক- ভূমি মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী সাধারণ জনগণ।
    
অভিযোগে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা ভূমি অফিসের  ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী মো. এনামুল হক দীর্ঘ ৭ বছর যাবত ক্ষমতা এবং টাকার দাপটে চাকরী করে আসছেন একই অফিসে। দীর্ঘ দিন এক অফিসে চাকরি করার সুবাদে দূর্নীতির ভূমি অফিস নামে পরিচিত লাভ করেছে দোহাজারী ভূমি অফিস। এই দূর্নীতির সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা হয় অফিসে খন্ডকালীন কর্মচারীদের। ভূমি অফিসে কেউ সেবা নিতে গেলেই ভয় পায় কারণ সেবার বিপরীতে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী-বিবাদী থেকে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে দেওয়া হয় প্রতিবেদন। নামজারি প্রস্তাব পাঠাতে দিতে হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। এইভাবে সব বিষয়ে টাকা আর টাকা। মোটকথা অফিসে ঢুকলে ঘুষ ছাড়া কোন কাগজপত্র নড়ে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বিপুল অর্থের বিনিমেয়ে কাজী এনামুল হক হাসিমপুর এলাকা- জামিজুরী- লালুটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে মৎস্য প্রজেক্ট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। 
     
জসিম উদ্দীন জিকু নামে এক ভূক্তভোগী জানান- গত এক মাস আগে তিনি জমির খাজনা দিতে যান দোহাজারী ভূমি অফিসে। ৩৩ বছরের খাজনা বাবদ তার থেকে দাবি করা হয় ৭০ হাজার টাকা।
স্থানীয় শহীদুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন- তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে যথানিয়মে জমির নামজারী করেন। নামজারী অনলাইনে অনুমোদনও হয়। কিন্তু খাজনা রশিদের জন্য আবেদন করলে ১ মাস ১৭ দিন পর ভূমি সহকারী এনামুল হক বলেন- আপনার নামজারীটি খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু তাকে কোন ধরনের নোটিশও প্রদান করা হয়নি। অথচ উক্ত নামজারী করাতে গিয়ে তার ৯৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। 
মাহামুদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান- তার জমির খাজনা এসেছে ৩২ হাজার টাকা। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এনামুল হক দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তার থেকে নিয়েছেন মাত্র ১৪ হাজার টাকা। এ টাকার অর্ধেক ৭ হাজার টাকা তার পকেটে রেখেছেন এবং ৭ হাজার টাকা সরকারি খোসাগারে জমা করেছেন। মাত্র ৭ হাজার জন্য তিনি সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন। এরকম অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। 
দোহাজারী ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার -ভূমি- ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান- তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।