কক্সবাজার প্রতিনিধি।।
দিনদুপুরে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন শর্মা রনি। বনবিভাগের অভিযানে মাঝেমধ্যে দু’একটি ডাম্পার জব্দ হলেও পাহাড়খেকোরা পার পেয়ে যাচ্ছে বনমামলা থেকে। জানা যায়-হলদিয়া পালং ৮নং ওয়ার্ডে পাহাড় কাটার ছলে ডাম্পার দাঁড় করিয়ে মাটি ভর্তি করছে কয়েক শ্রমিক।
পাহাড় কাটার ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা একজন জানায়- ডাম্পারটি স্বপন মেম্বারের এবং মাটিও স্বপন মেম্বার কাটতে বলছে। রাস্তার কাজ চলছে সেখানে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বপন শর্মা রনি মাটি সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাহাড় কাটার স্পটে অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে মাটিভর্তি ডাম্পার পালিয়ে গেলে পাহাড় কাটার সময় একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা। গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহিনুর ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস দেড়েক আগে থেকে দুই তিনটি স্পট থেকে স্বপন শর্মা রনির নিজস্ব ডাম্পার দিয়ে পাহাড়ের মাটি সরবরাহ
করা করছে।
প্রতি ডাম্পার মাটি দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। এভাবে পাহাড় কাটার বিষয়ে বনবিভাগের এক শ্রেণির কর্মকর্তাকে ম্যানেজের ব্যাপারে ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা-কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এইচএম এরশাদ বলেন- যেখানে জনপ্রতিনিধিরা পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষা করে মানুষকে সচেতন করার কথা- সেখানে উল্টো তারা নিজেরাই পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে, সেখানে পাহাড় রক্ষা করাটা কঠিন হয়ে ওঠে। অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। পাহাড় কেটে সাবাড় করার পরও এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন নীরব ভূমিকায় থাকা হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা। সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও দিনদুপুরে পাহাড় কেটে সাবাড় করে পরিবেশের ক্ষতির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সে প্রশ্নের জবাবে সহকারী বন সংরক্ষক -এসিএফ- শাহিনুর ইসলাম শাহিন জানান, আমি ইতোমধ্যে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পাহাড় কাটার সময় একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তার জবানবন্দি অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।