Dhaka , Wednesday, 6 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জুলাই অভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছিলো- পীর সাহেব চরমোনাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তিতে সরাইলে জনতার উল্লাস দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই’২৪ গণহত্যার বিচার করতে হবে————-জাহাঙ্গীর কবির সুন্দরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপি ও জামায়াতের র‌্যালি সমাবেশ  হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। মির্জাপুরে এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার রাজাপুরে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত গণঅভ্যুত্থান দিবসে রাজাপুরে শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা রূপগঞ্জে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা ॥ পথসভা  নোয়াখালীর চৌমুহনীতে জুলাই চেতনা ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ; বিপ্লবের আনন্দে জামায়াতের গনমিছিল কক্সবাজারে পোকখালীর আলোচিত রফিক চেয়ারম্যান অবশেষে গ্রেফতার  লালমনিরহাটে র‍্যাবের পৃথক অভিযানে মাদক উদ্ধার, আটক ১ লালমনিরহাটে মামলায় এক আসামীর ১০ বছর কারাদণ্ড নরসিংদীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন ‎মির্জাপুরে ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও কৃষক লীগ নেতা কালাম গ্রেপ্তার দেশের মানুষের ১৬ বছরের আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের বহিঃপ্রকাশ ৫ আগস্ট: ড. মঈন খান স্বাধীনতার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রূপগঞ্জে বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানের আগে উৎসবমুখর মানিক মিয়া এভিনিউ, বিকেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা গত ১১ মাসের রাজনৈতিক সহিংসতা: বিএনপি ৯২%, আ.লীগ ২২%, জামায়াত ৫% ও এনসিপি ১% ঘটনায় জড়িত রাজাপুরে অবৈধ জাল জব্দ ও ধ্বংস : চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান বিএনপি ছাড়লেন ড. ফয়জুল, ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন “দল নয়, দেশই আমার প্রথম পরিচয়”—সংবাদ সম্মেলনে ফয়জুল হক জয়দেবপুরে ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ উদ্বোধন আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংসহ আটজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার দেশীয় অস্ত্র-মাদক ও চোরাই মোটরসাইকেল বেগমগঞ্জে একদিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে পল্লী বিদ্যুৎের প্রায় ৩০ মিটার ছুরি ; থানায় ছুরির  অভিযোগ নিতে গ্রাহক হয়রানি  ফরিদপুর কোতয়ালী হতে দুই জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার । রাজবাড়ীর পাংশায় দুই রাউন্ড কার্তুজ তিন টি ককটেল দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান র‌্যাব-১০ কর্তৃক উদ্ধার। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা প্রশাসন মাইকিং করার পরও উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ স্থাপনা। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় আরো ৪৬ জন বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা খাগড়াছড়িতে এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো পিসিসিপি

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:05:58 am, Monday, 23 September 2024
  • 126 বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
   
   
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন একটি চক্র। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। এ ছাড়া কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলনের ফলে প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩০ টি পয়েন্ট থেকে কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীর থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ডলির মার খামার- চরসেনসাস ইউনিয়নের নতুন বালার বাজার, ডিএমখালি ইউনিয়নের হকপুর- আরশি নগর ইউনিয়নের ফেলুরচর বাজার, ছয়গাও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার- টেকের বাজার- চরভাগা ইউনিয়নের ছুরিরচর সহ প্রায় ৩০ টি পয়েন্টে রাতদিন সমানতালে অবৈধভাবে নদী ও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। নদী তীরবর্তী ড্রেজার প্রতি সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং কৃষিজমি কাটার জন্য গুনতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হারুন পাটোয়ারী নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী বলেন- আমি ও মিজান সিকদার এই দুটি ড্রেজারের পরিচালনা করি। প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা মোটা অংকের টাকা দেওয়ার পরই মৌখিকভাবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেন। মাটি ও বালু মহালের চাঁদার টাকা নিচ থেকে উপর মহল সবখানে পৌঁছানোর পরে এ ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এ বর্ষায় নদীর পাড় এলাকার ফসলি জমি- ঘর-বাড়িসহ সরকারি স্থাপনা মারাত্মকভাবে নদী ভাঙনের কবলে পড়বে। এসব বালু মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
বালার বাজার এলাকার বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন- সব সময় নদীর নিচু এলাকা দিয়েই পানির প্রবাহ বইতে থাকে। তাই বর্ষার সময় পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে। একবার ভাঙন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফেলুরচর এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন- ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে বর্ষা এলেই নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। তখন আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। স্থানীয় হারুন পাটোয়ারী ও মিজান সিকদার প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ভয়ে সাধারণ লোকজন তাদেরকে কিছুই বলতে সাহস পায় না।
নদী রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছেন ‘অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে নদী থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন- আমাদের চেষ্টা বা আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। অবৈধ ড্রেজারগুলো বন্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জুলাই অভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছিলো- পীর সাহেব চরমোনাই

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

আপডেট সময় : 09:05:58 am, Monday, 23 September 2024
শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
   
   
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন একটি চক্র। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। এ ছাড়া কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলনের ফলে প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩০ টি পয়েন্ট থেকে কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীর থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ডলির মার খামার- চরসেনসাস ইউনিয়নের নতুন বালার বাজার, ডিএমখালি ইউনিয়নের হকপুর- আরশি নগর ইউনিয়নের ফেলুরচর বাজার, ছয়গাও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার- টেকের বাজার- চরভাগা ইউনিয়নের ছুরিরচর সহ প্রায় ৩০ টি পয়েন্টে রাতদিন সমানতালে অবৈধভাবে নদী ও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। নদী তীরবর্তী ড্রেজার প্রতি সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং কৃষিজমি কাটার জন্য গুনতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হারুন পাটোয়ারী নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী বলেন- আমি ও মিজান সিকদার এই দুটি ড্রেজারের পরিচালনা করি। প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা মোটা অংকের টাকা দেওয়ার পরই মৌখিকভাবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেন। মাটি ও বালু মহালের চাঁদার টাকা নিচ থেকে উপর মহল সবখানে পৌঁছানোর পরে এ ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এ বর্ষায় নদীর পাড় এলাকার ফসলি জমি- ঘর-বাড়িসহ সরকারি স্থাপনা মারাত্মকভাবে নদী ভাঙনের কবলে পড়বে। এসব বালু মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
বালার বাজার এলাকার বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন- সব সময় নদীর নিচু এলাকা দিয়েই পানির প্রবাহ বইতে থাকে। তাই বর্ষার সময় পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে। একবার ভাঙন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফেলুরচর এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন- ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে বর্ষা এলেই নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। তখন আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। স্থানীয় হারুন পাটোয়ারী ও মিজান সিকদার প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ভয়ে সাধারণ লোকজন তাদেরকে কিছুই বলতে সাহস পায় না।
নদী রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছেন ‘অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে নদী থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন- আমাদের চেষ্টা বা আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। অবৈধ ড্রেজারগুলো বন্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি।