Dhaka , Sunday, 11 May 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
গাজীপুরে আদালতের রায় উপেক্ষা, কৃষি জমির মাটি লুটের অভিযোগ  দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে তারুণ্যের অনুষ্ঠানে- মির্জা ফখরুল রাস্ট্রে যতদিন ইসলাম কায়েম না হবে ততদিন মানুষ ন্যায় বিচার পাবেনা- মাওলানা বোরহান উদ্দিন  চট্টগ্রাম নগরীর শতভাগ উন্নয়ন ও নাগরিক সেবায় সিটি গভর্নমেন্ট ধারণা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই- মেয়র ডা. শাহাদাত গাজীপুরে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ঘাতকের বাড়িতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর আগুন নারায়ণগঞ্জে গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে ফের বিক্ষোভ কক্সবাজারের শীর্ষ আলেম আবু বকরের ইন্তেকাল, শোকের ছায়া  কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর গ্রেফতার নরসিংদী দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিকের ওপর দূর্বৃত্তদের হামলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগের ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার  মোংলা সরকারী হাসপাতাল ১০০ শয্যার দাবিতে মানববন্ধন চট্টগ্রামে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে বলাকা প্রকাশনের গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ- কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার লালমনিরহাটে আঃ লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার বেতাগী কাউনিয়া বাজারে বাস- ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী সহ আহত-৩ চন্দনাইশে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী গাজীপুর মহিলা কারাগারে  কক্সবাজারে নদীতে গোসলে নেমে তরুণের সলিল সমাধি  সাভার উপজেলায় ঢাকা-কো-অপারেটিভ হাউজ বিল্ডিং সোসাইটির উন্নয়নে মতবিনিময় সভা সাম্পান র‌্যালিতে সি এম পি কমিশনার কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন আপোষ নয় রূপগঞ্জে জামদানী পল্লিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিদর্শন সপ্তদ্বীপার পাক্ষিক সাহিত্য আসর চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার মণিরামপুরবাসীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, জনগণ চাইলে বাস্তবায়ন হবে- এ্যাডঃ শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন নরসিংদী বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ  বরিশালে পুলিশের হাতে লালমনিরহাটের জ্বীনের বাদশা গ্রেপ্তার মধ্যরাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, দায়িত্বে অবহেলায় তিন পুলিশ বরখাস্ত-প্রত্যাহার চট্টগ্রাম হবে বিনিয়োগের স্বর্গভূমি- চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:05:58 am, Monday, 23 September 2024
  • 86 বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
   
   
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন একটি চক্র। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। এ ছাড়া কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলনের ফলে প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩০ টি পয়েন্ট থেকে কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীর থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ডলির মার খামার- চরসেনসাস ইউনিয়নের নতুন বালার বাজার, ডিএমখালি ইউনিয়নের হকপুর- আরশি নগর ইউনিয়নের ফেলুরচর বাজার, ছয়গাও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার- টেকের বাজার- চরভাগা ইউনিয়নের ছুরিরচর সহ প্রায় ৩০ টি পয়েন্টে রাতদিন সমানতালে অবৈধভাবে নদী ও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। নদী তীরবর্তী ড্রেজার প্রতি সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং কৃষিজমি কাটার জন্য গুনতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হারুন পাটোয়ারী নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী বলেন- আমি ও মিজান সিকদার এই দুটি ড্রেজারের পরিচালনা করি। প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা মোটা অংকের টাকা দেওয়ার পরই মৌখিকভাবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেন। মাটি ও বালু মহালের চাঁদার টাকা নিচ থেকে উপর মহল সবখানে পৌঁছানোর পরে এ ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এ বর্ষায় নদীর পাড় এলাকার ফসলি জমি- ঘর-বাড়িসহ সরকারি স্থাপনা মারাত্মকভাবে নদী ভাঙনের কবলে পড়বে। এসব বালু মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
বালার বাজার এলাকার বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন- সব সময় নদীর নিচু এলাকা দিয়েই পানির প্রবাহ বইতে থাকে। তাই বর্ষার সময় পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে। একবার ভাঙন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফেলুরচর এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন- ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে বর্ষা এলেই নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। তখন আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। স্থানীয় হারুন পাটোয়ারী ও মিজান সিকদার প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ভয়ে সাধারণ লোকজন তাদেরকে কিছুই বলতে সাহস পায় না।
নদী রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছেন ‘অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে নদী থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন- আমাদের চেষ্টা বা আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। অবৈধ ড্রেজারগুলো বন্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

গাজীপুরে আদালতের রায় উপেক্ষা, কৃষি জমির মাটি লুটের অভিযোগ 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন হুমকিতে বসতবাড়ি।।

আপডেট সময় : 09:05:58 am, Monday, 23 September 2024
শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
   
   
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন একটি চক্র। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। এ ছাড়া কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলনের ফলে প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩০ টি পয়েন্ট থেকে কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে কীর্তিনাশা ও হোগলা নদীর তীর থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ডলির মার খামার- চরসেনসাস ইউনিয়নের নতুন বালার বাজার, ডিএমখালি ইউনিয়নের হকপুর- আরশি নগর ইউনিয়নের ফেলুরচর বাজার, ছয়গাও ইউনিয়নের আনন্দ বাজার- টেকের বাজার- চরভাগা ইউনিয়নের ছুরিরচর সহ প্রায় ৩০ টি পয়েন্টে রাতদিন সমানতালে অবৈধভাবে নদী ও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। নদী তীরবর্তী ড্রেজার প্রতি সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং কৃষিজমি কাটার জন্য গুনতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
হারুন পাটোয়ারী নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী বলেন- আমি ও মিজান সিকদার এই দুটি ড্রেজারের পরিচালনা করি। প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা মোটা অংকের টাকা দেওয়ার পরই মৌখিকভাবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেন। মাটি ও বালু মহালের চাঁদার টাকা নিচ থেকে উপর মহল সবখানে পৌঁছানোর পরে এ ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এ বর্ষায় নদীর পাড় এলাকার ফসলি জমি- ঘর-বাড়িসহ সরকারি স্থাপনা মারাত্মকভাবে নদী ভাঙনের কবলে পড়বে। এসব বালু মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
বালার বাজার এলাকার বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন- সব সময় নদীর নিচু এলাকা দিয়েই পানির প্রবাহ বইতে থাকে। তাই বর্ষার সময় পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে। একবার ভাঙন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফেলুরচর এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন- ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে বর্ষা এলেই নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। তখন আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। স্থানীয় হারুন পাটোয়ারী ও মিজান সিকদার প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ভয়ে সাধারণ লোকজন তাদেরকে কিছুই বলতে সাহস পায় না।
নদী রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছেন ‘অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে নদী থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন- আমাদের চেষ্টা বা আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। অবৈধ ড্রেজারগুলো বন্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি।