Dhaka , Sunday, 23 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নরসিংদীতে আবারও ভূমিকম্প, আতন্কে রাস্তায় নেমে এলো মানুষ কক্সবাজারে স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন সমৃদ্ধি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সহোদর ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু সিএমইউজে’র নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন পাইকগাছায় বিএনপির সেন্টার কমিটি বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীতে কাঠের সেতু করে দিলেন – ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবেনা: তানিয়া রব বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্বোধন মধুপুরে টাঙ্গাইল- ১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ধর্ম ব্যতীত শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে:- ধর্ম উপদেষ্টা পাইকগাছায় পাখি সুরক্ষায় মাঠসভা ও ৪০টি পাখির বাসা স্থাপন আওয়ামী লীগের আমলে যারা টাকা লুটপাট করছে এই মানুষগুলিও শিক্ষিত ছিল- -নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনাসভা বর্জন করলো ইবি ছাত্রদল বিজিবি’র মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযান: সীমান্তে গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার সেন্টমার্টিনের আব্দুল গণির জালে ধরা পড়লো ৩২ কেজির পোপা মাছ ভূমিকম্পে নরসিংদী হারিয়ে গেল শিশু সহ পাঁচ জীবন, আহত শতাধিক ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মত মতবিনিময় সভা রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগকে আর স্থান দেওয়া হবে না: ইশরাক হোসেন গৌরবময় পথচলার ৪৭ বছর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবি দিবস উদযাপন হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে উদ্বোধন ও অভিষেক উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রামুতে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ প্রাইভেট কার নিয়ে চালক আটক নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বাবা–ছেলের মৃত্যু। অর্জন, প্রাপ্তি ও প্রশ্নে ইবির ৪৭ তম বছরে পদার্পণ  পাইকগাছায় পাখির জন্য বাঁধা মাটির পাত্রে- এবার কাঠবিড়ালির বাসা ফতুল্লা থানা বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে বিশাল গণসমাবেশ রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেওয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু ॥ আহত ৩

রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুন – তদন্ত কমিটির পরিদর্শন।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:52:04 pm, Wednesday, 28 August 2024
  • 131 বার পড়া হয়েছে

রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুন - তদন্ত কমিটির পরিদর্শন।।

এস এম রনি 
স্টাফ রিপোর্টার।।
   
  
রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায়  দুর্ঘটনা কবলিত ভবন ধ্বসের আশঙ্কায় অভিযান নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ভবনের ভিতরে অধিক তপ্ত ও ধ্বসে পড়ার আশঙ্কাসহ নানা প্রতিক- লতায় উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা যাচ্ছে না। গতকাল ২৮আগষ্ট বুধবার বিকেল ৩টায় পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। 
গাজী টায়ার কারখানা ভবনের আগুন নিভে গেলেও ভিতরে উত্তাপ রয়েছে। তবে ভবনের স্থানে স্থানে দেয়াল ধসে পড়ছে। চতুর্থ ফ্লোর ঝুলে গেছে। সেকারনে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেনা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ভবনের প্রবেশধারে বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী-বিজিবি-শিল্প পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে তারা সিঁড়ি দিয়ে ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে নিখোঁজদের তল্লাশীর চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান। 
এদিকে সকাল থেকে কারখানার প্রবেশদ্বারে নিখোঁজদের অপেক্ষায় স্বজনরা ভিড় জমিয়েছেন। নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তারা। তবে কখন ভবনে পুরোদমে অভিযান শুরু হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেনা। এদিকে ঘটনার আলামত- সাক্ষ্য প্রমাণাদি প্রাপ্তি সংস্থা ক্রাইমসিন ইউনিটের প্রতিনিধি দলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন করেছেন ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি । 
তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেন, আগুনে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। তদন্ত কাজ চলছে। আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ সঠিকভাবে করতে না পারলে জাতীয়ভাবে বিষয়টি দেখার জন্য  উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। স্থানীয়ভাবে,ছাত্র সহ একাধিক তালিকা হচ্ছে । পরবর্তীতে আমরা অবশ্যই নিখোঁজের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। 
রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়ার ছেলে হযরত মিয়া তিন মাস আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ফারজানা আক্তারকে। হাতের মেহেদীর রং এখনো শুকায়নি। গত রবিবার অন্যদের মতো মালামাল সংগ্রহ করতে গাজী টায়ার কারখানায় গিয়েছিলেন হযরত মিয়া। রাতে কারখানার আগুন লাগা ভবনের ছয়তলায় আটকা পড়েন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন হযরত মিয়া। তার পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম।
রুপসী কলাবাগান এলাকার জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী শেখ ফরিদ গত ৫আগস্ট তার বন্ধুদের সাথে এই কারখানা থেকে কিছু টায়ার এনে বিক্রি করছিলো। গত ২৫ তারিখেও বন্ধুদের সাথে গাজীর কারখানা থেকে টায়ার আনতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলছিলো ৬ তলা ভবনের ছাদে আগুনে আমি আটকা পড়েছি। আমাকে বাঁচাও। আমি মনে হয় আর বাঁচবো না । আমাকে মাফ করে দিও।
         
নিখোঁজ মিল্লাতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, তার স্বামী গত রবিবার গাজী টায়ার কারখানায় গিয়েছিলো মালামাল নিতে। আমি নিষেধ করছিলাম। কিন্তু সে আমার কথা রাখেনি। আজকে তিনদিন হয়ে গেলো আমার স্বামীর কোন খোঁজ-খবর পাইতেছিনা। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে এখন আমি কি করমু। বিলাপ করে কাঁদছেন আর স্বামীর জন্য আহাজারি করছেন এই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় গত রবিবার ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ১৭৬ জনের তালিকা করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি উপজেলার মৈকুলী, রূপসী কাজিপাড়া- ছাতিয়ান- মুগরাকুল- কাহিনা- বরপা- মাসাবো-তারাবো- বরাবো-চনপাড়া, মুড়াপাড়াসহ আশপাশের গ্রামে। নিখোঁজদের প্রায় সকলের বহিরাগত । 
গাজী টায়ার কারখানার নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন-কারখানাটি একেবারেই শেষ হয়ে গেছে । তাতে ১০-১২ হাজার মানুষ  কর্মহীন  হয়ে পড়েছে । আগুনে কারখানায় ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা যায়নি। 
উল্লেখ্য গত ২৫আগস্ট দুর্বৃত্তরা রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। লুটপাট করতে গিয়ে ভবনের ভেতরেই অনেক মানুষ আটকে পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ১৭৬জন নিখোঁজ থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরো বেশি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।  

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে আবারও ভূমিকম্প, আতন্কে রাস্তায় নেমে এলো মানুষ

রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুন – তদন্ত কমিটির পরিদর্শন।।

আপডেট সময় : 02:52:04 pm, Wednesday, 28 August 2024
এস এম রনি 
স্টাফ রিপোর্টার।।
   
  
রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায়  দুর্ঘটনা কবলিত ভবন ধ্বসের আশঙ্কায় অভিযান নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ভবনের ভিতরে অধিক তপ্ত ও ধ্বসে পড়ার আশঙ্কাসহ নানা প্রতিক- লতায় উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা যাচ্ছে না। গতকাল ২৮আগষ্ট বুধবার বিকেল ৩টায় পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। 
গাজী টায়ার কারখানা ভবনের আগুন নিভে গেলেও ভিতরে উত্তাপ রয়েছে। তবে ভবনের স্থানে স্থানে দেয়াল ধসে পড়ছে। চতুর্থ ফ্লোর ঝুলে গেছে। সেকারনে ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেনা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ভবনের প্রবেশধারে বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী-বিজিবি-শিল্প পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে তারা সিঁড়ি দিয়ে ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে নিখোঁজদের তল্লাশীর চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান। 
এদিকে সকাল থেকে কারখানার প্রবেশদ্বারে নিখোঁজদের অপেক্ষায় স্বজনরা ভিড় জমিয়েছেন। নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তারা। তবে কখন ভবনে পুরোদমে অভিযান শুরু হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেনা। এদিকে ঘটনার আলামত- সাক্ষ্য প্রমাণাদি প্রাপ্তি সংস্থা ক্রাইমসিন ইউনিটের প্রতিনিধি দলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন করেছেন ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি । 
তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেন, আগুনে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। তদন্ত কাজ চলছে। আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ সঠিকভাবে করতে না পারলে জাতীয়ভাবে বিষয়টি দেখার জন্য  উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। স্থানীয়ভাবে,ছাত্র সহ একাধিক তালিকা হচ্ছে । পরবর্তীতে আমরা অবশ্যই নিখোঁজের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। 
রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়ার ছেলে হযরত মিয়া তিন মাস আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ফারজানা আক্তারকে। হাতের মেহেদীর রং এখনো শুকায়নি। গত রবিবার অন্যদের মতো মালামাল সংগ্রহ করতে গাজী টায়ার কারখানায় গিয়েছিলেন হযরত মিয়া। রাতে কারখানার আগুন লাগা ভবনের ছয়তলায় আটকা পড়েন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন হযরত মিয়া। তার পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম।
রুপসী কলাবাগান এলাকার জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী শেখ ফরিদ গত ৫আগস্ট তার বন্ধুদের সাথে এই কারখানা থেকে কিছু টায়ার এনে বিক্রি করছিলো। গত ২৫ তারিখেও বন্ধুদের সাথে গাজীর কারখানা থেকে টায়ার আনতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলছিলো ৬ তলা ভবনের ছাদে আগুনে আমি আটকা পড়েছি। আমাকে বাঁচাও। আমি মনে হয় আর বাঁচবো না । আমাকে মাফ করে দিও।
         
নিখোঁজ মিল্লাতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, তার স্বামী গত রবিবার গাজী টায়ার কারখানায় গিয়েছিলো মালামাল নিতে। আমি নিষেধ করছিলাম। কিন্তু সে আমার কথা রাখেনি। আজকে তিনদিন হয়ে গেলো আমার স্বামীর কোন খোঁজ-খবর পাইতেছিনা। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে এখন আমি কি করমু। বিলাপ করে কাঁদছেন আর স্বামীর জন্য আহাজারি করছেন এই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় গত রবিবার ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ১৭৬ জনের তালিকা করেছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি উপজেলার মৈকুলী, রূপসী কাজিপাড়া- ছাতিয়ান- মুগরাকুল- কাহিনা- বরপা- মাসাবো-তারাবো- বরাবো-চনপাড়া, মুড়াপাড়াসহ আশপাশের গ্রামে। নিখোঁজদের প্রায় সকলের বহিরাগত । 
গাজী টায়ার কারখানার নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন-কারখানাটি একেবারেই শেষ হয়ে গেছে । তাতে ১০-১২ হাজার মানুষ  কর্মহীন  হয়ে পড়েছে । আগুনে কারখানায় ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করা যায়নি। 
উল্লেখ্য গত ২৫আগস্ট দুর্বৃত্তরা রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। লুটপাট করতে গিয়ে ভবনের ভেতরেই অনেক মানুষ আটকে পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ১৭৬জন নিখোঁজ থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা আরো বেশি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।