Dhaka , Tuesday, 24 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রামগঞ্জে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ই’য়া’বাস’হ এক মা’দক কা’রবা’রিকে গ্রে’প্তার করেছে ডিবি হাতিয়ার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ডুবি: ২৮ যাত্রী সবাই জী’বিত উ’দ্ধার মেহেরপুরে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫ কোম্পানীগঞ্জে শিক্ষানুরাগী রমজান আলী রাজুর স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত বাবার মোটরসাইকেল থেকে প’ড়ে কলেজ ছাত্রীর মৃ’ত্যু আমাদের দেশপন্থী ও ভারতপন্থীদের যু’দ্ধ হবে’- মুফতী ফয়জুল করিম সোনাইমুড়ীতে দোকান দ’খল করে পাঠাগার, থা’নায় অভি’যোগ জামায়াত নেতাদের বি’রুদ্ধে লালমনিরহাটে জুলাই ওয়ারিয়র্সের বিক্ষোভ মি’ছিল ও স’মাবে’শ পঙ্কিল রা’জনী’তি বিশ্ববিদ্যালয় চ’ত্ত্বরে আনবেন না শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকতা জগতে ও মানবিক কল্যাণে ফররুখ আহমদ চৌধুরীর অবদান  পাবনয় ২৫ কেজি গাঁ’জা, প্রাইভেট কারসহ মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’প্তার মা’দকের আস্তানা ও অসা’মাজি’ক কার্যকলাপের অভিযোগে হি’জরা’র ঘরে আ’গুন কালিয়াকৈরে স্মরণকালের গণজমায়েত, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান  লালমনিরহাটে ইসলাম ধ’র্ম ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির ঘ’টনা’য় মুসল্লিদের হাতে আ’টক ২ রূপগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  প্র’তিব’ন্ধী’দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অ’পসা’রণ ও গ্রে’ফতা’রের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ নলছিটিতে পরকীয়া ও স্বর্ণ চু’রির মা’মলায় প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রে’ফতা’র, কা’রাগা’রে প্রেরণ কিশোরগঞ্জে দেওয়ানি মা’মলায় পরা’জ’য়ের জেরে নিজ ঘরে আ’গুন দিয়ে প্রতিপক্ষের ভি’রুদ্ধে মা’মলা রাস্তার অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিকদের মে’রে ফেলার হু’মকি দিলেন চেয়ারম্যান ২৫ কুড়িগ্রাম ১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ডা. ইউনুছ আলী লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লক্ষাধিক খেজুর বীজ রোপণ কর্মসূচি  বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে গোপালপুরে জাসাসের সঙ্গীত সন্ধ্যা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যু’ৎস্পৃ’ষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃ’ত্যু টেলিগ্রামে প্রে’ম: নোয়াখালীর মাদরাসা ছা’ত্রীকে পতিতালয়ে বি’ক্রি সদরপুরে স্ত্রীর মা’মলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আ’টক পাইকগাছায় তিন দিনব্যাপী ফল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত  স্কটিশ পার্লামেন্ট‌ে একটি সর্বদলীয় ঈদুল আজহার অভ্যর্থনা অনু‌ষ্ঠিত হাবিবুল হক শিক্ষা তহবিলের সহযোগিতায় মিশুক বিশ্বাসের স্বপ্নযাত্রা

চট্টগ্রাম বন্দরের রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জটের সৃষ্টি।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:40:13 pm, Wednesday, 14 July 2021
  • 187 বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরের রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জটের সৃষ্টি।

মোঃ সিরাজুল মনির ।।

সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালয়েশিয়ার মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে অচলাবস্থার কারণে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের রফতানি পণ্য পরিবহনে। এ ছাড়া কনটেইনার সংকট ও বড় জাহাজ কম আসা, আমদানির সঙ্গে ভারসাম্য না থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের রফতানি বাণিজ্যে। এ কারণে রফতানিকৃত পণ্য বোঝাইয়ের কাজে নিয়োজিত অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোর (আইসিডি) ভেতরে-বাইরে পণ্যের স্তূপ জমে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) হিসাব মতে, বর্তমানে ১৯টি ডিপোর ধারণ ক্ষমতা আট হাজার টিইইউস কনটেইনার। সেখানে প্রায় ১৪ হাজার টিইইউস রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার আটকা আছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে ডিপোগুলোতে গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টিইইউস রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার থাকে। ধারণক্ষমতা না থাকায় এখন ডিপোগুলোর ভেতরে-বাইরে রফতানি পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। এ ছাড়াও প্রত্যেক ডিপোর সামনে খালাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পণ্য নিয়ে দুই-তিনদিন অপেক্ষায় থাকছে।

জানা গেছে, কারখানা থেকে পণ্য উৎপাদনের পর বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা সাপেক্ষে প্রথমে ডিপোগুলোতে আসে। এরপর সেখানে বিদেশি ক্রেতার প্রতিনিধিদের (ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার) হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেয়া হয়। প্রতিনিধিরা পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষ করে ডিপো থেকে বন্দরে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেয়া হয় কনটেইনার।

রফতানিকারকরা জানান, সাধারণত আইসিডি থেকে জাহাজে তোলার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কনটেইনার পাঠাতে দুই-তিনদিন লাগে। বর্তমানে সেটি ১০ দিন বা তারও বেশি লাগছে। এ ছাড়াও পুরো রফতানি প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ দিন বেশি সময় লাগছে বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দিতে। ফলে কারখানাগুলো নগদ অর্থ সংকটে রয়েছে। তা ছাড়া সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে না পারায় কারখানার উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবার সমুদ্রবাণিজ্য একটি বন্দরের সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালেশিয়ার বন্দরগুলোতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, শিগগিরই সেটি কাটার সম্ভাবনা নেই। ইউরোপ-আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে পণ্য রফতানি হয়েছে। বিপরীতে আমদানি হয়েছে কম। করোনা মহামারির পর চীনের রফতানি বাণিজ্যেও গতি এসেছে৷ তারা প্রচুর পণ্য রফতানি করেছে। এ কারণে কনটেইনার এবং জাহাজের সংকট তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে দিন দিন দেশে রফতানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জট তৈরি হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি পণ্য পরিবহনের এই জট কাটাতে বিশেষ ফিডার ভেসেলে করে সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রফতানি পণ্যে কিছুটা জট কাটতে পারে। আবার এক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া গেলে সমুদ্রবাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশাবাদী অনেকেই। এ ছাড়াও তারা মনে করেন বড় কনটেইনারের (৪০ ফুট) পরিবর্তনে বিদেশি ক্রেতাদের বুঝিয়ে কিছু পণ্য ছোট কনটেইনারে (২০ ফুট) পাঠানো গেলে জট কিছুটা কাটবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সামনে কী হতে যাচ্ছে আমরা জানি না। ইতোমধ্যে ডিপোগুলোতে ভয়াবহ পণ্য জট তৈরি হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা শিপিং অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আন্তর্জাতিক মহল সোচ্চার না হলে এই জট আরও ভয়াবহ হবে।

বিকডা সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান জাগো বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য রফতানির বিপরীতে আমদানি কম হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া ও কলম্বোর বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কারণে কনটেইনার সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কনটেইনারের ফ্রেইট চার্জ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। ডিপোগুলোতে রফতানির তুলনায় কারখানা থেকে বেশি পণ্য আসছে। ফলে সেখানে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে। ডিপোগুলো ভর্তি হওয়ার পর এখন সেগুলোর সামনে পণ্য খালাসের জন্য ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান লম্বা লাইনে ২-৩ দিন অপেক্ষা করছে। এতে করে ডিপোর কর্মক্ষমতাও কমছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘বিশেষ ফিডার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করলে জট কিছুটা কমতে পারে। রফতানি পণ্য পরিবহনে যে জট তৈরি হয়েছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের রফতানি বাণিজ্য পিছিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খাইরুল আলম সুজন বলেন, জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আমদানি কম হচ্ছে। এ কারণে জাহাজ কম আসছে। জাহাজ কম আসলে যাবে কীভাবে? কারণ আমদানি পণ্য নিয়ে যেসব জাহাজ আসে সেগুলোতে রফতানির পণ্য পাঠানো হয়। আবার বড় জাহাজগুলো এখন অনেকেই চালাচ্ছেন না। এখন যে জাহাজ আসছে সেগুলোর ধারণক্ষমতা মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার কনটেইনার। অথচ বড় জাহাজে একসঙ্গে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক কনটেইনার পরিবহন করা যায়। তা ছাড়া ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর অচলাবস্থার প্রভাবে রফতানি পণ্য পরিবহনে জট তৈরি হয়েছে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রামগঞ্জে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম বন্দরের রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জটের সৃষ্টি।

আপডেট সময় : 02:40:13 pm, Wednesday, 14 July 2021

মোঃ সিরাজুল মনির ।।

সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালয়েশিয়ার মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে অচলাবস্থার কারণে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের রফতানি পণ্য পরিবহনে। এ ছাড়া কনটেইনার সংকট ও বড় জাহাজ কম আসা, আমদানির সঙ্গে ভারসাম্য না থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের রফতানি বাণিজ্যে। এ কারণে রফতানিকৃত পণ্য বোঝাইয়ের কাজে নিয়োজিত অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোর (আইসিডি) ভেতরে-বাইরে পণ্যের স্তূপ জমে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) হিসাব মতে, বর্তমানে ১৯টি ডিপোর ধারণ ক্ষমতা আট হাজার টিইইউস কনটেইনার। সেখানে প্রায় ১৪ হাজার টিইইউস রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার আটকা আছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে ডিপোগুলোতে গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টিইইউস রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার থাকে। ধারণক্ষমতা না থাকায় এখন ডিপোগুলোর ভেতরে-বাইরে রফতানি পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। এ ছাড়াও প্রত্যেক ডিপোর সামনে খালাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পণ্য নিয়ে দুই-তিনদিন অপেক্ষায় থাকছে।

জানা গেছে, কারখানা থেকে পণ্য উৎপাদনের পর বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা সাপেক্ষে প্রথমে ডিপোগুলোতে আসে। এরপর সেখানে বিদেশি ক্রেতার প্রতিনিধিদের (ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার) হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেয়া হয়। প্রতিনিধিরা পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করার ব্যবস্থা করেন। একই সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষ করে ডিপো থেকে বন্দরে নির্ধারিত জাহাজে তুলে দেয়া হয় কনটেইনার।

রফতানিকারকরা জানান, সাধারণত আইসিডি থেকে জাহাজে তোলার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কনটেইনার পাঠাতে দুই-তিনদিন লাগে। বর্তমানে সেটি ১০ দিন বা তারও বেশি লাগছে। এ ছাড়াও পুরো রফতানি প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ দিন বেশি সময় লাগছে বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দিতে। ফলে কারখানাগুলো নগদ অর্থ সংকটে রয়েছে। তা ছাড়া সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে না পারায় কারখানার উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবার সমুদ্রবাণিজ্য একটি বন্দরের সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালেশিয়ার বন্দরগুলোতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, শিগগিরই সেটি কাটার সম্ভাবনা নেই। ইউরোপ-আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে পণ্য রফতানি হয়েছে। বিপরীতে আমদানি হয়েছে কম। করোনা মহামারির পর চীনের রফতানি বাণিজ্যেও গতি এসেছে৷ তারা প্রচুর পণ্য রফতানি করেছে। এ কারণে কনটেইনার এবং জাহাজের সংকট তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে দিন দিন দেশে রফতানি পণ্য পরিবহনে ভয়াবহ জট তৈরি হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি পণ্য পরিবহনের এই জট কাটাতে বিশেষ ফিডার ভেসেলে করে সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে রফতানি পণ্যে কিছুটা জট কাটতে পারে। আবার এক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া গেলে সমুদ্রবাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশাবাদী অনেকেই। এ ছাড়াও তারা মনে করেন বড় কনটেইনারের (৪০ ফুট) পরিবর্তনে বিদেশি ক্রেতাদের বুঝিয়ে কিছু পণ্য ছোট কনটেইনারে (২০ ফুট) পাঠানো গেলে জট কিছুটা কাটবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সামনে কী হতে যাচ্ছে আমরা জানি না। ইতোমধ্যে ডিপোগুলোতে ভয়াবহ পণ্য জট তৈরি হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা শিপিং অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আন্তর্জাতিক মহল সোচ্চার না হলে এই জট আরও ভয়াবহ হবে।

বিকডা সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান জাগো বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য রফতানির বিপরীতে আমদানি কম হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া ও কলম্বোর বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ কারণে কনটেইনার সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কনটেইনারের ফ্রেইট চার্জ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। ডিপোগুলোতে রফতানির তুলনায় কারখানা থেকে বেশি পণ্য আসছে। ফলে সেখানে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে। ডিপোগুলো ভর্তি হওয়ার পর এখন সেগুলোর সামনে পণ্য খালাসের জন্য ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান লম্বা লাইনে ২-৩ দিন অপেক্ষা করছে। এতে করে ডিপোর কর্মক্ষমতাও কমছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘বিশেষ ফিডার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করলে জট কিছুটা কমতে পারে। রফতানি পণ্য পরিবহনে যে জট তৈরি হয়েছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের রফতানি বাণিজ্য পিছিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খাইরুল আলম সুজন বলেন, জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আমদানি কম হচ্ছে। এ কারণে জাহাজ কম আসছে। জাহাজ কম আসলে যাবে কীভাবে? কারণ আমদানি পণ্য নিয়ে যেসব জাহাজ আসে সেগুলোতে রফতানির পণ্য পাঠানো হয়। আবার বড় জাহাজগুলো এখন অনেকেই চালাচ্ছেন না। এখন যে জাহাজ আসছে সেগুলোর ধারণক্ষমতা মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার কনটেইনার। অথচ বড় জাহাজে একসঙ্গে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক কনটেইনার পরিবহন করা যায়। তা ছাড়া ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর অচলাবস্থার প্রভাবে রফতানি পণ্য পরিবহনে জট তৈরি হয়েছে।