
তিতাস কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসের ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে চলছে ধান শুকানোর উৎসব। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার কোমলমতি শিশু ও শিশু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার জন্য মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না। স্কুলের খেলার মাঠে ধান শুকানোর ফলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা।রতনপুর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,অনেক দিন ধরে এলাকাবাসী স্কুলের মাঠ দখল করে ধান ও খড় ও লাকড়ি খড়ি শুকানোর কাজ করছেন। যেহেতু তারা এলাকাবাসী এতে তাদের অধিকার আছে। মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে গেলে এরা দরিদ্র মানুষ, তাদের যথেস্ট যায়গা নেই ধান শুকানোর জন্য। কৃষকরা আমাকে অনুরোধ করে বলেছে তাই আমিই তাদের অনুমতি দিয়েছি ধান শুকানোর জন্য। গতকাল সোমবার রতনপুর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগেও স্কুল মাঠে ধানের খড়, তিলগাছ ও লাকড়ির স্তুপ দেয়ার করণে নিউজ হলেও জ্ঞান ফেরেনি কতৃপক্ষের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে স্কুলের মাঠে এবং এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ দখল হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধান ও খড় শুকানোর কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন মৌসুমে স্কুলের আঙিনায় তিল,ধানসহ বিভিন্ন ফসল শুকানোর ফলে কোমলমতি শিশুরা ভালো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া ক্ষুদে খেলোয়াড়সহ এলাকার যুবসমাজ বিভিন্ন খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এহেন অবস্থায় খেলার মাঠ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে।উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, স্কুলের শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্কুল এবং মাঠ শিশুদের খেলাধুলার জন্য। স্কুল এবং খেলার মাঠ দখল করে যারা ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে এটা ঠিক নয়। শিক্ষা ও খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভিন ভানু বলেন, স্কুল কম্পাউন্ডে স্কুল কেউ ধান খড় শুকাবে তাও আবার স্কুল চলাকালীন তা কোন ক্রমেই মেনে নেয়া যায়না। আমরা স্কুল পরিদর্শন করে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।