
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে আইএলও কনভেনশন আইন অনুযায়ী আর্স্তজাতিকমানের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরূল ইসলাম খানঁ। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল কারখানাটি পরিদর্শন শেষে তিনি এই দাবি জানান।
নজরুল ইসলাম খানঁ এই দূর্ঘটনার জন্য সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগূলোকে দায়ী করে বলেন, তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই এতো শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। রানা প্লাজায় দূর্ঘটনায় দেশী বিদেশী সমন্বয়ে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছিল, এখানেও সেই পরিমান সহায়তা দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া কারখানাটিতে নিয়ম বহির্ভুতভাবে শিশু শ্রম ও নানা অনিয়মের সমালোচনাও করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
নজরুল ইসলাম খানেঁর নেতৃত্বে পরিদর্শনে আসা বিএনপির এই প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম।
এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে থাকা ও ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে নেতারা চলে যাবার পর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফের দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, অগ্নিদূর্ঘটনা কবলিত কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা শুরু করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। বেতন নিতে সকাল থেকেই শ্রমিকরা কারখানায় আসতে শুরু করেন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ জন প্রাণ হারায়।