কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় একের পর এক অপহরণের ঘটনায় জড়িত চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের জিম্মিদশা থেকে অপহৃত ৩ ভিকটিমও উদ্ধার করা গেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব রোববার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীচক্রের ওই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়ার নজির আহমদ ও ফাতেমা বেগমের পুত্র নবি হোসেন (২৭) ও জাহিদ হোসেন কাবিলা (২২)।
এদের নিকট থেকে একাধিক রাম দা, বেশ ক’টি শেকল ও তালাসহ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরণকারীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা তিনজন হলেন- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র আমানউল্লাহ (১৯), তার বন্ধু সিরাজুল মুবিন (১৮) ও উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহৃত আবু তাহের (২৭)।
কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ জানায়, গেল ২৫ মার্চ ভোরে ভিকটিম আমানউল্লাহ ও সিরাজুল মুবিন ফজরের আযানের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাবার পথে উলুবনিয়া গ্রামের রাস্তায় মাথায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে পাহাড়ি আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে শেকলে বেঁধে আটকে রেখে পরিবারের নিকট ফোন করে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অপহৃত আমানউল্লাহর পিতা ঠান্ডা মিয়া বিষয়টি র্যাব-১৫ কে জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ আলজামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদরাসার সামনে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তার অপহরণকারীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের নতুন পল্লানপাড়া এলাকার বৈদ্যঘোনার গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত আমানউল্লাহ ও সিরাজুল মুবিনকে উদ্ধার করা গেছে। একই সাথে ইতোপূর্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত আবু তাহেরকেও উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা ওই তিনজনকে তাদের পরিবারের নিকট ও গ্রেপ্তার অপহরণকারীচক্রের দুই সদস্যকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।