
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলে নওকুচি গ্রামে মো.আব্দুল্লাহ (৪৫) নামের এক শ্রমিক পাহাড়ে জালানী লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্য হাতির আক্রমনে গুরুতর আহত হয়েছে। আহত আব্দুল্লাকে দ্রæত ঝিনাইগাতি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহসপ্রতিবার বেলা ২ ঘটিকার সময়। উক্ত আব্দুল্লাহ নওকুচি গ্রামের বাসীন্দা ও একজন দিন মজুর। আহত আব্দুল্লাহ নওকুচি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। অভাব অনটনের কারনে প্রতিদিন দিনমজুরের কাজ করতো। কিন্তু প্রচন্ড দীর্ঘস্থায়ী শীতের কারনে কাজ কর্ম না থাকায় পাহাড় থেকে খড় কুঠা সংগ্রহ করে আনার জন্য বনাঞ্চলে যায়। হঠাৎ দিনের বেলায় বন্য হাতির আক্রমনে শিকার হবে এমন ধারনা ছিল না তার। কারন অত্র সীমান্ত অঞ্চলে ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির দল সন্ধার পর বনাঞ্চল ও লোকালয়ে প্রবেশ করে খাদ্যের সন্ধানে। কিন্তু বর্তমানে বন্য হাতির দল দিনের বেলায় বনাঞ্চল ও লোকালয়ে খাদ্যের সন্ধানে আনাগুনা শুরু করেছে। এতে সীমান্তবাসীরা বন্য হাতির ভয়ে চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। ইতি পূর্বে সন্ধার পরে বন্য হাতি খাদ্যের সন্ধানে বনাঞ্চল ও লোকালয়ে প্রবেশ করলে লোকজন একত্রিত হয়ে মাশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতো। কিন্তু এখন দিনের বেলায় বন্য হাতি মানুষের উপরে যে ভাবে আক্রমন ও তান্ডব চালাচ্ছে এতে সীমান্ত অঞ্চলের লোকজন বসবাস করার সাহস হারিয়ে ফেলছে। বর্তমানে বন্য হাতির তান্ডবের ভয়ে সংকিত অবস্থায় আছে। এমনিতেই সীমান্ত অঞ্চলের দরিদ্র শ্রমিকরা দীর্ঘস্থায়ী শৈত প্রবাহে তীব্র শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। তারপর আবার বন্য হাতির আক্রমন। এ যেন মরার উপরে খাড়ার ঘা। তাই সীমান্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জান মাল রক্ষায় বন্য হাতির হাত থেকে রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন এমন প্রত্যাশা ঝিনাইগাতি উপজেলা সীমান্ত এলাকারবাসীর। প্রকাশ থাকে যে, বন্য হাতির তান্ডবে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বহু লোকের প্রাণহানি এবং শতাধিক লোকের পুঙ্গত্ব সহ ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে চলছে।