শাহ সাহিদ উদ্দিন , কুমিল্লা দেবীদ্বার প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা’র দেবীদ্বার উপজেলায় পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকসহ একই পরিবারের ৩জন মারাত্মক আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুর ১২টায় দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সূরপুর গ্রামের ফজলু মেম্বারের বাড়িতে। ঘটনার পর স্থানীয়রা মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় সূরপুর গ্রামের মৃতঃ ইউছুফ
আলীর পুত্র ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক
মনিরুল ইসলাম শুভ (৩০) ও তার ভাই সায়েদ আলী(৩৫) এবং ভাবী দেলোয়ারা বেগম(২৭)কে
বেলা পৌনে ২টায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফজলু মেম্বারের বাড়িতে যাতায়তের একটি রাস্তা মৃত: সাদত
আলীর ছেলে সেলিম মিয়া(৪০) নিজেদের জায়গা দাবী করে বৃহস্পতিবার বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় মৃত: ইউছুফ আলীর পরিবারের লোকজন বাড়িতে আটকাপড়ে যায়। পরে গ্রামবাসীদের সহায়তায় সড়কটি চালু করে দেয়। মৃতঃ ইউছুব আলী ও মৃতঃ সাদত আলী আপন ভাই ছিলেন। আহত দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম শুভ জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার
চাচাতো ভাই সেলিম মিয়া বাঁধা দেন এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেলিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার, বোন জামাই সুমন আহমেদ(২৪) ও সেলিমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লাকি আক্তার এবং প্রতিবেশী কাদের মিয়ার পুত্র জুয়েল(২০) ও কুরছাপ গ্রামের জামাল হোসেন’র পুত্র রিয়াদ হাসান(২২) তার উপর অতর্কিত
হামলা চালায়। তারা তাকে ধারালো দা, চাপাতি, লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। তার সূর চিৎকারে তার ভাই সায়েদ আলী ও ভাবী দেলোয়ারা বেগম তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম মিয়া(৪০) জানান, রাস্তার জায়গাটি আমাদের পৈতিক
সম্পত্তি। তাই রাস্তাটি বন্ধ করে দেই। আমার চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম জোর করে বেড়া
ভেঙ্গে রাস্তা ব্যবহার করতে থাকে। বাঁধা দিলে সে আমার উপর চড়াও হয়। আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে রক্ষা করতে এলে ওদের সাথে হাতাহাতি হয়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই)
সোহরাব হোসেন’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের দেখে আসি। হামলার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক,অভিযুক্তদের সন্ধানে ঘটনাস্থল যাচ্ছি।