Dhaka , Tuesday, 5 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই’২৪ গণহত্যার বিচার করতে হবে————-জাহাঙ্গীর কবির সুন্দরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপি ও জামায়াতের র‌্যালি সমাবেশ  হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। মির্জাপুরে এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার রাজাপুরে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত গণঅভ্যুত্থান দিবসে রাজাপুরে শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা রূপগঞ্জে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা ॥ পথসভা  নোয়াখালীর চৌমুহনীতে জুলাই চেতনা ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ; বিপ্লবের আনন্দে জামায়াতের গনমিছিল কক্সবাজারে পোকখালীর আলোচিত রফিক চেয়ারম্যান অবশেষে গ্রেফতার  লালমনিরহাটে র‍্যাবের পৃথক অভিযানে মাদক উদ্ধার, আটক ১ লালমনিরহাটে মামলায় এক আসামীর ১০ বছর কারাদণ্ড নরসিংদীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন ‎মির্জাপুরে ছাত্রলীগ নেতা সীমান্ত ও কৃষক লীগ নেতা কালাম গ্রেপ্তার দেশের মানুষের ১৬ বছরের আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের বহিঃপ্রকাশ ৫ আগস্ট: ড. মঈন খান স্বাধীনতার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রূপগঞ্জে বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানের আগে উৎসবমুখর মানিক মিয়া এভিনিউ, বিকেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা গত ১১ মাসের রাজনৈতিক সহিংসতা: বিএনপি ৯২%, আ.লীগ ২২%, জামায়াত ৫% ও এনসিপি ১% ঘটনায় জড়িত রাজাপুরে অবৈধ জাল জব্দ ও ধ্বংস : চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান বিএনপি ছাড়লেন ড. ফয়জুল, ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন “দল নয়, দেশই আমার প্রথম পরিচয়”—সংবাদ সম্মেলনে ফয়জুল হক জয়দেবপুরে ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ উদ্বোধন আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংসহ আটজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার দেশীয় অস্ত্র-মাদক ও চোরাই মোটরসাইকেল বেগমগঞ্জে একদিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে পল্লী বিদ্যুৎের প্রায় ৩০ মিটার ছুরি ; থানায় ছুরির  অভিযোগ নিতে গ্রাহক হয়রানি  ফরিদপুর কোতয়ালী হতে দুই জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার । রাজবাড়ীর পাংশায় দুই রাউন্ড কার্তুজ তিন টি ককটেল দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান র‌্যাব-১০ কর্তৃক উদ্ধার। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা প্রশাসন মাইকিং করার পরও উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ স্থাপনা। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় আরো ৪৬ জন বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা খাগড়াছড়িতে এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো পিসিসিপি সেতুর ওপর সাকো দুর্ভোগ ৭ গ্রামের মানুষের  রূপগঞ্জে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অ্যাকশনএইডের মতবিনিময় সভা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে একসাথে কাজ করার আহ্বান

সেতুর ওপর সাকো দুর্ভোগ ৭ গ্রামের মানুষের 

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:40:13 pm, Monday, 4 August 2025
  • 48 বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
 দুই বছর আগেই সেতু ভেঙে গেছে, চলাচল করতে পারছে না কোন যানবাহন জন সাধারণ অগত্যা আর কি করা সেতুর উপরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাত গ্রামের মানুষকে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের গনিপুর গ্রামে রহমতখালী খালের ওপর সেতুর মধ্যাংশ ভেঙে মাটিবাহী ট্রাকসহ খালে পড়ে যায় দুই বছর আগে। এ ঘটনার পর চলাচলের জন্য স্থানীয় লোকজন ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর দু’পাড়ের ৭ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে।
ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচলকারীরা সেতুটি নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সুফল আসেনি।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরের গনিপুর গ্রামের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মানুষের চলাচলের জন্য কামার বাড়ি সড়কের রহমতখালী খালের ওপর লোহার স্প্যান দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে এলজিইডি এটি নির্মাণ করে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাটি বহনকারী ট্রাকসহ সেতুটির মধ্যাংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে ভাঙা স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়মিত যাতায়াত করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুরের গনিপুর, রাজাপুর, ছোট বল্লভপুর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর, কামালপুর, দেবীদেবপুর ও বালুচরা গ্রাম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা পা পিছলে খালে পড়ে দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নারী-শিশুসহ হাসপাতালগামী রোগীদের। অনেকে ভয়ে সাঁকোর পরিবর্তে জেলা সদর হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় আলেয়া বেগম ও ইসমাইল মিয়া জানান, কাছে বিদ্যালয় না থাকায় লক্ষ্মীপুরের গনিপুরের কয়েকশ ছাত্রছাত্রী ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে বেগমগঞ্জের বালুচরা ইব্রাহিম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাসানিয়া আলিম মাদরাসা, বালুচরা সমাজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুচরা কিন্টারগার্ডেন ও ইব্রাহিমিয়া হাফেজী মাদরাসায় যায়। ২ বছরে অন্তত ১২ শিক্ষার্থী খালে পড়ে জখম হয়েছে। এতে ভয়ে কিছু অভিভাবক শিশুদের স্কুল পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে সাঁকোটি আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। কিছুদিন পরপর বাঁশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে আমাদের ভয় হয়। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সও আসে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে যেতে হয়।
আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোফাচ্ছেল হোসেন মশু বলেন, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বর্ডার এলাকা হওয়ায় বাসিন্দারা সুবিধাবঞ্চিত। দুই বছর আগে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে গলেও এখনো তা সংস্কার করা হয়নি। দু’পাড়ের ৫-৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যাতায়াতে বেগ পেতে হয়।
লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, কয়েকটি সড়কের প্রকল্পের সঙ্গে রহমতখালী খালের ওপর ভাঙা সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে টেন্ডার হবে, এরপর জনগণ এর সুফল পাবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই’২৪ গণহত্যার বিচার করতে হবে————-জাহাঙ্গীর কবির

সেতুর ওপর সাকো দুর্ভোগ ৭ গ্রামের মানুষের 

আপডেট সময় : 07:40:13 pm, Monday, 4 August 2025
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
 দুই বছর আগেই সেতু ভেঙে গেছে, চলাচল করতে পারছে না কোন যানবাহন জন সাধারণ অগত্যা আর কি করা সেতুর উপরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাত গ্রামের মানুষকে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের গনিপুর গ্রামে রহমতখালী খালের ওপর সেতুর মধ্যাংশ ভেঙে মাটিবাহী ট্রাকসহ খালে পড়ে যায় দুই বছর আগে। এ ঘটনার পর চলাচলের জন্য স্থানীয় লোকজন ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর দু’পাড়ের ৭ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে।
ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচলকারীরা সেতুটি নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সুফল আসেনি।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরের গনিপুর গ্রামের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মানুষের চলাচলের জন্য কামার বাড়ি সড়কের রহমতখালী খালের ওপর লোহার স্প্যান দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে এলজিইডি এটি নির্মাণ করে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাটি বহনকারী ট্রাকসহ সেতুটির মধ্যাংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে ভাঙা স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়মিত যাতায়াত করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুরের গনিপুর, রাজাপুর, ছোট বল্লভপুর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর, কামালপুর, দেবীদেবপুর ও বালুচরা গ্রাম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা পা পিছলে খালে পড়ে দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নারী-শিশুসহ হাসপাতালগামী রোগীদের। অনেকে ভয়ে সাঁকোর পরিবর্তে জেলা সদর হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় আলেয়া বেগম ও ইসমাইল মিয়া জানান, কাছে বিদ্যালয় না থাকায় লক্ষ্মীপুরের গনিপুরের কয়েকশ ছাত্রছাত্রী ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে বেগমগঞ্জের বালুচরা ইব্রাহিম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাসানিয়া আলিম মাদরাসা, বালুচরা সমাজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুচরা কিন্টারগার্ডেন ও ইব্রাহিমিয়া হাফেজী মাদরাসায় যায়। ২ বছরে অন্তত ১২ শিক্ষার্থী খালে পড়ে জখম হয়েছে। এতে ভয়ে কিছু অভিভাবক শিশুদের স্কুল পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে সাঁকোটি আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। কিছুদিন পরপর বাঁশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে আমাদের ভয় হয়। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সও আসে না। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে যেতে হয়।
আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোফাচ্ছেল হোসেন মশু বলেন, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বর্ডার এলাকা হওয়ায় বাসিন্দারা সুবিধাবঞ্চিত। দুই বছর আগে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে গলেও এখনো তা সংস্কার করা হয়নি। দু’পাড়ের ৫-৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যাতায়াতে বেগ পেতে হয়।
লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, কয়েকটি সড়কের প্রকল্পের সঙ্গে রহমতখালী খালের ওপর ভাঙা সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে টেন্ডার হবে, এরপর জনগণ এর সুফল পাবেন।