
শওকত আলম কক্সবাজার,
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ও সদর উপজেলার ভারুয়াখালী এলাকায় পৃথক দুটি মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত এবং আরেক ঘটনায় মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি।
গত ২ আগস্ট (২০২৫) রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় “পর্যটক এক্সপ্রেস” ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের জাফর আলমের দুই মেয়ে রেনুয়ারা (৩৮), আসমাউল হুসনা (২৬) এবং আসমার ১৮ মাস বয়সী শিশু আতাউল্লাহ।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পরদিন ৩ আগস্ট সকালে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যান কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন, সান্ত্বনা দেন এবং নিহতদের শিশু সন্তানদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারটিকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, নিহত রেনুয়ারার চার সন্তান এবং আসমার দুই সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।
তিনি বলেন, “শোকের এই দিনে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করবো যেন এই শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় না পড়ে।