Dhaka , Sunday, 2 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বিএনপি নেতার অর্থায়নে কাঠের সেতু : ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব   কাালিয়াকৈরে তারেক রহমান কর্তৃক  রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারের লক্ষ্যে  কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  নগরকান্দায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়ালের রড চুরি, পাশে মাঠে উদ্বার। ভূমিসেবা নিশ্চিতের মূল ভিত্তি সঠিক সার্ভে ও সেটেলমেন্ট—-ভূমি উপদেষ্টা পাবনায় দরিদ্র ও এতিমদের জন্য বরাদ্দ করা দুম্বার মাংস লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে  চবিতে আইআর সপ্তাহ ২০২৫ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। বৃষ্টি ও বাতাসে সুন্দরগঞ্জে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মধুপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নিরপেক্ষ নির্বাচনই বাংলাদেশকে ফেরাবে গণতন্ত্রের উজ্জ্বল পথে শরীয়তপুরে জমির বায়নায় নিয়ে প্রতারণা, বিপাকে নারীসহ অনেকে প্রতি জন্মদিনে শাহরুখের জন্য চাঁদে জমি কেনেন ভক্ত গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় সস্তা ওজন কমানোর পিল, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা যথাসময়ে ভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন চায় এনসিপি আর্জেন্টাইন গায়িকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা ইয়ামালের এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা জামালপুর নৌকাডুবি ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতে আহত ১০ রূপগঞ্জে হাতি ঘোড়ার মিছিলে জমে উঠলো যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন র‍্যালী। পশ্চিমপাড়া দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা ও যুব সমাজের উদ্যোগে (৮ম) বার্ষিকী ইসলামী মহা সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বাগআঁচড়া শাখার নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা শরীয়তপুরের জাজিরায় মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদের নির্বাচনী গণসংযোগ লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের পৃথক অভিযানে ৩.৯২ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার, ইজিবাইক জব্দ যুক্তরাজ্যে কিশোরীকে ছুরিকাঘাত থেকে রক্ষা করলেন ট্রেনে থাকা বৃদ্ধ যাত্রী গাইবান্ধায় গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে তিনজনের মৃত্যু ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৩ নাইজেরিয়ায় সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য পেন্টাগনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ ট্রাম্পের

রেডিও বন্ধের আগে ঠিকঠাক গবেষণা কি হচ্ছে ?

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:16:21 pm, Monday, 2 January 2023
  • 342 বার পড়া হয়েছে

পর পর দুই বছরে দুটো সার্বজনিন হয়ে ওঠা রেডিও বন্ধ করে দেয়া হলো। একটি হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সার্ভিস এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা রেডিও। তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সত্য প্রাপ্তির বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। সাংবাদিক হিসাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি আরও বেশি। সে প্রসঙ্গ এখন নয়। আরেকদিন বলা যাবে। এখন ভিন্ন কথা। বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসাবে দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রায় একই রকম কথা বলছে। ভার্টুয়াল দুনিয়ায় দিন শেষে কোন তথ্য পাওয়ার জন্যে মানুষ বসে থাকছে না। যে কারণে রেডিওর শ্রোতা কমে গেছে। এনিয়ে নানা পরিসংখ্যানও তারা দিয়েছে।

শ্রোতা কমে যাওয়ার সঙ্গে এই ভার্টুয়াল দুনিয়া থেকে আগে তথ্য পাওয়ার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। একটি দীর্ঘ ধারাক্রম বন্ধের যুক্তি হিসাবে এটি খুব বোকা বোকা। তাই আমি কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। কর্তৃপক্ষতো বটেই মিডিয়া বিশ্লেষকরা একটু আমলে নিতে পারেন প্রশ্নগুলো। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটি বাণিজ্যিক নয়। দুটিই দুটি বড় অর্থনীতির দেশের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই আমাদের সমাজে ৫০ বছরের বেশি সময় কাজ করছে। এদেশের মানুষের অনেকেই তো একে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মনে করা ভুুলেই গিয়েছিল। এরকম অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধের পর মনে পড়েছে এটি আমাদের নয়।

যাই হোক আমার প্রশ্নগুলো করি। প্রথমত ভার্টুয়ালি আমরা সারাদিন যত তথ্য পাই সেটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? তথ্য জানার মাধ্যম হিসাবে শ্রুতি মাধ্যমটিতো অনেক কার্যকরী। শুধু শুনতে পারা মানুষ এর সেবায় আসতে পারেন। এরজন্যে আলাদা সময় বের করতে হয় না। তাহলে কেন মানুষ রেডিও শুনছে না? আমার দেশের কত জন জেলে বা কৃষক ভাই অ্যানরয়েড ফোন হাতে ঘুরছেন? রেডিও বলে যে যন্ত্রটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ছিল কেন সেগুলো নেই? সেগুলোকি হঠাৎ করেই বিলুপ্ত হলো? এযন্ত্র ওইযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না করে খুব সহজ রেডিও বাজারে আনা যেতো না? সহজ রেডিও কাছে না থাকার কারণে মানুষ রেডিও থেকে বিচ্যুত হলো কি না, এনিয়ে কি গবেষণা হয়েছে? আমি এসব জানি না। তবে জানার চেষ্টা করা উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।

শব্দ তরঙ্গ ধরার তার বিহীন যে প্রযুক্তি, সেটা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা শেষ মনে হচ্ছে। তাই ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের ভিড়ে আমরা বড় একটি সম্ভাবনা বন্ধ করে দিচ্ছি। সেই ডামাডোলে ভাসলো বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময় থাকা দুটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অথচ রেডিও প্রযুক্তিকে ভুল বোঝার দু্র্দিনে তারাই সবল ভুমিকা রাখতে পারতেন।

গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় মানুষ সম্পৃক্ত হওয়ার আলাদা আলাদা কারণ আছে। গণমাধ্যমের প্রথম লক্ষ্য তথ্য জানানো হলেও আরো কয়েকটি লক্ষ্যের কথা বলেন দেশ বিদেশের ঝানু অ্যাকাডেমিশানরা। একটু ভালো করে বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে এই লক্ষ্যগুলোর প্রতেকটিই সমাজে দরকার। যেকারণে কোনটাই কোনটার পরিপূরক নয়।

সাংবাদিক
পলাশ আহসান

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেতার অর্থায়নে কাঠের সেতু : ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব  

রেডিও বন্ধের আগে ঠিকঠাক গবেষণা কি হচ্ছে ?

আপডেট সময় : 11:16:21 pm, Monday, 2 January 2023

পর পর দুই বছরে দুটো সার্বজনিন হয়ে ওঠা রেডিও বন্ধ করে দেয়া হলো। একটি হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সার্ভিস এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা রেডিও। তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সত্য প্রাপ্তির বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। সাংবাদিক হিসাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি আরও বেশি। সে প্রসঙ্গ এখন নয়। আরেকদিন বলা যাবে। এখন ভিন্ন কথা। বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসাবে দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রায় একই রকম কথা বলছে। ভার্টুয়াল দুনিয়ায় দিন শেষে কোন তথ্য পাওয়ার জন্যে মানুষ বসে থাকছে না। যে কারণে রেডিওর শ্রোতা কমে গেছে। এনিয়ে নানা পরিসংখ্যানও তারা দিয়েছে।

শ্রোতা কমে যাওয়ার সঙ্গে এই ভার্টুয়াল দুনিয়া থেকে আগে তথ্য পাওয়ার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। একটি দীর্ঘ ধারাক্রম বন্ধের যুক্তি হিসাবে এটি খুব বোকা বোকা। তাই আমি কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। কর্তৃপক্ষতো বটেই মিডিয়া বিশ্লেষকরা একটু আমলে নিতে পারেন প্রশ্নগুলো। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটি বাণিজ্যিক নয়। দুটিই দুটি বড় অর্থনীতির দেশের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই আমাদের সমাজে ৫০ বছরের বেশি সময় কাজ করছে। এদেশের মানুষের অনেকেই তো একে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মনে করা ভুুলেই গিয়েছিল। এরকম অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধের পর মনে পড়েছে এটি আমাদের নয়।

যাই হোক আমার প্রশ্নগুলো করি। প্রথমত ভার্টুয়ালি আমরা সারাদিন যত তথ্য পাই সেটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? তথ্য জানার মাধ্যম হিসাবে শ্রুতি মাধ্যমটিতো অনেক কার্যকরী। শুধু শুনতে পারা মানুষ এর সেবায় আসতে পারেন। এরজন্যে আলাদা সময় বের করতে হয় না। তাহলে কেন মানুষ রেডিও শুনছে না? আমার দেশের কত জন জেলে বা কৃষক ভাই অ্যানরয়েড ফোন হাতে ঘুরছেন? রেডিও বলে যে যন্ত্রটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ছিল কেন সেগুলো নেই? সেগুলোকি হঠাৎ করেই বিলুপ্ত হলো? এযন্ত্র ওইযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না করে খুব সহজ রেডিও বাজারে আনা যেতো না? সহজ রেডিও কাছে না থাকার কারণে মানুষ রেডিও থেকে বিচ্যুত হলো কি না, এনিয়ে কি গবেষণা হয়েছে? আমি এসব জানি না। তবে জানার চেষ্টা করা উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।

শব্দ তরঙ্গ ধরার তার বিহীন যে প্রযুক্তি, সেটা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা শেষ মনে হচ্ছে। তাই ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের ভিড়ে আমরা বড় একটি সম্ভাবনা বন্ধ করে দিচ্ছি। সেই ডামাডোলে ভাসলো বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময় থাকা দুটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অথচ রেডিও প্রযুক্তিকে ভুল বোঝার দু্র্দিনে তারাই সবল ভুমিকা রাখতে পারতেন।

গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় মানুষ সম্পৃক্ত হওয়ার আলাদা আলাদা কারণ আছে। গণমাধ্যমের প্রথম লক্ষ্য তথ্য জানানো হলেও আরো কয়েকটি লক্ষ্যের কথা বলেন দেশ বিদেশের ঝানু অ্যাকাডেমিশানরা। একটু ভালো করে বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে এই লক্ষ্যগুলোর প্রতেকটিই সমাজে দরকার। যেকারণে কোনটাই কোনটার পরিপূরক নয়।

সাংবাদিক
পলাশ আহসান