
নুর মোহাম্মদ, কক্সবাজার
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ােখোপ ইউনিয়নের পুর্বপাড়াস্থ বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী খন্দকার আলী রেজা। মঙ্গলবার ৬ মে সকালে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহনের আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী খন্দকার আলী রেজা। পরিদর্শন কালে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পুর্বপাড়া গ্রামের বাঁকখালী নদীর পাড় প্রতিবছর বর্ষাকালে একাধিক বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে ভাঙ্গনের শিকার হলেও ভাঙ্গন রোধে ইতিপুর্বে সরকারী ভাবে কোন উদ্যেগ গ্রহন করা হয়নি।
অবশেষে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় ভাঙ্গনরোধে আলোর মুখ দেখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
পুর্ব কাউয়ারখোপ গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা সওদাগর বলেন, গত ২০১২ সালের বন্যায় পুর্ব কাউয়ারখোপ বড় মাদ্রাসার সামনে থেকে – আইরাবাপের ঘাটা পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হলে তৎকালীন বিএনপি দলীয় সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল পরিদর্শনে এসে ভাঙ্গন রোধে দুটি বল্লি স্থাপার স্থাপনের মাধ্যেমে নদী ভাঙ্গন কিছুটা হ্রাস পায়। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে একই স্থানে পুনরায় ভাঙ্গর শুরু হয়।
বিশেষ করে গত বর্ষায় লাগাতার বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করলে প্রায় দেড় হাজার ফুট দৈঘ্যর পাড় নদী গর্ভে চলে যায়। এতে করে পুর্ব কাউযারখোপ লামার পাড়াস্থ ৭ শতাধিক বসতবাড়ী হুমকীর মুখে পড়ে।
জানাগেছে নদী ভাঙ্গন স্থল থেকে বর্তমানে মাত্র ৩০ ফুটের দুরত্বে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সিমান্ত সড়কের অবস্থান। গত মার্চ মাসে শুরুতে স্থানীয় কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম ভাঙ্গন স্থল পরিদর্শন পরবর্তী একটি বল্লি স্পার স্থাপনের উদ্যেগ নেন, যার কার্যক্রম বর্তমানে চলছ।
অপরদিকে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙ্গন স্থল পরিদশর্ন করেন।