স্টাফ রিপোর্টার মেহেরপুর।।
মেহেরপুরে পৌষের শীতে শহর থেকে গ্রামের প্রায় প্রতিটা পাড়া-মহল্লায় জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা। কোন এক সময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকজনের কাছে বেশ জনপ্রিয় হলেও কালের পরিবর্তনে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মাঝে। শহর আর গ্রামে ব্যস্ততার মাঝেও অফিস ফেরত- ব্যবসায়ী- রাজনীতিবিদ- যুবক- তরুণ কিংবা শিক্ষার্থী সকলেই ব্যাডমিন্টন কোর্ডে বিচরণ শীতের নিস্তব্ধতাকে যেন মুহূর্তেই গ্রাস করে ফেলে র্যাকেট আর কর্কের শব্দের মধ্যে দিয়ে।
গত কয়েকদিনে মেহেরপুর শহর ছাড়াও জেলার গাংনী- ভোলাডাঙ্গা- কুমারী ডাঙ্গা- ভোমরদহ- পশ্চিম মালসাদহ- হিজলবাড়ীয়া- মাইলমারী-বারাদী- দীঘলকান্দি-সাহারবাটী- জোড়পুকুরিয়া- রামদেবপুর ও পিরোজপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে খেলোয়াড়দের র্যাকেট ব্যবহার করে নেট জুড়ে শাটল কককে আঘাত করতে দেখা যায়।
খেলার দু’পাশে দেখা যায় বেশ কিছু দর্শকও। যারা অপেক্ষায় রয়েছে সিনিয়ররা খেলা শেষ করলেই তারা শুরু করবে।
কুমারীডাঙ্গা বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়ারের সাথে কথা হলে তিনারা জানান, শীত মৌসুমে ঘরে বসে ঝিমিয়ে না থেকে ব্যাডমিন্টন খেলা খেললে শরীর গরম থাকে। তাছাড়া শরীরও ফিট থাকে।
ভোমরদহ গ্রামের কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের সাথে কথা হলে তিনারা জানান, ব্যাডমিন্টন খেলার উপযুক্ত সময় শীতকাল। গরমে খেললে গরমে শরীর ভিজে যায়। ঘামে দুর্গন্ধ ছড়ায়। শীতে শরীর ঠিক রাখতে এবং শরীরের জমাট বাঁধা রক্ত সঞ্চালনে এ খেলা পারফেক্ট।
পশ্চিম মালসাদহ এলাকার আসাদ জানান, মিল্টন খেলতে র্যাকেট, ফেদার, নেট ও যেহেতু সন্ধার পরেই বেশি খেলা হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা বাঞ্চনীয়। এ খেলায় দু’পাশে ২ জন করে ৪ জন খেলোয়াড় প্রয়োজন হবে। এ খেলায় পয়েন্টও নাকি রয়েছে। খেলোয়াড়রা এ পয়েন্ট হিসেব করে থাকেন।
এ খেলা খেলতে আশেপাশের গ্রামসহ দূরদূরান্ত থেকে বন্ধুরা এসে থাকে।
এ খেলা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারিতা রয়েছে। তাছাড়া মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থেকে চোখ নষ্ট না করে ব্যাডমিন্টন খেলা কে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শও দেন মাইলমারী গ্রামের হুসাইনসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড়রা।
শুধু ব্যাডমিন্টনই না, এই প্রচন্ড শীতে শরীরকে চাঙ্গা করতে অনেকে গাদন, ক্রিকেটও ভলিবল খেলা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এসব খেলা খেলতে অনেক টিমকেই গ্রামের ঈদগাহ ময়দান, বাড়ির পাশের খোলা যায়গা, বাগানের ভিতর, পুকুরপাড় ছাড়াও চিপাচাপাতে দেখা গেছে। খেলার মান উন্নত করতে ভালো পরিবেশ দরকার বলেও অনেক খেলোয়াড় মতপ্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে খেলার সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনারা।