
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি (সুনামগঞ্জ) ।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাসুদেব বাড়ী এলাকায় বাসুদেব মন্দিরের পাশ হতে বয়ে যাওয়া একটি খাল নলজুর নদীতে সংযুক্ত ছিল। এ খাল দিয়ে নিস্কাশিত হতো এলাকার পানি। খালটি প্রস্থে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ ফুট এবং লম্বে প্রায় ২০০০ ফুট। কিন্তু কালক্রমে খালটি মাটি, ময়লা- আবর্জনা ইত্যাদি ফেলে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে খালপাড় সংলগ্ন বাসিন্দারা। বেচা- কেনাও চলছে সরকারি খালের জায়গা। অনেকেই সরকারি খালের জায়গা দখল করে কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি নির্মান করে বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালের অধিকাংশ জায়গা দখল ও বিক্রয় করেছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর মুকুল ভট্ট্রাচার্য। আরও দখলে রয়েছেন খাল পাড় বাসিন্দারা। খালটি ভরাট করে দখল করায় এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গিয়ে লোকজন চলাচলে মারাত্মক বিঘেœর সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায়, এলাকার সুশীল সমাজসহ অনেকেই মনে করেন সরকারি খালকে দখলমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। খালটি দখলদারদের কবল হতে পুনরুদ্ধার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ লেক নির্মান করা হলে এলাকার সৌন্দর্য্যবর্ধনসহ স্থানীয় শিশুকিশোরদের মনোরঞ্জন বিকাশ ঘটবে। তৈরী হবে একটি মনোমুগ্ধকর দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ। এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর মোঃ গিয়াস উদ্দিন মুন্না বলেন, আগে খালটি যথেষ্ট প্রশস্থ ও লম্বা ছিল। এলাকার পানি প্রবাহিত হতো এ খাল দিয়ে। এখন খালের চিহ্নই খোঁজে পাওয়া কঠিন। তাই খালটি দখলমুক্ত হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসি। সাবেক কাউন্সিলর মুকুল ভট্টাচার্য্য বলে আমি সরকারি খালের কোন জায়গা দখল বা বিক্রি করি নাই। আমাদের নামে একশত বছরের পুরোনো রেকর্ড রয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী কমিশনার ভূমি অনুপম দাশ জানান খাল এলাকা পরিদর্শন সহ ডকুমেন্ট পর্যালোচনা পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।