
মোঃ আল আমিন মল্লিক
বেতাগী পৌর ছাত্রবিশির এর উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা বিকাল ৪ টার সময় বেতাগী পৌর অডিটোরিয়াম রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে জেলা শিবিরের সভাপতি সুমন আবদুল্লাহ,প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী প্রভাষক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন,বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর জামায়াতের সভপতি আবদুল বারেক বিশ্বাস,উপজেলা শিবির সভাপতি মোঃ বশির উদ্দিন,সভপতিত্ব করেন পৌর শিবির সভাপতি হাফেজ মোঃ ফয়সাল।
ও সাংবাদিক শামীম, সাইদুল ইসলাম মন্টু, আরিফ সুজন,মুন্না
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান, সিপাইহি, সজল সহ আরো অনেকে
প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বেতাগী উপজেলা সেক্রেটারি বক্তব্যে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে দেখতে পেয়েছিলাম খুনি হাসিনার কাছে ডিজিএফআই ছিলো, এনএসআই, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ছিলো। খুনি হাসিনা ছাত্রদের বিপক্ষে সবকিছু ব্যবহার করেছে কিন্তু আমরা দেখতে পারি ছাত্ররা পলায়ন করে নাই।খুনি শেখ হাসিনা ঠিকই পলায়ন করে ভারতে চলে গেছে।
প্রধান অতিথি বলেন ১৭ রমযান- ঐতিহাসিক বদর দিবস
হিজরী দ্বিতীয় বর্ষের রমযান মাসের ১৭ তারিখ বদর প্রান্তরে ইসলামের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধে মহান রাব্বুল আলামীন সরাসরি সাহায্য দানের মাধ্যমে মুসলমানদের বিজয় দান করেন। তাই এ দিবসকে ইয়াওমুল ফুরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়। সত্যপথের অনুসারী অল্প সংখ্যক রোযাদার মুসলমানরা বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করলে সত্যমিথ্যার চির পার্থক্য সূচিত হয়ে যায়। মহানবী (সাঃ )-এর সাথে জনবল ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এদের ৭০ জন মুহাজির ও বাকীরা আনসার। অপরদিকে কাফের, কুরাইশ বাহিনীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার। তন্মধ্যে ১০০ জন অশ্বারোহী, ৭০০ জন উস্ট্রারোহী ও বাকীরা পদব্রজী ছিল। যুদ্ধে কাফির কুরাইশ বাহিনী শোচনীয় পরাজয় বরণ করে এবং তারা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পলায়ন করে। ৭০ জন কাফের নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। অপরদিকে মুসলমানদের মধ্য হতে ১৪ জন শহীদ হন। মুসলিমদের এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণে ছাত্রশিবির বদর দিবস পালন করে আসছে।
উপজেলা সভাপতি বলেন সকলকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দালে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, ইসলামিক ছাত্র শিবির আল্লাহু আল্লাহর রাসূলের সন্তুষ্টি কাজ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে নিজেকে ইসলামের পথে আমলে পথে রাখার জন্য ছাত্রশিবির এর কোন বিকল্প নেই
অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।