
আরিফুল ইসলাম জয়,
কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি।।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে টানা দুদিনের বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘন কুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত ফলে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।
অপর দিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীত জনিত রোগ-বালাই বেড়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভূরুঙ্গামারীর আকাশ। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। রাতে আরো বেশি তীব্র হচ্ছে কুয়াশা।সারারাত থাকছে তীব্র ঠাণ্ডা। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যান বাহন গুলোকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতের কারনে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষজন। তারা কোন মতে ক্ষর কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এমন অবস্থা আরো ২ থেকে ৩ দিন থাকতে পারে বলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানাগেছে।
এখন পর্যন্ত সরকারি -বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবি সামান্য।
বিশেষ করে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা অনেকটা দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি ইরি-বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে ক্ষেতে আমন চারা রোপণ করতে বিলম্ব হচ্ছে কৃষকদের ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র ও ত্রাণ হিসেবে ৪ হাজার পিচ কম্বল এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। তিনটি ইউনিয়ন বাদে উপজেলার বাকি ৭টি ইউনিয়নে তা বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন টানা ঝড় ও বৃষ্টির পর জেলাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।