
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের বালারহাট সীমান্তে কিছু ভারতীয় অভিবাসীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ-।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, ১৫ বিজিবি, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের পক্ষ থেকে সেই পুশইন বন্ধে কঠোর বার্তা দেয়া হয় । ফলে বিএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে নিভৃত হয়।
পরে পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত নেয় বিজিবি।
শনিবার-২৪ মে- সকাল ৯টায় এই তথ্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন-১৫ বিজিবি- এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে বালারহাট বিওপির কাছে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইনের উদ্দেশ্যে ভারতে বসবাসরত কিছু অভিবাসীকে জড়ো করতে থাকে ৩ ব্যাটালিয়ন করলা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। স্থানীয়দের কাছে এমন খবর পেয়ে ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফকে অবৈধ কোন নাগরিককে বাংলাদেশ পুশইন করা যাবে না এমন কঠোর বার্তা দেন ও পুশইন ঠেকিয়ে দেন । বিএসএফকে জানানো হয় বাংলাদেশি নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরকে গ্রহণ করা যাবে কিন্তু কোনোভাবেই বাংলাদেশি নয় এমন কাউকে বাংলাদেশে নেওয়া হবে না । এরপর বিএসএফ বাধ্য হয়ে প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের তথ্য পাঠায়।
বিজিবি আরও জানায়, সেই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হয় লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন -১৫ বিজিবি-। এরপর বিজিবির বালারহাট বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়। পরে শনিবার মধ্যরাত আনুমানিক রাত ৩টার সময় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার ৪টি পরিবারের মোট ২৪ সদস্যকে ফিরিয়ে আনে বিজিবি। তাদের মধ্যে ৮ জন শিশু, ৮ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী রয়েছেন।
লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, ফেরত আনা বাংলাদেশিদের কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি সীমান্তে অবৈধ পুশইন বন্ধে সতর্ক রয়েছে। কোনোভাবেই বিএসএফের এহেন অবৈধ কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না।
এদিকে বিজিবির শক্ত অবস্থানের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ। জন্মলগ্ন থেকে বিজিবি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করায় ধন্যবাদ জানান তারা।