আব্বাস আলী। ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি।।
শুক্রবার, ১ই সেপ্টেম্বর, ২০২১
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে পরিচালনা কমিটি কতৃক নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুট, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ-বাণিজ্য করার অভিযোগ আছে। সভাপতির বা কমিটির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে বা বিভিন্ন অন্যায় দাবি-দাওয়া পুরন না করলেই প্রতিষ্টানের শান্তি-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত আছে বলে কমিটি সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করছেন সভাপতির মনোনীত লোক দ্বারা। ফলে চাকুরী বাঁচাতে সেই শিক্ষক পরিবারের কথা মাথায় রেখে সভাপতির চাহিদা পুরন করতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে জারি করা রুলের চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করে গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষনা করেন।
কোন স্কুল কলেজ বা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির কর্তৃক কোন শিক্ষককে ৬ মাসের অধিক বহিষ্কার করে রাখলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই কমিটির বহিষ্কার আদেশ বাতিল হবে এবং ওই শিক্ষক স্বপদে বহাল হয়ে যাবে।
এ জন্য কোন কোন আদেশ জারির প্রয়োজন হবে না মর্মে রায় দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। অর্থাৎ কোন শিক্ষককে বরখাস্ত করলে সেই আদেশ ৬ মাস অতিক্রম করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বরখাস্তের আদেশ আইনের আপন গতিতে বাতিল হয়ে যাবে এবং ওই শিক্ষক স্বপদে বহাল থাকবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রিটকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবি হুমায়ন কবির।এর আগে মাগুড়া বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বেসরকারি শিক্ষকদের বহিষ্কারের কোন সময় সীমা না থাকায় শিক্ষকরা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। আজকের এই রায়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির দিন শেষ হলো।