Dhaka , Wednesday, 15 October 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে দলীয় জনসভা সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড। কালিহাতীতে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: অবশেষে গ্রেফতার ধর্ষক ইসমাইল সরাইলে মাসব্যপি টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হাটহাজারীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, তিন ফার্মেসীকে জরিমানা। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মিনিবার ফুটবল মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৪ ভোলাকোট ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন মতিন সভাপতি  হারুন সাধারণসম্পাদক   যশোরে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার শার্শায় আরোও এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার ঈদগাঁওতে বন্দুকসহ পুলিশের হাতে আটক ১ রূপগঞ্জে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীর জমি ঘরে দখলের চেষ্টা কক্সবাজারে টেকসই মৎস্যচাষ উন্নয়নে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে উদ্বোধন হলো JUSC Sports Club গর্জনিয়া–কচ্ছপিয়া লাইন পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দিল কক্সবাজার জেলা সিএনজি, অটোরিকশা ও টেম্পো সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন- রেজিষ্ট্রেশন নং-১৪৯১ রামগঞ্জে আলোচিত মা মেয়ে হত্যার সন্দেহভাজন আরেক আসামি গ্রেফতার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে:- মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাভার আশুলিয়ায় প্রতারণা মামলায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার রামগঞ্জে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যাকান্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন নোয়াখালীতে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ঘন কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা নোয়াখালীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার-১ সরাইল,ব্যাটালিয়ন(২৫বিজিবি) কর্তৃক বিপুল পরিমাণের অবৈধ মালামাল আটক সুন্দরগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি ‘সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকালঃ বিভিন্ন মহলের শোক নরসিংদীর পলাশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:40:51 am, Monday, 19 December 2022
  • 587 বার পড়া হয়েছে

ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

 

দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।

ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ইতিহাসের একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে প্রথমার্ধেই কাজটা অনেকখানি এগিয়ে রেখেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। পেনাল্টি থেকে মেসির পর লিড বাড়ানো গোল করেছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড রেখে বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তে দল।

বিরতি কাটিয়ে ফিরে বিপত্তি। এমবাপের জোড়া গোলে নির্ধারিত সময় শেষে স্কোর হয় ২-২। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মেসি ও এমবাপের গোলে হয় ৩-৩। খেলা এখন টাইব্রেকারে।

এমবাপের জোড়া গোলে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে যায়। রান্ডাল কোলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। ৮০ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার ব্যবধান কমান।

 

মাত্র ৯৭ সেকেন্ড পর মাঝ মাঠ থেকে কিংসলে কোম্যানের বাড়ানো বল নেন মার্কাস থুরাম। তিনি বল এমবাপেকে বাড়ান। ডান পায়ের শটে ২৩ বর্ষী ফুটবলারের শট এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তার আঙুলে লেগে জালে জড়ায়। মেসিকে ছাড়িয়ে এবারের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৭ গোলও করে ফেলেন।

 

রোববার শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আলবিসেলেস্তে দল। ৫৯ শতাংশ বল দখল নিয়ে তৈরি করে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ। ২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে উসমানে ডেম্বেলে পেছন থেকে ফাউল করে বসলে নির্ভুল পেনাল্টি শটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩৬ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান সেমিতে বেঞ্চে বসে থাকা ডি মারিয়া।

শিরোপার মঞ্চে তৃতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডে পল বল নিয়ে জুলিয়ান আলভারেজের দিকে বাড়ান, তবে শট নেয়ার আগে বল যায় লরিসের হাতে। মিনিট দুয়েক পর আলভারেজের থেকে বল নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। আট মিনিটে বল ফাঁকায় পেয়েও আকাশে উড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

লিওনেল স্কালোনির একাদশে ফিরে বাম উইং ধরে আক্রমণ চালান ডি মারিয়া। চোট ও ফর্মেশনের কারণে খেলতে না পারার শঙ্কায় থাকা ‘ফাইনালম্যান’ ব্যবধান গড়ে দেন। ২১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গেলে পেছন থেকে পা বাড়িয়ে দেন ডেম্বেলে, ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। মেসিও দলকে এগিয়ে নেন।

প্রথমার্ধে চাপে থাকা এমবাপেরা ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে। জিরুদের হেড যায় জালের অনেকখানি উপর দিয়ে। ১১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কনুইয়ের আঘাতে লরিস আহত হলে কিছুটা সময় বন্ধ থাকে খেলা।

 

খেলার ৩৬ মিনিটে টানা আক্রমণের ফল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসির পায়ের জাদুতে বল নিয়ে এগিয়ে যায় অ্যালিস্টার। দুর্দান্ত দক্ষতায় বল পাঠান বামপাশে থাকা মারিয়ার কাছে। ‘ফাইনালম্যান’ ভুল করেননি, জোরাল শটে হুগো লরিসকে পরাস্ত করে মাতেন উদযাপনে। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে (১০৮ মিনিটে) আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে।

১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতে তৃতীয় শিরোপাা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা।

এটা ছিল ফ্রান্সের চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনাল। এর আগে ১৯৯৮ সালের পর ২০১৮ সালে শিরোপা জিতে নেয় ফরাসিরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেদের।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এনিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাতিন আমেরিকান দলটি।

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের মধ্য দিয় ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাল আর্জেন্টাইনরা।

এর আগে ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয় সন্তুষ্ঠ থাকে আর্জেন্টিনা।

 

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলার ২৩ মিনিটে ডি মারিয়াকে ডি বক্সের মধ্যে ফ্রান্সের ফুটবলার উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। চলতি আসরে এটি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের ষষ্ঠ গোল।

৩৬তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনজুরি থেকে ফেরা ডি মারিয়া। তার করা গোলেও মেসির অবদান রয়েছে।

মাঝমাঠে মেসি ছোট্ট এক সুন্দর টোকায় পাস বাড়ান ডান দিকে, বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস এগিয়ে গিয়ে সামনে বাড়ান মাক আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সের বাঁ দিকে ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শট নেন ডি মারিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়া ফ্রান্সের লরিসকে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।

৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।

এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত ভঙ্গিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা।

২ গোল করে ৭৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও দুই মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা ২ গোল দারুণভাবে খেলায় সমতায় ফেরে ফ্রান্স।

খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে

অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ানোর পর ১০৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে লাউতারো মার্তিনেসের বুলেট গতির কোনাকুনি শট কোনোমতে ফেরান উগো লরিস, তবে বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। গোলমুখে বল পেয়ে ডান পায়ের টোকায় দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মেসি।

১১৮তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে গনসালো মনতিয়েলের হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে।

খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টিশুটাউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার উল্লাসে মেতে ওঠে আর্জেন্টিনা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় : 12:40:51 am, Monday, 19 December 2022

 

দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।

ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ইতিহাসের একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে প্রথমার্ধেই কাজটা অনেকখানি এগিয়ে রেখেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। পেনাল্টি থেকে মেসির পর লিড বাড়ানো গোল করেছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড রেখে বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তে দল।

বিরতি কাটিয়ে ফিরে বিপত্তি। এমবাপের জোড়া গোলে নির্ধারিত সময় শেষে স্কোর হয় ২-২। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মেসি ও এমবাপের গোলে হয় ৩-৩। খেলা এখন টাইব্রেকারে।

এমবাপের জোড়া গোলে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে যায়। রান্ডাল কোলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। ৮০ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার ব্যবধান কমান।

 

মাত্র ৯৭ সেকেন্ড পর মাঝ মাঠ থেকে কিংসলে কোম্যানের বাড়ানো বল নেন মার্কাস থুরাম। তিনি বল এমবাপেকে বাড়ান। ডান পায়ের শটে ২৩ বর্ষী ফুটবলারের শট এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তার আঙুলে লেগে জালে জড়ায়। মেসিকে ছাড়িয়ে এবারের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৭ গোলও করে ফেলেন।

 

রোববার শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আলবিসেলেস্তে দল। ৫৯ শতাংশ বল দখল নিয়ে তৈরি করে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ। ২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে উসমানে ডেম্বেলে পেছন থেকে ফাউল করে বসলে নির্ভুল পেনাল্টি শটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩৬ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান সেমিতে বেঞ্চে বসে থাকা ডি মারিয়া।

শিরোপার মঞ্চে তৃতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডে পল বল নিয়ে জুলিয়ান আলভারেজের দিকে বাড়ান, তবে শট নেয়ার আগে বল যায় লরিসের হাতে। মিনিট দুয়েক পর আলভারেজের থেকে বল নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। আট মিনিটে বল ফাঁকায় পেয়েও আকাশে উড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

লিওনেল স্কালোনির একাদশে ফিরে বাম উইং ধরে আক্রমণ চালান ডি মারিয়া। চোট ও ফর্মেশনের কারণে খেলতে না পারার শঙ্কায় থাকা ‘ফাইনালম্যান’ ব্যবধান গড়ে দেন। ২১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গেলে পেছন থেকে পা বাড়িয়ে দেন ডেম্বেলে, ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। মেসিও দলকে এগিয়ে নেন।

প্রথমার্ধে চাপে থাকা এমবাপেরা ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে। জিরুদের হেড যায় জালের অনেকখানি উপর দিয়ে। ১১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কনুইয়ের আঘাতে লরিস আহত হলে কিছুটা সময় বন্ধ থাকে খেলা।

 

খেলার ৩৬ মিনিটে টানা আক্রমণের ফল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসির পায়ের জাদুতে বল নিয়ে এগিয়ে যায় অ্যালিস্টার। দুর্দান্ত দক্ষতায় বল পাঠান বামপাশে থাকা মারিয়ার কাছে। ‘ফাইনালম্যান’ ভুল করেননি, জোরাল শটে হুগো লরিসকে পরাস্ত করে মাতেন উদযাপনে। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে (১০৮ মিনিটে) আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে।

১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতে তৃতীয় শিরোপাা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা।

এটা ছিল ফ্রান্সের চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনাল। এর আগে ১৯৯৮ সালের পর ২০১৮ সালে শিরোপা জিতে নেয় ফরাসিরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেদের।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এনিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাতিন আমেরিকান দলটি।

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের মধ্য দিয় ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাল আর্জেন্টাইনরা।

এর আগে ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয় সন্তুষ্ঠ থাকে আর্জেন্টিনা।

 

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলার ২৩ মিনিটে ডি মারিয়াকে ডি বক্সের মধ্যে ফ্রান্সের ফুটবলার উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। চলতি আসরে এটি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের ষষ্ঠ গোল।

৩৬তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনজুরি থেকে ফেরা ডি মারিয়া। তার করা গোলেও মেসির অবদান রয়েছে।

মাঝমাঠে মেসি ছোট্ট এক সুন্দর টোকায় পাস বাড়ান ডান দিকে, বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস এগিয়ে গিয়ে সামনে বাড়ান মাক আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সের বাঁ দিকে ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শট নেন ডি মারিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়া ফ্রান্সের লরিসকে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।

৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।

এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত ভঙ্গিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা।

২ গোল করে ৭৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও দুই মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা ২ গোল দারুণভাবে খেলায় সমতায় ফেরে ফ্রান্স।

খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে

অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ানোর পর ১০৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে লাউতারো মার্তিনেসের বুলেট গতির কোনাকুনি শট কোনোমতে ফেরান উগো লরিস, তবে বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। গোলমুখে বল পেয়ে ডান পায়ের টোকায় দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মেসি।

১১৮তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে গনসালো মনতিয়েলের হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে।

খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টিশুটাউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার উল্লাসে মেতে ওঠে আর্জেন্টিনা।