
সাইফ রুদাদ, ফরিদপুর।।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার একটি সরকারি জলাশয় দখল করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ১৯ মার্চ স্থানীয় প্রভাবশালী শওকত মন্ডলের নেতৃত্বে ইউসুফ, কামাল, ওহাব, খোকন, জাকির প্রামাণিক, ফিরোজসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ইজারা নেওয়া খামারটি দখল করে নিয়ে গেছে। সমিতির লোকজন তাদেরকে জলাশয়(খামার) ছাড়তে বললে তারা বলে আমরা জলাশয় ইজারা নিয়েছি। উল্টো লোকজনকে জলাশয় দ্রæত ছাড়তে বলেন তারা, নয়ত খুনোখুনির হুমকিও দেওয়া হয়। সমিতির পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবহিত করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পরে স্থানীয়রা সালিশ করে দিবেন বললে প্রথমে শওকত মানলেও পরে মানেননি।
বিষয়টি সদর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাফর আলী খানকে সমিতির পক্ষ থেকে অবহিত করা হলে তিনি ৭ দিনের মধ্যে মাছ ধরে নিয়ে যেতে বলেন, অন্যথায় তার কিছু করার নেই বলে জানান।
পরে সমিতির পক্ষ থেকে সেলিম সেক বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই) লিখিত অভিযোগ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে।
সোনালী মৎসজীবী সমিতির সেলিম সেক জানান, আমরা আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানেিয়ছিলাম, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল কিচ্ছুটি হবে না। পুলিশ সুপার ততকালীন সদর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিলেও তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা নেননি। তারপর শওকত জলাশয় দখল করে তার দলবল নিয়ে মাছ ধরে নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য ইজারা অনুযায়ী বাংলা ১৪২৮ সালের চৈত্র (১৩ এপ্রিল ২০২২) মাস অবধি ১২৭ শোভারামপুর মৌজায় শোভারামপুর- কোমরপুর শটকার্টের দ্বিতীয় ক্রস হতে তৃতীয় ক্রস জোন্দারবাড়ি পর্যন্ত জলাশয়ের মোট ১২ একর আয়তনের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সোনালী মৎসজীবী সমবায় সমিতি।
জলাশয় দখলের বিষয়ে জানার জন্য শওকত মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তিনি কিছু জানেন না।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবুল হোসেন জানান, সোনলী মৎসজীবী সমিতিকে আমরা ইজারা দিয়েছি। তাদের মেয়াদ হলো বাংলা ১৪২৮ সালের ৩ শে চৈত্র। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।