
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং এই অভ্যুত্থানে শহীদ ও সংগ্রামীদের স্মরণে ‘জুলাই স্মরণে: স্মৃতি ও সংগ্রামের গল্প’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার (২৭ জুলাই) বেলা ২ টায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শাহাদাত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে ছাত্রজনতার বিভিন্ন সংগ্রামের কথা ও ওয়াসিম আকরামের শহীদ হওয়ার ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এছাড়াও সেসময়ে তাঁর নিগৃহীত হওয়ার কথা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর ভূমিকা রাখার বিষয় বর্ণনা করেন।
তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের গভীরভাবে স্মরণ করে বলেন, শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো নৈতিক কর্তব্য। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মেসেজ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারলে, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়া সম্ভব হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের মৌলিক অধিকার অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের গৌরবগাথার এক সাহসী অধ্যায় বলে অভিহিত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি হরণ করেছিল, বিভিন্ন দুর্নীতি ও অন্যায় করেছিল। ছাত্র-জনতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দেশকে ফ্যাসিস্টের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছে। এই আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয়, এদেশে কখনো কোনো বৈষম্য থাকতে পারবে না। আমি চাই, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতেও কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমি একজন শিক্ষক। আমি সবসময় বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জুলাইয়ের গল্প নিয়ে দেয়ালিকা, ‘জুলাই আন্দোলন’ শীর্ষক কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, দেশাত্মবোধক গান ও মঞ্চনাটক ইত্যাদি। চিত্রাংকন ও দেয়ালিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক মিহির কুমার রায়, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল, রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, স্থাপত্য বিভাগের এডভাইজার প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর, আইন অনুষদের সহকারী ডিন তানজিনা আলম চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী ডিন ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের ডিরেক্টর সাদাত জামান খান, ডিরেক্টরেট অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের এডভাইজার ড. আবদুর রহিম, প্রক্টর মো. সোলাইমান চৌধুরী এবং বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান ও কো-অর্ডিনেটরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থী তন্ময় তাহাসিন ও পুষ্পিতা বৈদ্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।