ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের ৪৮ নং দক্ষিণ পশ্চিম পুটিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির এর বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের সাতটি গাছের অর্ধেক অংশ সহ তিনটি গাছ কর্তন করে তা বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়টির একপাশে প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। সেইখান থেকে তিনটি গাছ এবং বিদালয়ের মাঠের অপর প্রান্তের রাস্থার পাশের সাতটি গাছের অর্ধক অংশ কেটে তা বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রথমে স্থানীয়রা গাছ কাটতে নিষেধ করলে প্রধান শিক্ষক রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কাটা হচ্ছে বলে জানালে স্থানীয়রা সরে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেয় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিভাবক সদস্য কাওসার তালুকদার, জমিদাদা পরিবারের সদস্য পারভেজ তালুকদার ও সাইদুল সহ ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির কাউকে কিছু না জানিয়ে এবং কোনো প্রকারের টেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটে তা বিক্রি করে দিয়েছে। এতে তারা বাধা দিলে ওই প্রধান শিক্ষক প্রথমে তাদেরকে বলে আমি ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি। স্থানীয়রা খবর নিয়ে জানতে পারে এ ধরনের কোনো অনুমতি ইউএনও স্যার দেয়নি। পরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির জানান, আমি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগমের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি। এবং গাছের কাটা অংশ শ্রমকিদের অর্থাৎ যাদের দিয়ে গাছ কাটিয়েছি তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি তাদের মজুরি বাবাদ।
রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, ৪৮ নং দক্ষিণ পশ্চিম পুটিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগমকে পাঠিয়েছি। প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটার কোনো ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে তাকে কারন দর্শনের নোটিশ দিয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও-ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, এই গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে তদন্তে স্কুলে লোক পাঠিয়েছি।