
পলাশ সাহা
দুর্গাপুর-নেত্রকোণা- প্রতিনি।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন নেত্রকোণার দুর্গাপুরের রাজিব মিয়া। বুধবার দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল হক মঞ্জু। এসময় তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ খুব কাছ থেকে টার্গেট করে রাজিব মিয়ার পায়ে গুলি করে। পায়ের একপাশ দিয়ে গুলি ঢুকে হাড়মাংস ভেদ করে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে তার মামাতো ভাই তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে পুলিশ ওই ব্যক্তিকেও গুলি করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনতার সহায়তার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাজিব মিয়াকে। পঙ্গু হাসপাতালে চলে তার পায়ের অপারেশন। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাজিব ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্লিনারের কাজ করতেন। তার আয় দিয়েই চলতো পুরো পরিবার।
রাজিব মিয়ার মা রাবেয়া খাতুন বলেন,পুলিশ আমার সুস্থ সবল ছেলেকে গুলি করে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। যে ছেলের রোজগার দিয়ে আমাদের সংসার চলতো সে আজ বিছানাবন্দী। অভাব অনটনের সংসারে তার উন্নত চিকিৎসা করাও সম্ভব না। সরকারের কাছে আবেদন তারা যেন আমার এই ছেলের পাশে দাঁড়ায়।
বর্তমানে বিছানাবন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটানো রাজিব মিয়া বলেন,গুলি খাওয়ার পর থেকে দুনিয়াটা আমার জন্য অন্ধকার। বিছানা থেকে উঠতে পারিনা। বন্ধুবান্ধব রাস্তায় চলাফেরা করে,জানালা দিয়ে তাকিয়ে আমি ভাবি একটু যদি হাঁটতে পারতাম। এখন আমার শুধু কান্না পায়।
রাজিব মিয়াকে দেখতে এসে বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল হক বলেন,রাজিবের এই করুণ অবস্থা দেখে আমি খুব ব্যথিত। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি সাধ্যমতো তার পাশে দাঁড়ালাম। সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের তার পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন উন্নত চিকিৎসা পেলে রাজিব মিয়া হয়তো আগের মতো হাঁটতে পারবে। উন্নত চিকিৎসাই পারে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।