
চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় ড্রোনের বারবার অনুপ্রবেশে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ফুলকা ডাবরি এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই ড্রোন পাঠাচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে একটি ড্রোন বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে। ড্রোনটি তথ্য সংগ্রহ করে চলে যাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা প্রায় ১০ দিন ধরে ঘটছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আল মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “ভারতীয় ক্যাম্প ফুলকা ডাবরি এর অধীনস্থ বিএসএফ কর্তৃক ড্রোন ক্যামেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। ৮২৯ মেইন পিলার হতে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে ড্রোন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, স্থানীয়রা এর কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় প্রতিবাদ হচ্ছে না।” তিনি অবিলম্বে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
এক স্থানীয় যুবক বলেন, “আমরা প্রতিদিন বৈদ্যুতিক খুঁটির আলো আর ড্রোনের আতঙ্কে থাকি। সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিজেরাই প্রতিবাদে নামবো।”
এছাড়াও এলাকাবাসী জানান, সীমান্তের জিরো লাইনে ভারত ইলেকট্রিক তার দিয়ে সীমানা থেকে মাত্র ৫০ গজের মধ্যে বৈদ্যুতিক ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করেছে। এসব ল্যাম্পপোস্ট থেকে আসা তীব্র আলো রাতে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং ফসলের ক্ষতি করছে। এই আলোকসজ্জা বিএসএফ’র জন্য সহায়ক হলেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান জানান, ড্রোন আসার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই অবগত ছিল। অন্যদিকে, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে আমি অবগত। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।”