Dhaka , Sunday, 27 April 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
শাহবুদ্দিন সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, সোশ্যাল মিডিয়ায়  নিন্দার ঝড়। ঢাকায় ঐতিহাসিক “মুসলিম ঐক্য সংহতি সমাবেশ”: মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক কণ্ঠে প্রতিবাদ। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রামগঞ্জে নমীনির মৃত্যুর পর কিস্তি মওকুফ, পেলেন ওয়ালটনের আর্থিক সুবিধা  কিশোরগঞ্জে পঁচা মাংস ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা রামগঞ্জে বিকল্প সড়ক না করেই ঠিকাদার ভেঙ্গে ফেললো সেতু জনদুর্ভোগ চরমে কক্সবাজারের রামুতে অবৈধ ভাবে সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়াসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ গাজীপুরের টঙ্গী থেকে মাদক সম্রাজ্ঞী নাজমা গ্রেফতার  সিলেটে হাফিজ সোসিয়াল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন সরাইল উপজেলা প্রশাসনের বিরামহীন অভিযানে আরো এক মাটি খেকোর সাজা রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার নোয়াখালীতে ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম জয়ন্তী ও হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে মতবিনিময় সভা রূপগঞ্জের মাসকো স্কুলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত কার্নিভাল অনুষ্ঠিত শ্রমিক মারা যাওয়ার গুজব কালিয়াকৈরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ  রূপগঞ্জে ৯দফা দাবিতে ভূমি মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পাটগ্রামের ইউএনও’র উদ্যোগে থাকার ঘরটি তৈরি হচ্ছে ভিখারিনী ছালেহার লালমনিরহাটে দাদার সাথে ঘাস ধুতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু রামগঞ্জে শাহাদাত হোসেন সেলিমকে গণসংবর্ধনা  আত্মহত্যার আগে ধর্ষণ, মূল হোতা গ্রেফতার  লালমনিরহাটের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার  কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, স্বজনদের আটকে রাখার অভিযোগ রোগীদের আস্থা ফেরাতে হলে রোগীদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে- মেয়র ডা. শাহাদাত ১লা জুন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের নির্বাচন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি- সাবেক এমপি সহিদুজ্জামান কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ১২ বোতল বিদেশী মদ সহ জুয়েল রানা কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ সাতকানিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্ত্রী নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান- স্ত্রীর মৃত্যু স্বামী হাসপাতালে সীমানা নির্ধারণ করে বন রক্ষা, বালু-দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স- চুনতিতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পাটগ্রামের ইউএনও’র উদ্যোগে থাকার ঘরটি তৈরি হচ্ছে ভিখারিনী ছালেহার

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:22:25 pm, Saturday, 26 April 2025
  • 6 বার পড়া হয়েছে

পাটগ্রামের ইউএনও’র উদ্যোগে থাকার ঘরটি তৈরি হচ্ছে ভিখারিনী ছালেহার

তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে পাটগ্রামের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মোছা. ছালেহা খাতুন ওরফে ছালেহা বেওয়া। বয়স্ক ভাতা ১ হাজার ৬শ টাকা আর ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোরকমে জীবনযাপন করেন তিনি। ১০ এপ্রিল -বৃহস্পতিবার- ভোরে হওয়া কালবৈশাখি ঝড়ে মাথা গোজার ঠাঁই শেষ সম্বল টিনের চালের ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঘরটি পুনরায় নির্মাণ করার মতো সামর্থ্য না থাকায় রোদের তাপ ও বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ও রাত্রিযাপনের জন্য সেই ভাঙা ঘরটিতেই কোনোরকমে বসবাস করছিলেন এই দুঃখিনী নারী।

অবশেষে পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো: জিল্লুর রহমানের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় যারপরনাই খুশী একাকী এই নারী।

ছালেহা জানান, তাদের বাড়ি ছিল হাতীবান্ধা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায়। নদী ভাঙনের ফলে তাদের পরিবার চলে আসে পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে রেল লাইনের পাশে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে তারা ঘর করে বসবাস শুরু করেন। তখন তিনি কোলের শিশু ছিলেন তাই তেমন কিছুই মনে নেই তার। পরে তার বিয়ে হয় হাতীবান্ধার বড়খাতা এলাকার বাসিন্দা  ও রেলওয়ে কর্মচারী আনোয়ার হোসেনের সাথে।  ১২ থেকে ১৩ বছর আগে মারা যান তার স্বামী। দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও আত্মীয়স্বজন তাকে তার প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেন। ফলে তাকে আবার অস্থায়ী এই জায়গায় ফিরে আসতে হয় তাকে। বয়স্ক ভাতা ১ হাজার ৬শ টাকা আর ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোরকমে বেঁচে আছেন ছালেহা। ছেলে সন্তান নেই তাই তার এই দশা বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

সরকারি ও বেসরকারি কোনো সাহায্য না পাওয়ায় তিনি নিজেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান। পরে বৃহস্পতিবার -১৭ এপ্রিল- সেই অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা এসে তার অবস্থা দেখে যান। এর কয়েকদিন পর ইউএনও’র উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এমনকি শুক্রবার -২৪ এপ্রিল- ইউএনও নিজে তার ঘর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে ও তার সাথে দেখা করতে যান। সে সময় তিনি তার দুঃখ দুর্দশার করা শোনেন। কয়েকদিনের মধ্যে ঘরটি তাকে হস্তান্তর করবেন ইউএনও।

ছালেহা বেগম বলেন, “ইউএনও স্যার আমার এখানে এসে আমার সাথে কথা বলেন। আমি তাকে একটি জানালার কথা বলেছি। তিনি আমার এখানে আসায় আমি অনেক খুশী। সৃষ্টিকর্তা তার মঙ্গল করুন।“

পাটগ্রামের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা -পিআইও- মো. আতাউর রহমান বলেন, “ঘটনাটি জানার পর ইউএনও স্যার বিষয়টিকে অনেক গুরুত্বের সাথে ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়েছেন। ফলে তার নির্দেশনায় বিভিন্ন দিক থেকে সমন্বয় করে আমরা ছালেহা বেগমের ঘরের কাজটি শুরু করি। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাই। পরে ইউএনও স্যারও সেখানে গিয়ে বৃদ্ধা ছালেহার সাথে দেখা করেন। তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।

পাটগ্রামের ইউএনও মো: জিল্লুর রহমান বলেন, “আমি নিজে ছালেহা বেগমের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। তিনি এখন খুশী কিনা তা জানতে চেয়েছি। তিনি জানালার কথা বলেছেন। যত দ্রুততার সাথে সম্ভব তার ঘরের কাজ শেষ করে তার হাতে সেটি হস্তান্তর করা যায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।

এদিকে ইউএনও’র উদ্যোগে বৃদ্ধা ছালেহার থাকার ঘরের চলমান নির্মাণের কাজের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। তারা  ইউএনও’র এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।   

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

শাহবুদ্দিন সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, সোশ্যাল মিডিয়ায়  নিন্দার ঝড়।

পাটগ্রামের ইউএনও’র উদ্যোগে থাকার ঘরটি তৈরি হচ্ছে ভিখারিনী ছালেহার

আপডেট সময় : 04:22:25 pm, Saturday, 26 April 2025

তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে পাটগ্রামের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মোছা. ছালেহা খাতুন ওরফে ছালেহা বেওয়া। বয়স্ক ভাতা ১ হাজার ৬শ টাকা আর ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোরকমে জীবনযাপন করেন তিনি। ১০ এপ্রিল -বৃহস্পতিবার- ভোরে হওয়া কালবৈশাখি ঝড়ে মাথা গোজার ঠাঁই শেষ সম্বল টিনের চালের ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঘরটি পুনরায় নির্মাণ করার মতো সামর্থ্য না থাকায় রোদের তাপ ও বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ও রাত্রিযাপনের জন্য সেই ভাঙা ঘরটিতেই কোনোরকমে বসবাস করছিলেন এই দুঃখিনী নারী।

অবশেষে পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো: জিল্লুর রহমানের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় যারপরনাই খুশী একাকী এই নারী।

ছালেহা জানান, তাদের বাড়ি ছিল হাতীবান্ধা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায়। নদী ভাঙনের ফলে তাদের পরিবার চলে আসে পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে রেল লাইনের পাশে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে তারা ঘর করে বসবাস শুরু করেন। তখন তিনি কোলের শিশু ছিলেন তাই তেমন কিছুই মনে নেই তার। পরে তার বিয়ে হয় হাতীবান্ধার বড়খাতা এলাকার বাসিন্দা  ও রেলওয়ে কর্মচারী আনোয়ার হোসেনের সাথে।  ১২ থেকে ১৩ বছর আগে মারা যান তার স্বামী। দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও আত্মীয়স্বজন তাকে তার প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেন। ফলে তাকে আবার অস্থায়ী এই জায়গায় ফিরে আসতে হয় তাকে। বয়স্ক ভাতা ১ হাজার ৬শ টাকা আর ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোরকমে বেঁচে আছেন ছালেহা। ছেলে সন্তান নেই তাই তার এই দশা বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

সরকারি ও বেসরকারি কোনো সাহায্য না পাওয়ায় তিনি নিজেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান। পরে বৃহস্পতিবার -১৭ এপ্রিল- সেই অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা এসে তার অবস্থা দেখে যান। এর কয়েকদিন পর ইউএনও’র উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এমনকি শুক্রবার -২৪ এপ্রিল- ইউএনও নিজে তার ঘর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে ও তার সাথে দেখা করতে যান। সে সময় তিনি তার দুঃখ দুর্দশার করা শোনেন। কয়েকদিনের মধ্যে ঘরটি তাকে হস্তান্তর করবেন ইউএনও।

ছালেহা বেগম বলেন, “ইউএনও স্যার আমার এখানে এসে আমার সাথে কথা বলেন। আমি তাকে একটি জানালার কথা বলেছি। তিনি আমার এখানে আসায় আমি অনেক খুশী। সৃষ্টিকর্তা তার মঙ্গল করুন।“

পাটগ্রামের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা -পিআইও- মো. আতাউর রহমান বলেন, “ঘটনাটি জানার পর ইউএনও স্যার বিষয়টিকে অনেক গুরুত্বের সাথে ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়েছেন। ফলে তার নির্দেশনায় বিভিন্ন দিক থেকে সমন্বয় করে আমরা ছালেহা বেগমের ঘরের কাজটি শুরু করি। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাই। পরে ইউএনও স্যারও সেখানে গিয়ে বৃদ্ধা ছালেহার সাথে দেখা করেন। তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।

পাটগ্রামের ইউএনও মো: জিল্লুর রহমান বলেন, “আমি নিজে ছালেহা বেগমের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। তিনি এখন খুশী কিনা তা জানতে চেয়েছি। তিনি জানালার কথা বলেছেন। যত দ্রুততার সাথে সম্ভব তার ঘরের কাজ শেষ করে তার হাতে সেটি হস্তান্তর করা যায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।

এদিকে ইউএনও’র উদ্যোগে বৃদ্ধা ছালেহার থাকার ঘরের চলমান নির্মাণের কাজের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। তারা  ইউএনও’র এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।