রাজধানীর পল্লবীতে ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিউদ্দিন নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় নাহিদ ও আবির নামে অপর দুই ছাত্রলীগ নেতা আহত । হামলাকারীর নাম মিলন ঢালী তিনি পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ হামলার ঘটনায় পল্লবী থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৮৬। আসামীরা হলেন, মিলন ঢালী,আলামিন,বাপ্পী,সালমান ফরসী রনি,জাহিদ হাসান ইফতি, রাহুল আহেম্মদ রিফাত,জিন্নাত হোসেন, ইমরান হোসেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা রয়েছে কয়েকজন ।
গত রবিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পল্লবী থানার নান্নু মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কয়েজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, পল্লবী থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের সমগম হয়। হঠাৎ করে পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন ঢালীর নেত্রীত্বে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। তাদের হামলায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন আহত হয়।
হামলার পর মিলন ঢালী ঢাকা উত্তর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির বাসার সামনে মহড়া দেয়।
জানাযায়, পল্লবী থানা এলাকায় কিশোর গ্যাং এর মূল নিয়ন্ত্রক মিলন ঢালী। তিনি স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে পল্লবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে। চাঁদা না দিলে সেই প্রতিষ্টান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মামলা করে। এছাড়া টেন্ডারবাজী,মাদক কারবারী,জুয়া,নারী ব্যবসা সাথে সে জড়িত রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, রাজনীতির নামে বেপরোয়া এই মিলন ঢালী। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না। মিলন ঢালী পল্লবী থানা এলাকায় এক আতংর নাম।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ ইসলাম বলেন, মামলার পর সকল আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলছে।