
কক্সবাজার- ১৮ অক্টোবর ২০২৪।।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন- আমরা শাসন করতে আসিনি। আগামীদিনে যারা দেশ চালাবেন তাদের পথ মসৃন করতে এসেছি।আমাদের পলিটিক্যাল কালচার নষ্ট হয়ে গেছে- এটা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
আজ কক্সবাজারে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী(রহ.) এর ইছালে ছওয়াব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন-নির্বাচনের সংস্কৃতি বহুদিন যাবৎ এদেশের মানুষ ভুলে গেছে। ভোট কাকে বলে মানুষ তা জানে না। ভোট কেন্দ্রে মানুষ যেতো না। তিনি আরো বলেন-ভোট হলো আমানত। ভোটের মাধ্যমে একজন ভালো মানুষ নির্বাচিত হবে। আপনার ভোট আগামীদিনে আপনিই দিবেন- পছন্দের প্রার্থীকে দেবেন। জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব।
উপদেষ্টা আরো বলেন-আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আরেকটি সরকার না আসা পর্যন্ত আমরা দায়িত্ব পালন করব। এই সরকারের অগ্রাধিকার হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা- টেকসই অর্থনীতি অর্জন- আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও কিছুক্ষেত্রে সংস্কার করা। ইতোমধ্যে কিছু সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা কাজ করে যাচ্ছে।
বায়তুশ শরফের অবদান তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন- বায়তুশ শরফ একটা ইতিহাস। দেশব্যাপী এই সংগঠনের শত শত মসজিদ- মাদ্রাসা- এতিমখানা- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। এ সংগঠনের জনসম্পৃক্ততা এককথায় অসাধারণ। বিদেশি কোন সাহায্য-সহযোগিতা কিংবা অনুদান নেই- শুধু স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নিয়ে এতো বড় কর্মযজ্ঞ আমাদেরকে অবাক করে দেয়। তিনি বায়তুশ শরফের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার- অতিরিক্ত সচিব-উন্নয়ন- মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার- উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন ও ওয়ার্ড-বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলা ও কারিগরি শিক্ষাভবন- ছাত্রীদের নামাজের ঘর ইবনুল খাত্তাব (রা.) মসজিদ ও একাডেমিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এছাড়া- উপদেষ্টা কক্সবাজার জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরে উপদেষ্টা কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও হিলডাউন সার্কিট হাউস সভাকক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।