Dhaka , Monday, 23 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
মা’দকের আস্তানা ও অসা’মাজি’ক কার্যকলাপের অভিযোগে হি’জরা’র ঘরে আ’গুন কালিয়াকৈরে স্মরণকালের গণজমায়েত, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান  লালমনিরহাটে ইসলাম ধ’র্ম ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির ঘ’টনা’য় মুসল্লিদের হাতে আ’টক ২ রূপগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  প্র’তিব’ন্ধী’দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অ’পসা’রণ ও গ্রে’ফতা’রের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ নলছিটিতে পরকীয়া ও স্বর্ণ চু’রির মা’মলায় প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রে’ফতা’র, কা’রাগা’রে প্রেরণ কিশোরগঞ্জে দেওয়ানি মা’মলায় পরা’জ’য়ের জেরে নিজ ঘরে আ’গুন দিয়ে প্রতিপক্ষের ভি’রুদ্ধে মা’মলা রাস্তার অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিকদের মে’রে ফেলার হু’মকি দিলেন চেয়ারম্যান ২৫ কুড়িগ্রাম ১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ডা. ইউনুছ আলী লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লক্ষাধিক খেজুর বীজ রোপণ কর্মসূচি  বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে গোপালপুরে জাসাসের সঙ্গীত সন্ধ্যা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যু’ৎস্পৃ’ষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃ’ত্যু টেলিগ্রামে প্রে’ম: নোয়াখালীর মাদরাসা ছা’ত্রীকে পতিতালয়ে বি’ক্রি সদরপুরে স্ত্রীর মা’মলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আ’টক পাইকগাছায় তিন দিনব্যাপী ফল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত  স্কটিশ পার্লামেন্ট‌ে একটি সর্বদলীয় ঈদুল আজহার অভ্যর্থনা অনু‌ষ্ঠিত হাবিবুল হক শিক্ষা তহবিলের সহযোগিতায় মিশুক বিশ্বাসের স্বপ্নযাত্রা লালমনিরহাটে পুলিশের পৃথক অভিযানে ১২.৫ কেজি গাঁ’জাসহ গ্রে’প্তার ৩ তারেক রহমানের ৩১ দফা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ – এস এম জিলানী চাঁ’দাবা’জ স’ন্ত্রাসী’দের কবল থেকে রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর রূপগঞ্জে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  রংপুর থেকে ২০ কেজি গাঁ’জাসহ লালমনিরহাটের দুই মা’দক কারবারি গ্রে’প্তার  নোয়াখালীতে চো’রকে চিনে ফেলায় না’রীকে জ’বাই করে হ’ত্যা,গ্রে’প্তার-২ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মা’মলার যুবলীগ নেতা রবিন গ্রে’ফতা’র কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির এখনো শিশু, দু’শ্চি’ন্তায় পরিবার আশুলিয়ায় না’রী যা’ত্রীকে জি’ম্মি করে ছি’নতাই, গ্রে’প্তার ২ নাটোরে বাস-সিএনজি সং’ঘ’র্ষে জাবি শিক্ষার্থীসহ নি’হত ৪ উখিয়ায় একসাথে চার স’ন্তান জ’ন্ম দু’দিনের ব্যবধানে এ’কে এ’কে মৃ’ত্যু মোংলায় কবি রুদ্রের প্রয়াণ দিবসে শোক র‌্যালি লালমনিরহাটের একজন মা’দক কা’রবা’রি গ্রে’প্তার করেছে ডিবি

নীলফামারীতে সূর্যমুখী চাষে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:19:58 pm, Wednesday, 22 December 2021
  • 191 বার পড়া হয়েছে

নীলফামারীতে সূর্যমুখী চাষে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা

আমিরুল হক,

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।

নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। রোপণের ১১০-১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে। বীজের বাম্পার ফলনের কথা জেনে গত বছর সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকে ন্যায্য দামে বীজ কেনার প্রতিশ্রæতিও ছিল। কিন্তু উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য আর ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছর সূর্যমুখীর চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অধিকাংশ চাষি।

নীলফামারী জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বিগত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এতে প্রতি বিঘায় ২৬৬ কেজি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকা। এ হিসাবে প্রায় চার কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু উৎপাদিত বীজের ক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় প্রতি কেজি বীজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন চাষিরা।

সৈয়দপুর উপজেলার কয়ামিস্ত্রিপাড়ার চাষি নির্মল রায় জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪৫ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। এতে পানি সেচ ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ৭ মণ বীজ ঘরে তোলেন। কৃষি অফিস প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে কেনার প্রতিশ্রæতি দিলেও উৎপাদনের পর তারা সে বীজ কিনতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় একজন তেল ব্যবসায়ীর কাছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রির এ ঝামেলার কারণে তিনি আর সূর্যমুখীর চাষ করেননি।

কৃষি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনায় সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছিল। আশাতীত ফলন হলেও স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি না হওয়ায় এর চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন চাষিরা। এবার গোটা জেলায় মাত্র ২৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

সূর্যমুখী চাষি কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু জানান, তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বীজ বিক্রি করেছেন। অথচ এ জমিতে প্রতিবছর ভুট্টা চাষ করে এক লাখ টাকা আয় করতেন। কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট তৈরি করে সূর্যমুখীচাষিদের জিম্মি করে কৃষি বিভাগেই কম দামে বীজগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কৃষিবিষয়ক শিক্ষক অশ্বিনী কুমার রায় জানান, সূর্যমুখী চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর আবাদ বাড়ছে। সূর্যমুখীর শস্যদানা থেকে উৎপাদিত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেলের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর তেল ভাঙানোর মেশিন স্থাপনে উদ্যোক্তা নিলে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষ সম্ভব, যা দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নীলফামারী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মন্ডল বলেন, কৃষি বিভাগ সূর্যমুখীচাষিদের উৎপাদিত বীজ ক্রয় করার বিষয়টি সত্য নয়। বাজারজাত করার জন্য চাষিদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগ তা করেছে।

 

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

মা’দকের আস্তানা ও অসা’মাজি’ক কার্যকলাপের অভিযোগে হি’জরা’র ঘরে আ’গুন

নীলফামারীতে সূর্যমুখী চাষে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা

আপডেট সময় : 07:19:58 pm, Wednesday, 22 December 2021

আমিরুল হক,

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।

নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। রোপণের ১১০-১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে। বীজের বাম্পার ফলনের কথা জেনে গত বছর সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকে ন্যায্য দামে বীজ কেনার প্রতিশ্রæতিও ছিল। কিন্তু উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য আর ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছর সূর্যমুখীর চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অধিকাংশ চাষি।

নীলফামারী জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বিগত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এতে প্রতি বিঘায় ২৬৬ কেজি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকা। এ হিসাবে প্রায় চার কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু উৎপাদিত বীজের ক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় প্রতি কেজি বীজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন চাষিরা।

সৈয়দপুর উপজেলার কয়ামিস্ত্রিপাড়ার চাষি নির্মল রায় জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪৫ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। এতে পানি সেচ ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ৭ মণ বীজ ঘরে তোলেন। কৃষি অফিস প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে কেনার প্রতিশ্রæতি দিলেও উৎপাদনের পর তারা সে বীজ কিনতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় একজন তেল ব্যবসায়ীর কাছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রির এ ঝামেলার কারণে তিনি আর সূর্যমুখীর চাষ করেননি।

কৃষি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনায় সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছিল। আশাতীত ফলন হলেও স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি না হওয়ায় এর চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন চাষিরা। এবার গোটা জেলায় মাত্র ২৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

সূর্যমুখী চাষি কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু জানান, তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বীজ বিক্রি করেছেন। অথচ এ জমিতে প্রতিবছর ভুট্টা চাষ করে এক লাখ টাকা আয় করতেন। কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট তৈরি করে সূর্যমুখীচাষিদের জিম্মি করে কৃষি বিভাগেই কম দামে বীজগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কৃষিবিষয়ক শিক্ষক অশ্বিনী কুমার রায় জানান, সূর্যমুখী চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর আবাদ বাড়ছে। সূর্যমুখীর শস্যদানা থেকে উৎপাদিত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেলের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর তেল ভাঙানোর মেশিন স্থাপনে উদ্যোক্তা নিলে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষ সম্ভব, যা দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নীলফামারী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মন্ডল বলেন, কৃষি বিভাগ সূর্যমুখীচাষিদের উৎপাদিত বীজ ক্রয় করার বিষয়টি সত্য নয়। বাজারজাত করার জন্য চাষিদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগ তা করেছে।