অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
নরসিংদীর মেঘনা নদীতে বালু মহালের নির্ধারিত স্থান ছেড়ে অন্যত্র অবৈধ চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনকরে যাচ্ছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ। অবৈধ চুম্বক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নরসিংদী সদর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী বি-বাড়িয়া জেলার সলিমগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের সুষ্ঠু নজরদারী না থাকায় অবৈধভাবে চুম্বক ডেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করতে পারছে চিহ্নিত বালু উওোলন কারীরা । পাশাপাশি বালু মহলের নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়িয়ে করিমপুর ও আলোক বালি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে বাল উত্তোলন করছে।
জানা যায়- নরসিংদী সদর উপজেলাধীন দিলারপুর মৌজায় বালু মহাল ইজারার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যলয় হতে বিগত ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল তারিখে দরপত্র আহবান করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এতে মো. কাইয়ুমের মালিকানাধীন মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ প্রথম হয়ে দিলারপুর মৌজার বালুমহালটি ইজারা নেন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ১০ নং শর্ত অনুযারী কোনক্রমেই চুম্বক ড্রেজার ব্যাবহার করে বালু উত্তোলন করা যাবে না মর্মে উল্লেখ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ , ১৫ থেকে ২০টি চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় বালু মহালের ইজারা নেওয়া হয়েছে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর মৌজায়। কিন্তু ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান বালু মহলের নির্দিষ্ট সীমানায় না থেকে করিমপুর ও আলোকবালিসহ পার্শ্ববর্তী সলিমগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রমাগত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে পড়েছে নরসিংদী সদর উপজেলাসহ সলিমগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ।
বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমিসহ নরসিংদী সদর ও উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীনের হাত বাঁচাতে এখন ব্যবস্থা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। নয়তো আগামী শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের বিলীন হবে কয়েকশ’ একর ফসলি জমি, বাড়ী-ঘর, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
মেঘনা নদীতে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের নেকজানপুর, গৌরীপুরারচর ও সলিমগঞ্জের মরিচাকান্দি এই তিনটি এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ১৫ থেকে ২০ টি অবৈধ চুম্বক ডেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে একের পর এক বাল্বহেড ভর্তি করা হচ্ছে।
এ সময় কথা হয় নেকজানপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির সাথে তিনি বলেন, বালু মহালের ইজারা নেওয়া হয়েছে দিলালপুর এলাকায় অথচ বালু কাটছে আমাদের নেকজানপুর থেকে। এভাবে ক্রমাগত বালু কাটার ফলে আলোক বালি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম পার্শ্ববর্তী করিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে ভুগছে।