
অরবিন্দ রায়,
নরসিংদীতে সকালে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত জনজীবন অস্হির হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬. ১৪ মিনিটে ৪ দশমিক ১ মাএার এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্হল নরসিংদীর । এ নিয়ে নরসিংদী পাঁচ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পাঁচ বারই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্হল ছিলো নরসিংদী। মুহূর্তে কেঁপে ওঠে মাটি। সকালের কয়েক সেকেন্ড ভূমিকম্পে মানুষের মধ্যে আতন্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সকালে ভূমিকম্পের সময় কেউ গভীর ঘুমে, কোন শিশু স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বাবা অফিসে যাবার ব্যস্ত, মা রান্না নিয়ে ব্যস্ত,
অনেক শিশু ঘুম ঙেঙ্গে কাঁন্না জুড়ে দেয়। অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে ছুটতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়ে। মা বাবার মুখে উদ্বেগ, ছোটদের চোখে ভয়।
শনিবার রাত ৬ টা ৬ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্হল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে পলাশ ঘোড়াশাল । ভৃ- পৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ১০ কিলোমিটার গভীরতা ছিল। ভূমিকম্পের মাএা ছিল ৩ দশমিক ৭। মুহূর্তেই মানুষ দৌড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে।
২২ নভেম্বর শনিবার ১০ টা ৩৬ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের মাএা ছিল ৩ দশমিক ৩ । উৎপত্তির স্হল নরসিংদীর পলাশ।
নরসিংদী ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত এ ভূকম্পনের উৎপত্তি নরদিংসদীর মাধবদীতে। ভূমিকম্পে মানুষের মনে ভয় রেখে গেছে। অনেক পরিবার কয়েক রাত আতন্কে ঘুমাতে পারেননি ।
পলাশ থানা সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিলা রানী শাখারী জানান, সকালে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মেয়ে চিৎকার দিয়ে বলল মা ভূমিকম্প হচ্ছে। আমার শরীর কেঁপে উঠল। ঘুমে থাকা ছেলেকে ডেকে নিচে নেমে আসি। ভয় আর আতঙ্কে আমার বুকটা কাপছে।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী জানান, আমার এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা চলেছে। সকালে চেয়ারে বসে পড়ার সময় দেখি চেয়ার, টেবিল ও শরীর কেঁপে ওঠে। বুঝতে পারলাম ভূমিকম্প হচ্ছে।
নরসিংদীবাসী ভূমিকম্প আতন্কে দিন পার করছেন। কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও লোক মুখে বিভিন্ন ধরনের গুজবের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই পরিবার বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন। সকালে ভূমিকম্পের পর থেকেই মানুষের মধ্যে ভয় আর আতন্ক বিরাজ করেছে। ভূমিকম্পের ফলে পলাশে মাটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি কোন খবর পাওয়া যায়নি।
























