
শওকত আলম , কক্সবাজার:
দ্বীপ কন্যা কুতুবদিয়ার পশ্চিম পাশে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বালিয়াড়ি সৈকত থাকা সত্ত্বেও এতদিন পর্যটন বিকাশে ছিল না কার্যকর কোনো উদ্যোগ। গড়ে ওঠেনি পরিকল্পিত ও সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র। অবশেষে সেই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে এলো দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ। তাদের উদ্যোগে বিখ্যাত বাতিঘরের পাশে চালু করা হলো মিনি পর্যটন স্পট—লাইটহাউস সি-বীচ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ ধুরুং বাতিঘর পয়েন্টে উৎসবমুখর পরিবেশে এই পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা। তিনি বলেন, “আজ থেকে কুতুবদিয়ায় অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনের যাত্রা শুরু হলো। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেলে এই লাইটহাউস সি-বীচ দ্বীপের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রধান উদ্যোক্তা দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, “প্রকৃতির অপরূপ দানে ভরপুর কুতুবদিয়া এক সম্ভাবনার দ্বীপ। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর প্রয়াস আমরা শুরু করেছি। প্রশাসন ও জনগণ সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। একদিন ভ্রমণপিপাসুরা সেন্টমার্টিনের পরিবর্তে সাগর কন্যা কুতুবদিয়াকেই বেছে নেবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া।
উদ্বোধনের দিনই হাজার হাজার পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে লাইটহাউস সি-বীচ এলাকা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা আবদুল হামিদ (২৩) বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বোধনের খবর পেয়ে আমরা ১০ জন এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। কক্সবাজার বা সেন্টমার্টিনের মতোই, বরং তার চেয়েও সুন্দর কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকত।”
রাত পর্যন্ত চলা উদ্বোধনী আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে উদীয়মান শিল্পী আবরার শাহীনসহ একঝাঁক শিল্পীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয়দের মতে, লাইটহাউস সি-বীচ চালুর মাধ্যমে কুতুবদিয়া পর্যটন মানচিত্রে নতুনভাবে পরিচিত হবে এবং দ্বীপের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
























