
এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব।
শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব -১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক – মিডিয়া- বিপ্লব কুমার গোস্বামী ।
গ্রেফতারকৃত তিন ব্যক্তি হলেন-পাটগ্রাম থানার মামলা নং-০৩ এর এজাহারনামীয় ১০ নম্বর আসামি ও শ্রীরামপুর এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. মাইদুল ইসলাম -৩২- , ২১ নম্বর আসামি আঃ রসিদ -৩৫-এবং আসামি মাইদুলের এর জবানবন্দি অনুযায়ী চিহ্নিত আসামি ও সোহাগপুর এলাকার মৃত আহতাব আলির ছেলে আবুল কালাম -৫২-।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে পাটগ্রামে একটি পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রাতেই একদল দুষ্কৃতকারী পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় থানার আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে পাটগ্রাম থানা পরিদর্শনে করেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার। দিনভর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার রাতে ২৭ জনকে শনাক্ত করে নামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও সহস্রাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে দায়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাটগ্রাম এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়. উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান, আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত এবং ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শনের মামলা রুজু হয় ।
র্যাব আরও জানায়, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৭ টায় র্যাব-১৩,ব্যাটালিয়ন সদর , রংপুর, সিপিএসসি, রংপুর ও সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের একাধিক অভিযানিক দল যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে । পাটগ্রাম থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।