
এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষিত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এক মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি ধর্ষকের।স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বর্তমানে ধর্ষক পলাতক রয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিমের বাবা আলাউদ্দিন পাঠান জানান,গত ২৫ জুন সকাল ৭ টায় আমার মেয়ে তিন রাস্তার মোড়ে হাঁটতে গেলে,লম্পট কাদির মোল্লা (৬০) আমার মেয়ে নবনিতা (১৬) কে (ছদ্মনাম) জোর করে ধর্ষণ করে।আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে আঃ কাদিরকে সকলে গাছের সাথে বেঁধে ফেলে।পরে কানাইনগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন,নায়েব আলী,ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আলমাস,শফিকুল ইসলাম ও জগতপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ সভাপতি গোলাম মাওলা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে কাদিরকে ছাড়িয়ে নেয় এবং প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিবন্ধী মেয়েটির ন্যায্য বিচার করে দিবে।কিন্তু এক মাস পার হয়ে গেলেও আমরা কোন বিচার পাইনি।তাদের অনেক টাকা পয়সা,তাদের সাথে তুমি পারবে না,প্রভাবশালীদের এমন হুমকির কারণে আমি ভয়ে মামলা করিনি।এখন আমি নিরুপায় হয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।আমি আমার মেয়ের সঠিক বিচারটি যেনো পাই।আমার টাকা নাই বিধায়,আমি কি ন্যায্য বিচার পাব না? গরিবের কি বিচার পাবার অধিকার নেই?এই বিষয়ে গোলাম মাওলা বলেন,তারা কাদিরকে আটকে রেখে বেধরক মারধর করেছে,সে মরে যেতে পারে এমন অবস্থা হয়েছে।তখন আমাদেরকে ডেকে বলল, আপনাদের সাক্ষী রেখে তাকে ছেড়ে দিলাম।আমরা সাক্ষী হয়েছি,তারা আমাদের সামনে তাকে ছেড়ে দিয়েছে এবং সে বেঁচে আছে।এখন আলাউদ্দিন বলছে আমরা নাকি বলেছি বিচার করে দিব,এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।তবে কাদির যদি এরকম কিছু করেই থাকে তাহলে তার বিচার হওয়া উচিত।