
মোঃ আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম -প্রতিনিধি।।
জুম্আর খুত্বা আরবী ভাষায় প্রদান করা সুন্নাত। অন্য কোন ভাষায় জুম্আর খুতবা পাঠ করা মাকরূহ। শ্রোতামণ্ডলীর বোধগম্য হোক বা না হোক- মাতৃভাষায় খুতবা পাঠ করা ঠিক হবে না। কারণ- ফিক্বাহ্ শাস্ত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, খুতবা নামাযেরই মত একটি ইবাদত বিশেষ।
আর একথা বলাই বাহুল্য- ইবাদতের মধ্যে অর্থ বোধগম্য হওয়া যদি লক্ষ্য হয় তাহলে নামাযের সূরা-ক্বিরাত এবং দোয়া-দরূদ ইত্যাদির অর্থ বোধগম্য হওয়া ছাড়া নামাযই বেকার। একথা প্রমাণ করে যে- খুতবা ইবাদত হওয়ার কারণে ‘সালফ’ তথা পূর্বসূরী মনীষীবৃন্দের কাছ থেকে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে ঠিক সেভাবেই আমাদের তা পালন করতে হবে।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে- সাহাবায়ে কিরামদের মধ্যে অনেক সাহাবা বিভিন্ন এলাকার ও বিভিন্ন ভাষাভাষী ছিলেন। অথচ একটি বর্ণনাও এমন পাওয়া যায় না যে- তাঁরা আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় জুম্আর খুতবা পাঠ করেছেন বা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে স্থানীয় ভাষায় খুতবা পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।
সুতরাং উল্লিখিত আলোচানার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে- জুম্আর খুতবা আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় পাঠ করা জায়েয নয়, মাকরূহে তাহরীমী।
-তথ্যসূত্র- আল্ ফিক্বহিল ইসলামী-২-২৮৯- ইমদাদুল মুফ্তিয়্যীন-১-৩৮৩- ফাত্ওয়ায়ে শামী-২-১৪৭- জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ্-১-৩৫২-।
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন
মুফতি- মুহাদ্দিস- মুফাসসীর-
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা-চট্টগ্রাম।