
সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন আতংকে দিশেহারা নদী তীরবর্তী মানুষ। ফলে ওই এলাকার ৩ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে ওই এলাকার ৫৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ গাছপালা ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও হুমকির মূখে পড়েছে একটি আদর্শ গ্রাম, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মসজিদ, একটি ঈদগাঁ মাঠসহ কয়েকশ পরিবারের ঘরবাড়িসহ শতশত একর ফসলি জমি। গৃহহীন মানুষগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন উঁচু ফাঁকা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। হুমকির মুখে পড়া পরিবারগুলো আগেভাগেই ঘরের আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুরা নদী পাড়ে বসে অশ্রæচোখে শুধু ভাঙনের দৃশ্য দেখছে। আর হুমকির সম্মুখীন পিপুলিয়া গ্রামের পরিবারগুলো অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র ও গাছপালাসহ সম্ভাব্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
ওই গ্রামের ভাঙন কবলিত মানুষরা বলেন, নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম কালু বলেন, নদী ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহন করা একান্ত জরুরী। তা না হলে দ্রæত সময়ের মধ্যে পিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার স্কুল, পিপুলিয়া সরকারি আদর্শ গ্রামসহ পিপুলিয়া গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, এবারের ভাঙনে পিপুলিয়া গ্রামে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। গৃহহীন পরিবারগুলো উঁচুস্থানে অথবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজনের মাঝে জিআর ও ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নগদ অর্থসহ চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সুমন কুমার বর্মন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
তাং-২৬.০৭.২০২১
মোবাইল ঃ ০১৭৪০-২৯৮৮৫৮
গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন শনাক্ত ৬৯
সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার করোনা ভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬৯ জন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ১৩, সদরে ২৩, ফুলছড়িতে ২, সুন্দরগঞ্জে ৫, সাঘাটায় ২, পলাশবাড়ীতে ১১ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ১৩ জন। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নানা উপসর্গে সন্দেহজনকভাবে ৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮ জন। এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫৯ জন। এরমধ্যে ৩২ জন মারা গেছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যক্তি মোট ১১ হাজার ১৬৩ জন। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে মোট ৭ হাজার ৪৫৮ জনকে।
এছাড়া জেলায় করোনায় শনাক্ত ৩ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে ২ হাজার ৩৪১ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুমন কুমার বর্মন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
তাং-২৬.০৭.২০২১
মোবাইল ঃ ০১৭৪০-২৯৮৮৫৮
গাইবান্ধায় লকডাউনে লোক চলাচল বেড়েছে রাস্তায়
সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় ধাপের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও গাইবান্ধায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, কিছু কিছু এলাকায় অনেক দোকানপাট খোলা ছিল। বিশেষ করে স্টেশন রোড, ইসলাম প্লাজা, সান্দারপট্টি, কলেজ রোডসহ শহরতলি দুইমাইল, পুলবন্দি, স্কুলের বাজার, সুন্দরজান মোড়, ভেড়ামারা ব্রীজ সংলগ্ন মোল্লা বাজার, ৭৫নং রেলগেট, পাঁচজুম্মা, বোর্ড বাজার এলাকাগুলোতে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। এছাড়াও নির্দেশ অমান্য করে জেলা শহর ও উপজেলা সদরে মটর সাইকেলের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে এবং শহরের রাস্তায় ছিল যানবাহনের চলাচল অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে উন্মুক্ত স্থানে কাচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। শহরের পুরাতন বাজারে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে লোকজনকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। শহরে লোকজনের চলাচল আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এসব বেশীর ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দোকান এবং মাস্ক ব্যবহার না করাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ২৫টি মামলায় ২২ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া উপজেলা সদরগুলোতে যথারীতি লকডাউন পালিত হয়েছে। যানবাহন ও লোক চলাচল ছিল সীমিত। লকডাউন কার্যকরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
সুমন কুমার বর্মন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
তাং-২৬.০৭.২০২১
মোবাইল ঃ ০১৭৪০-২৯৮৮৫৮