
এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও।।
দূষণে মৃতপ্রায় ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী নাসিরখাল। ময়লা-আবর্জনায় পরিণত হওয়ায় যৌবন হারাল খালটি। পরিবেশ-প্রকৃতি চরম হুমকির মুখে পড়ছে। পরিত্যাক্ত খালটিতে উদ্যোগ নিলে বিনোদন স্পটে পরিণত করা সম্ভব। এটি হাতির ঝিলের আদলে গড়ে উঠত লেক।
নাসির খালটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপাশ থেকে পশ্চিম পাশ হয়ে বয়ে গেছে মহেশখালীর চ্যানেলে। খালের উপর রয়েছে চলাচল ব্রিজ। মহাসড়কটি খালের বুক চিরে সংযুক্ত হয় সাগর কন্যা কক্সবাজার।
নাসির খাল খনন, উভয় পাশের পাড় নির্মাণ, পর্যটক যাতায়াতের রাস্তা সংস্কার, ভ্যালি ব্রিজ নির্মাণ, চারাগাছ রোপণ, ফুল বাগান, ঝর্ণাসহ পরিপূর্ণ লেক গড়ে তুলার যাবতীয় উপকরণ স্থাপন করা হলে অনন্য ও জনপ্রিয় বিনোদন লেকে পরিণত হবে। কক্সবাজারের নবঘোষিত উপজেলায় এটিই হবে প্রথম পর্যটক লেক।
লেকটি মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি কক্সবাজারমুখী দেশী-বিদেশী হরেক রকম মানুষের নজর কাড়বে। যার ফলে, খাল রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের উৎস হবে লেকটি। এটি বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁওর নাসিরখালটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো একটি খাল। দখল-দূষণ আর বর্তমানে অযন্তে অবহেলায় পড়ে থাকা খাল।মহাসড়কের পাশ্ববর্তী দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি দখলের থাবা থেকে উদ্ধার করে লেকের আদলে গড়ে তোললে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হতো।সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নিলে সুন্দর ও অনন্য পর্যটন লেকে পরিণত হতো।
ইমরান,সাকিব,রাসেল,আবদুল্লাহ,বাপ্পি সহ কজন সচেতন যুবক জানান, লেকে পুরো বছর পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করলে লেক কেন্দ্রিক অপার পর্যটনের সম্ভাবনা দেখা যাবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এলাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ নানা অনুষঙ্গ সৃষ্টি হবে। সরকারও প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে। দেখা যায়, গহীন পাহাড়ের ভেতরে নীলাদ্রী লেকেও পর্যটকে ভরপুর। তার ছেয়ে সুন্দর এবং ব্যতিক্রমী স্পর্ট কিন্তু এটি।
স্থানীয় প্রতিবন্ধি শামসুল আলম ও জিয়া জানান, সেই দীর্ঘদিনের নাসির খালটি লেক হিসেবে গড়ে তুলার উপযুক্ত স্থান। পরিত্যক্ত খালটিকে ঐতিহ্যবাহী বিনোদন স্পটে গড়ে তোলার দাবী জানাচ্ছি।
এ পুরনো খালকে ঘিরে পর্যটন লেক গড়ে তুলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।