মোঃ ফারুক মিয়া -সিলেট।।
সিলেটে প্রমিলা ফুটবলাররা লাল সবুজের জার্সি গায়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার জন্য স্বপ্ন বুনছে। নিয়মিত কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে জ্বালিয়ে তোলছেন নিজেদের। সিলেটের তুস্টি- লতা- দীপা- সানি- কণা- একা- জুবলী- বাংলাদেশের জনপ্রিয় উইমেন্স লীগে খেললেও খেলতে পারেন নি জাতীয় দলের হয়ে। যদিও লাল সবুজের জার্সি গায়ে বয়স ভিত্তিক দলে সুযোগটা এসেছিল তুস্টি রাণী দাসের বাঁচাই পর্বে কনফার্ম হলেউ ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে খেলতে যেতে পারেন নি তুষ্টি।
আওয়ামীলীগের সরকার পতনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রমিলা ফুটবলারদের কোন টুর্ণামেন্ট আয়োজন করা হয় নি। তবে এসব খেলোয়াড়রা খেলে যাচ্ছেন সিলেট- হবিগঞ্জ- সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন একাডেমিতে। তবে এসব একাডেমির খেলোয়াড়েরা মনে করছেন খুব শীঘ্রই হয়ত অন্তবর্তী সরকার ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বয়স ভিত্তিক টুর্ণামেন্ট আয়োজন করলে ভালো খেলা উপহার দিয়ে ভালো পর্যায়ে যেতে পারবেন।
জুম্মন লুসাই স্পোর্টস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি টেংরা ফুটবল একাডেমি মাঠে তার এক বক্তব্যে বলছিলেন, যদি ফুটবলকে এগিয়ে নিতে হয় তাহলে আগে ক্রীড়াঙ্গনকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে এবং প্রমিলা ফুটবলারদের জন্য টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে হবে। প্রমিলা ফুটবলারদের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে যাতে তারা নিয়মিত প্র্যাক্টিস করতে পারেন। যদিও সিলেটে প্রমিলা ফুটবলারদের টুর্ণামেন্ট কম হয়।
অন্যদিকে সিলেটে যারা প্রমিলা ফুটবলারদের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তারা বলেন, একজন প্রমিলা ফুটবলারের খরচ চালানো কষ্ট সাধ্য হয়। তার প্রধান কারণ হচ্ছে যারা ফুটবল খেলতে আগ্রহী হয় বা খেলতে আসে তারা বেশিরভাগ হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত, দ্ররিদ্র পরিবারের থেকে উঠে আসে যার ফলে খরচ চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠে। একজন ফুটবলারের প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচটি জিনিস লাগে বুট- সিম কার্ড, জার্সি, শর্ট পেন্ট, এবং মোজা লাগে অনেক সময় এগুলোই জোগাড় করতে পারে না। প্রমিলা ফুটবলাররা অনেক সংগ্রামের সাথে ফুটবল পেশাটাকে ধরে রাখে।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলেন- সিলেটের ফুটবল অঙ্গনকে বর্তমানে এগিয়ে নিতে হলে সকল ক্রীড়া প্রেমিদের এগিয়ে আসতে হবে। সিলেটে ছেলেদের খেলাধুলায় প্রবাসীরা এগিয়ে আসলেউ মেয়েদের বেলায় হাতে গোনা কয়েকজন প্রবাসী ছাড়া আর কেউ এগিয়ে আসে না । তবে সংশ্লিষ্ট ফুটবল প্রেমিরা মনে করেন সিলেট হচ্ছে দ্বিতীয় লন্ডন আর সিলেটের মেয়েরা পিছিয়ে থাকতে পারে না যারা প্রকৃত পক্ষে ক্রীড়া প্রেমী অবশ্যই তারা এগিয়ে আসবে।
সিলেট ক্রীড়া অফিস খেলাধুলায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ক্রীড়া অফিসার নূর হোসেনের হাত ধরে। ক্রীড়া অফিসার নূর হোসেনের বিগত দিনের বক্তব্য গুলোতে বলেছিলেন, খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে হলে সকলের সম্মিলিত একটি প্রচেষ্টার প্রয়োজন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট হয়- সেই টুর্ণামেন্টের মাধ্যমেই ভালো মানের খেলোয়াড় বের হয়ে আসে।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা গুলোতে বিভিন্ন ক্লাব- একাডেমির পক্ষ থেকে বড় বড় টুর্ণামেন্ট এবং প্রীতি ম্যাচ হলেউ সিলেটে প্রমিলা ফুটবলারদের এ রকম আয়োজন খুবি কম। পঞ্চগড়- দিনাজপুর- বগুড়া-বোদা উপজেলা- রংপুর সহ এসব জেলা গুলোতে বড় বড় টুর্ণামেন্ট হয় প্রমিলা ফুটবলারদের। তবে সিলেট বিভাগ প্রবাসী অধ্যুষিত হলেউ এই রকম টুর্ণামেন্ট আয়োজনে ব্যর্থ সিলেটের ক্রীড়া প্রেমীরা।